সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে না

৩৩ বছরেও আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি ঝুলে আছে হাইকোর্টের রুল

ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হতে চললেও এখনও সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে না। এমনকি সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার সংক্রান্ত আইনটি ৩৩ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতেই মানা হচ্ছে না এই আইনটি। আইনটির বাস্তবায়ন নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া একটি রুল ঝুলে আছে। আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি আসলেই সবার মনে পড়ে বাংলা ভাষার কথা। আদালতসহ সর্বত্র বাংলা ব্যবহারে নতুনদের প্রশিক্ষণসহ বড় পরিকল্পনা নিতে হবে।

১৯৮৭ সালে সংসদে পাস হয় বাংলা ভাষা আইন। ওই বছরের ৮ মার্চ প্রণয়ন করা হয় ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’। এতে বলা হয়, এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে। এই আইনে আরও বলা হয়, কোন কর্মস্থলে যদি কোন ব্যক্তি বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন, তাহলে সেটি বেআইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। শুধু তাই নয়, কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি এই আইন অমান্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০১৭ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তী ওই আদেশে বলা হয়, নামফলক, অফিস-আদালত সর্বত্রই বাংলার ব্যবহার করতে হবে। টেলিভিশন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে বাংলায়। পাবলিক প্লেসে বাংলায় লিখেতে হবে। ১৯৮৭’র আইন অনুযায়ী কেন সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার হবে না সে বিষয়ে একটি রুলও জারি করা হয়। কিন্তু সে রুলটি এখনও শুনানি হয়নি।

হাইকোর্টে বাংলা ভাষার ব্যাবহার সংক্রান্ত রিট আবেদনটি করেছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ। এ বিষয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে বাংলা নাই বললেই চলে। আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইংরেজি ভাষার ব্যাবহার করি। কয়েক দিন আগেই একটি পিটিশন বাংলায় দায়ের করেছিলাম। কিন্তু বিচারপতি তা শুনানি না করে বললেন ইংরেজিতে করতে। পরে তাই করলাম।

২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচার কাজে ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনের প্রয়োগ বিষয়ে একটি সুপারিশ পেশ করে বাংলাদেশের আইন কমিশন। একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই দুটি ঘোষণাপত্র জারি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন কমিশন সুপারিশে উল্লেখ করে।

বাংলা ভাষা নিয়ে উইকিপিডিয়ায় থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের একটি লেখা রয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, আইনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রচলনের জন্য যথাযথ আইন প্রণয়ন কেন সরকারি উদ্যোগে করা হয়নি আমি বুঝতে পারি না। যদি ন্যায়বিচার সদগুণ হয় এবং জনগণের কল্যাণের জন্যই যদি এর কাজ হয় তবে তা জনগণের ভাষাতেই হওয়া উচিত। তবে আমি খোলাখুলি করে বলি দেশের জনগণ যদি চান তাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সব কাজ তাদের ভাষায় হবে, তাদের প্রতিনিধিরা সংসদের যতোদিন না আইন পাস করছেন ততোদিন বিচারকরা স্বেচ্ছায় বাংলায় হাতেখড়ি দিতে চাইবেন না।

ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট ওসমান গণি। ১৯৫০ সালে গঠিত ভাষা সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে কোন আক্ষেপ নেই। তবে দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার দেখতে চাই। সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহারে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।

সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীর উল ইসলামের মতে, উচ্চ আদালতের সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন অসম্ভব কিছু নয়, মানসিকতার পরিবর্তন হলেই কেবল এটা সম্ভব। আমাদের সদিচ্ছা থাকলে উচ্চ আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম বাংলায় করা সম্ভব। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট দাবি দুটির একটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, অপরটি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই। কিন্তু এখনও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যে কোন ফৌজদারি আদালতের বিচারিক রায় আদালতের ভাষায় অথবা অন্য কোন ভাষায়- যা আসামি অথবা তার আইনজীবী বুঝতে সক্ষম সে ভাষায় ঘোষণা অথবা ওই রায়ের বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ করতে হবে।

সিনিয়র আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, উচ্চ আদালতে একটি রুলস আছে। ওই রুলস অনুযায়ী রায় ইংরেজিতে দেয়া যায়। তবে এটি ১৯৮৭ সালে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদালতের রুল সম্পর্কে তিনি বলেন, রুলটা এখন এ্যাভসুলেট হয়ে আছে। খুব দ্রুতই এটি শুনানির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সর্বত্রই বাংলার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতেই তো বাংলার ব্যবহার হচ্ছে না। অন্য জায়গায় কিভাবে হবে। কয়েকজন বিচারপতি কিছু রায় দিয়েছিল বাংলায়। কিন্তু অধিকাংশ রায়ই ইংরেজিতে দেয়া হয়। দ্রুতই সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যাবহার নিশ্চিত করা দাবি জানান এই আইনজীবী।

আইন আদালতে বাংলার ব্যবহার কিভাবে করা যায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার প্রচলন নিয়ে একটি রায় হয়েছে আপিল বিভাগে। এখন দাবি উঠেছে আদালতে বাংলার ব্যাবহার। কিন্তু এটা তো হুট করে করা সম্ভব নয়। কারন যারা মামলা পরিচালনা করেন তারা সবাই ইংরেজিতে করেছেন। তাই নতুন প্রজন্মকে এজন্য প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। তাহলে ১৫-২০ বছর পর হয়তো সব জায়গায় বাংলার ব্যবহার হবে। এজন্য বড় প্রস্তুতির প্রয়োজন।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিচারপতিরা ইংরেজিতে রায় দিবেন, সেটা সরাসরি বাংলায় কনভার্ট হয়ে যাবে। এমন একটি সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সফটওয়্যার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। তবে খুব দ্রুতই এমন সফটওয়্যার বিচার বিভাগে ব্যবহার হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানায় সূত্র।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৮ ফল্গুন ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর

সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে না

৩৩ বছরেও আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি ঝুলে আছে হাইকোর্টের রুল

ইমদাদুল হাসান রাতুল |

ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হতে চললেও এখনও সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে না। এমনকি সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার সংক্রান্ত আইনটি ৩৩ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতেই মানা হচ্ছে না এই আইনটি। আইনটির বাস্তবায়ন নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া একটি রুল ঝুলে আছে। আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি আসলেই সবার মনে পড়ে বাংলা ভাষার কথা। আদালতসহ সর্বত্র বাংলা ব্যবহারে নতুনদের প্রশিক্ষণসহ বড় পরিকল্পনা নিতে হবে।

১৯৮৭ সালে সংসদে পাস হয় বাংলা ভাষা আইন। ওই বছরের ৮ মার্চ প্রণয়ন করা হয় ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’। এতে বলা হয়, এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে। এই আইনে আরও বলা হয়, কোন কর্মস্থলে যদি কোন ব্যক্তি বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন, তাহলে সেটি বেআইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। শুধু তাই নয়, কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি এই আইন অমান্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০১৭ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তী ওই আদেশে বলা হয়, নামফলক, অফিস-আদালত সর্বত্রই বাংলার ব্যবহার করতে হবে। টেলিভিশন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে বাংলায়। পাবলিক প্লেসে বাংলায় লিখেতে হবে। ১৯৮৭’র আইন অনুযায়ী কেন সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার হবে না সে বিষয়ে একটি রুলও জারি করা হয়। কিন্তু সে রুলটি এখনও শুনানি হয়নি।

হাইকোর্টে বাংলা ভাষার ব্যাবহার সংক্রান্ত রিট আবেদনটি করেছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ। এ বিষয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে বাংলা নাই বললেই চলে। আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইংরেজি ভাষার ব্যাবহার করি। কয়েক দিন আগেই একটি পিটিশন বাংলায় দায়ের করেছিলাম। কিন্তু বিচারপতি তা শুনানি না করে বললেন ইংরেজিতে করতে। পরে তাই করলাম।

২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচার কাজে ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনের প্রয়োগ বিষয়ে একটি সুপারিশ পেশ করে বাংলাদেশের আইন কমিশন। একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই দুটি ঘোষণাপত্র জারি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন কমিশন সুপারিশে উল্লেখ করে।

বাংলা ভাষা নিয়ে উইকিপিডিয়ায় থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের একটি লেখা রয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, আইনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রচলনের জন্য যথাযথ আইন প্রণয়ন কেন সরকারি উদ্যোগে করা হয়নি আমি বুঝতে পারি না। যদি ন্যায়বিচার সদগুণ হয় এবং জনগণের কল্যাণের জন্যই যদি এর কাজ হয় তবে তা জনগণের ভাষাতেই হওয়া উচিত। তবে আমি খোলাখুলি করে বলি দেশের জনগণ যদি চান তাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সব কাজ তাদের ভাষায় হবে, তাদের প্রতিনিধিরা সংসদের যতোদিন না আইন পাস করছেন ততোদিন বিচারকরা স্বেচ্ছায় বাংলায় হাতেখড়ি দিতে চাইবেন না।

ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট ওসমান গণি। ১৯৫০ সালে গঠিত ভাষা সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে কোন আক্ষেপ নেই। তবে দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষার শুদ্ধ ব্যবহার দেখতে চাই। সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহারে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।

সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীর উল ইসলামের মতে, উচ্চ আদালতের সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন অসম্ভব কিছু নয়, মানসিকতার পরিবর্তন হলেই কেবল এটা সম্ভব। আমাদের সদিচ্ছা থাকলে উচ্চ আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম বাংলায় করা সম্ভব। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট দাবি দুটির একটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, অপরটি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই। কিন্তু এখনও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যে কোন ফৌজদারি আদালতের বিচারিক রায় আদালতের ভাষায় অথবা অন্য কোন ভাষায়- যা আসামি অথবা তার আইনজীবী বুঝতে সক্ষম সে ভাষায় ঘোষণা অথবা ওই রায়ের বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ করতে হবে।

সিনিয়র আইনজীবী ইউনুছ আলী বলেন, উচ্চ আদালতে একটি রুলস আছে। ওই রুলস অনুযায়ী রায় ইংরেজিতে দেয়া যায়। তবে এটি ১৯৮৭ সালে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদালতের রুল সম্পর্কে তিনি বলেন, রুলটা এখন এ্যাভসুলেট হয়ে আছে। খুব দ্রুতই এটি শুনানির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সর্বত্রই বাংলার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতেই তো বাংলার ব্যবহার হচ্ছে না। অন্য জায়গায় কিভাবে হবে। কয়েকজন বিচারপতি কিছু রায় দিয়েছিল বাংলায়। কিন্তু অধিকাংশ রায়ই ইংরেজিতে দেয়া হয়। দ্রুতই সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যাবহার নিশ্চিত করা দাবি জানান এই আইনজীবী।

আইন আদালতে বাংলার ব্যবহার কিভাবে করা যায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার প্রচলন নিয়ে একটি রায় হয়েছে আপিল বিভাগে। এখন দাবি উঠেছে আদালতে বাংলার ব্যাবহার। কিন্তু এটা তো হুট করে করা সম্ভব নয়। কারন যারা মামলা পরিচালনা করেন তারা সবাই ইংরেজিতে করেছেন। তাই নতুন প্রজন্মকে এজন্য প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। তাহলে ১৫-২০ বছর পর হয়তো সব জায়গায় বাংলার ব্যবহার হবে। এজন্য বড় প্রস্তুতির প্রয়োজন।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিচারপতিরা ইংরেজিতে রায় দিবেন, সেটা সরাসরি বাংলায় কনভার্ট হয়ে যাবে। এমন একটি সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সফটওয়্যার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। তবে খুব দ্রুতই এমন সফটওয়্যার বিচার বিভাগে ব্যবহার হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানায় সূত্র।