গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

ক্ষমতার মোহে নহে, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্যই প্রেসিডেন্ট শাসনের অবসান চাই

নারয়াণগঞ্জের বিরাট জনসভায় জনাব সোহরাওয়ার্দীর বক্তৃতা

পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশায় কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা

নারায়ণগঞ্জ, ৬ জুলাই। আওয়ামী লীগ প্রধান জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অদ্য এখানে বলেন যে, তাহারা ক্ষমতার মোহে নয়, বরং ১৯৩ ধারা প্রয়োগকে গণতন্ত্রের প্রতি একটি আঘাতস্বরূপ মনে করিয়াই প্রেসিডেন্ট শাসনের প্রত্যাহার দাবী করিতেছেন। তিনি বলেন, বস্তুত ক্ষমতাসীন না থাকিয়াই আমরা সর্বাধিক লাভবান হইব। আমি আপনাদিগকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমরা ক্ষমতার বাহিরে থাকিলে আসন্ন নির্বাচনে একটি আসনও হারাইব না। জনাব সোহরাওয়ার্দী বলেন, ইহা অস্বীকার করিয়া লাভ নাই যে, ১৯৩ ধারা প্রত্যাহৃত হইলে পরিষদে অধিকাংশ সদস্যের আস্থাশীল জনাব আতাউর রহমান খানকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহ্বান করিতে হইবে। ইতিপূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়া বলেন যে, তাহাদের শাসক মহলে পূর্ব পাকিস্তান ন্যায্য পাওনা হইতে বঞ্চিত হইয়াছে। করাচী ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে। অথচ পূ্ব্ব পাকিস্তানে একটিও শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে দেওয়া হয় নাই। জনাব সোহরাওয়ার্দী ক্ষমতা লাভ করার পর হইতে পূর্ব পাকিস্তান ন্যায্য পাওনা পাইতে থাকে এবং ইহার জন্য তাহাকে চরম মূল্য দিতে হইয়াছে। জনাব মুজিবুর রহমান কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করিয়া বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানকে যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে পঞ্চাশ পঞ্চাশের ভিত্তিতে সমান অংশ প্রদত্ত না হয় তবে আমরা জনসংখ্যার ভিত্তিতে পাওনা দাবি করিব।

দৈনিক মিল্লাত : ৭ জুলাই ১৯৫৮

শেখ মুজিবুর রহমানের করাচী যাত্রা

আগামী ১০ জুলাই করাচীতে আহত অর্থ কমিটির সভায় যোগদান করার জন্য পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান অদ্য (মঙ্গলবার) বিমানযোগে করাচী যাত্রা করিবেন।

আগামী ১১ জুলাই জনাব রহমান ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন। সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য আহুত সর্বদলীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য জনাব রহমান আগামী ১৮ জুলাই পুনরায় করাচী যাত্রা করিবেন। আগামী ১৯ জুলাই উক্ত সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে। -এপিপি

দৈনিক ইত্তেফাক : ৮ জুলাই ১৯৫৮

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৮ ফল্গুন ১৪২৬, ২৬ জমাদিউল সানি ১৪৪১

গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

ক্ষমতার মোহে নহে, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্যই প্রেসিডেন্ট শাসনের অবসান চাই

নারয়াণগঞ্জের বিরাট জনসভায় জনাব সোহরাওয়ার্দীর বক্তৃতা

পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশায় কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা

নারায়ণগঞ্জ, ৬ জুলাই। আওয়ামী লীগ প্রধান জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অদ্য এখানে বলেন যে, তাহারা ক্ষমতার মোহে নয়, বরং ১৯৩ ধারা প্রয়োগকে গণতন্ত্রের প্রতি একটি আঘাতস্বরূপ মনে করিয়াই প্রেসিডেন্ট শাসনের প্রত্যাহার দাবী করিতেছেন। তিনি বলেন, বস্তুত ক্ষমতাসীন না থাকিয়াই আমরা সর্বাধিক লাভবান হইব। আমি আপনাদিগকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমরা ক্ষমতার বাহিরে থাকিলে আসন্ন নির্বাচনে একটি আসনও হারাইব না। জনাব সোহরাওয়ার্দী বলেন, ইহা অস্বীকার করিয়া লাভ নাই যে, ১৯৩ ধারা প্রত্যাহৃত হইলে পরিষদে অধিকাংশ সদস্যের আস্থাশীল জনাব আতাউর রহমান খানকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহ্বান করিতে হইবে। ইতিপূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়া বলেন যে, তাহাদের শাসক মহলে পূর্ব পাকিস্তান ন্যায্য পাওনা হইতে বঞ্চিত হইয়াছে। করাচী ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে। অথচ পূ্ব্ব পাকিস্তানে একটিও শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে দেওয়া হয় নাই। জনাব সোহরাওয়ার্দী ক্ষমতা লাভ করার পর হইতে পূর্ব পাকিস্তান ন্যায্য পাওনা পাইতে থাকে এবং ইহার জন্য তাহাকে চরম মূল্য দিতে হইয়াছে। জনাব মুজিবুর রহমান কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করিয়া বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানকে যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে পঞ্চাশ পঞ্চাশের ভিত্তিতে সমান অংশ প্রদত্ত না হয় তবে আমরা জনসংখ্যার ভিত্তিতে পাওনা দাবি করিব।

দৈনিক মিল্লাত : ৭ জুলাই ১৯৫৮

শেখ মুজিবুর রহমানের করাচী যাত্রা

আগামী ১০ জুলাই করাচীতে আহত অর্থ কমিটির সভায় যোগদান করার জন্য পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান অদ্য (মঙ্গলবার) বিমানযোগে করাচী যাত্রা করিবেন।

আগামী ১১ জুলাই জনাব রহমান ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন। সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের জন্য আহুত সর্বদলীয় সম্মেলনে যোগদানের জন্য জনাব রহমান আগামী ১৮ জুলাই পুনরায় করাচী যাত্রা করিবেন। আগামী ১৯ জুলাই উক্ত সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে। -এপিপি

দৈনিক ইত্তেফাক : ৮ জুলাই ১৯৫৮