অমিতের অরুণাচল সফরে চীনের ক্ষোভ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। বেইজিং বলেছে, এ সফর চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। গত বৃস্পতিবার চীন-ভারত সীমান্তের পূর্বাঞ্চল পরিদর্শন করেন অমিত শাহ। সেখানে ‘অরুণাচল রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস’- এর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সফর প্রসঙ্গে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কেং শুয়াং বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অরুণাচলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে সীমান্তের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা কমবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেং শুয়াং আরও বলেন, অমিত শাহের সফরের কারণে চীনের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয়েছে এবং দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাসে আঘাত এসেছে।

গত নভেম্বরে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘চীন অরুণাচল প্রদেশকে কোনোদিনও ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। এখানে ভারতীয় নেতাদের সব কার্যকলাপের চূড়ান্ত বিরোধিতা করা হবে। তাই অঞ্চলটিতে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে ভারতের উচিত, কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নেয়া।’ কে শুয়াং বলেন, অরুণাচল প্রদেশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। চীন কখনও সে অঞ্চল দখল করে সৃষ্ট তথাকথিত ‘অরুণাচল রাজ্য’কে স্বীকার করেনি।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৯ ফল্গুন ১৪২৬, ২৭ জমাদিউল সানি ১৪৪১

অমিতের অরুণাচল সফরে চীনের ক্ষোভ

সংবাদ ডেস্ক |

image

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অরুণাচল প্রদেশ সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। বেইজিং বলেছে, এ সফর চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। গত বৃস্পতিবার চীন-ভারত সীমান্তের পূর্বাঞ্চল পরিদর্শন করেন অমিত শাহ। সেখানে ‘অরুণাচল রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস’- এর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সফর প্রসঙ্গে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কেং শুয়াং বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অরুণাচলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে সীমান্তের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা কমবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেং শুয়াং আরও বলেন, অমিত শাহের সফরের কারণে চীনের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয়েছে এবং দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাসে আঘাত এসেছে।

গত নভেম্বরে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘চীন অরুণাচল প্রদেশকে কোনোদিনও ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। এখানে ভারতীয় নেতাদের সব কার্যকলাপের চূড়ান্ত বিরোধিতা করা হবে। তাই অঞ্চলটিতে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে ভারতের উচিত, কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নেয়া।’ কে শুয়াং বলেন, অরুণাচল প্রদেশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। চীন কখনও সে অঞ্চল দখল করে সৃষ্ট তথাকথিত ‘অরুণাচল রাজ্য’কে স্বীকার করেনি।