জার্মানিতে দুই সিসা বারে গুলিতে নিহত ৯

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হানাউয়ের দুটি সিসা বারে হামলার ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছে। পরে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে তার নিজ ঠিকানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরপর দেশটির পৃথক দুটি স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়, যাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হানউয়ের সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীকে তার নিজ ঠিকানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেখানে তার মৃতদেহের পাশাপাশি আরেকটি মৃতদেহও পাওয়া গেছে। হামলাকারীর সঙ্গে আর কোন সহযোগী ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ। তদন্ত চলার কথা জানিয়েছে তারা। হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।

এদিকে, জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন একজন জার্মান নাগরিক, তার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল; তার গাড়িতে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্রের কয়েকটি ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম গুলির ঘটনাটি শহরটির কেন্দ্রস্থলের একটি বারে ঘটেছে আর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে হানাউয়ের ক্যাসুস্টাট এলাকার অপর একটি বারে।

এ ঘটনার পর সন্দেহভাজনকে ধরতে সাত ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় পুলিশ। হামলায় বেশ কয়েক বন্দুকধারী জড়িত ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন। দুটি এলাকায়ই পুলিশ কর্মকর্তারা ও কয়েকটি হেলিকপ্টার টহল দেয়। ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ হানাউয়ের দুটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আঞ্চলিক গণমাধ্যম হ্যাসেনশাওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতে প্রথম সিসা বারে অজ্ঞাত সংখ্যক বন্দুকধারী তিনজনকে হত্যা করে এরপর তারা গাড়ি চালিয়ে আরিনা বার অ্যান্ড ক্যাফেতে গিয়ে আরও পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে।

প্রথমে আটজন নিহত হয়েছিল, কিন্তু পরে আহত একজনের মৃত্যু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা নয়জনে দাঁড়ায়। হেসেন রাজ্যের হানউ শহর ফ্রাঙ্কফর্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর মাত্র চার দিন আগে রাজধানী বার্লিনে কনসার্ট ভেন্যু টেমপোরধোমে তুর্কি কমেডি শো চলাকালে গুলিবর্ষণের আরেকটি ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৮ ফল্গুন ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

জার্মানিতে দুই সিসা বারে গুলিতে নিহত ৯

সংবাদ ডেস্ক |

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হানাউয়ের দুটি সিসা বারে হামলার ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছে। পরে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে তার নিজ ঠিকানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরপর দেশটির পৃথক দুটি স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়, যাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হানউয়ের সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীকে তার নিজ ঠিকানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেখানে তার মৃতদেহের পাশাপাশি আরেকটি মৃতদেহও পাওয়া গেছে। হামলাকারীর সঙ্গে আর কোন সহযোগী ছিল না বলেই মনে করছে পুলিশ। তদন্ত চলার কথা জানিয়েছে তারা। হামলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।

এদিকে, জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন একজন জার্মান নাগরিক, তার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল; তার গাড়িতে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্রের কয়েকটি ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম গুলির ঘটনাটি শহরটির কেন্দ্রস্থলের একটি বারে ঘটেছে আর দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে হানাউয়ের ক্যাসুস্টাট এলাকার অপর একটি বারে।

এ ঘটনার পর সন্দেহভাজনকে ধরতে সাত ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় পুলিশ। হামলায় বেশ কয়েক বন্দুকধারী জড়িত ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন। দুটি এলাকায়ই পুলিশ কর্মকর্তারা ও কয়েকটি হেলিকপ্টার টহল দেয়। ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ হানাউয়ের দুটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আঞ্চলিক গণমাধ্যম হ্যাসেনশাওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতে প্রথম সিসা বারে অজ্ঞাত সংখ্যক বন্দুকধারী তিনজনকে হত্যা করে এরপর তারা গাড়ি চালিয়ে আরিনা বার অ্যান্ড ক্যাফেতে গিয়ে আরও পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে।

প্রথমে আটজন নিহত হয়েছিল, কিন্তু পরে আহত একজনের মৃত্যু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা নয়জনে দাঁড়ায়। হেসেন রাজ্যের হানউ শহর ফ্রাঙ্কফর্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর মাত্র চার দিন আগে রাজধানী বার্লিনে কনসার্ট ভেন্যু টেমপোরধোমে তুর্কি কমেডি শো চলাকালে গুলিবর্ষণের আরেকটি ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।