সেচ ম্যানেজারের আক্রোশে বোরোক্ষেত শুকিয়ে চৌচির!

কলারোয়ায় চলতি ইরি মৌসুমে জয়নগর ইউনিয়নে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতায় এক কৃষকের জমির ইরি ধানে ব্যক্তি আক্রোশে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার ইচ্ছাকৃতভাবে পানি না দিয়ে ক্ষেতের ধান গাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এ বিষয় উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, চলতি ইরি মৌসুমে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতায় তার ও তার ভাইয়ের এক বিঘা পাঁচ কাটায় ইরি ধান রোপণ করে। ওই প্রকল্পের সেচ পাম্পটি একই গ্রামের আজিবার গাজি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ওই ম্যানেজার তাদের রোপণকৃত ইরিধান ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে ধান ক্ষেতে পানি দিচ্ছে না। ওই কৃষক বিষয়টি নিয়ে জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মালীর শরণাপন্ন হন। কিন্ত ওই চেয়ারম্যান সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারের সঙ্গে জমিতে পানি দেয়ার কথা বলেও কোন ফলে আনতে পারেননি। জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়দেব সাহাকে জানালে তিনিও ওই কৃষককের ইরি ধানের জমিতে পানি দেয়ার সুপারিশ করেন। কিন্তু ওই ম্যানেজার পানি দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পানির অভাবে ওই কৃষকের ধান মারা গেছে। এ বিষয় কলারোয়া উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দিয়েছি।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সেচ ম্যানেজারের আক্রোশে বোরোক্ষেত শুকিয়ে চৌচির!

প্রতিনিধি, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

image

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : সেচের অভাবে শুকিয়ে যাওয়া ধান ক্ষেত -সংবাদ

কলারোয়ায় চলতি ইরি মৌসুমে জয়নগর ইউনিয়নে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতায় এক কৃষকের জমির ইরি ধানে ব্যক্তি আক্রোশে সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার ইচ্ছাকৃতভাবে পানি না দিয়ে ক্ষেতের ধান গাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এ বিষয় উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, চলতি ইরি মৌসুমে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্পের আওতায় তার ও তার ভাইয়ের এক বিঘা পাঁচ কাটায় ইরি ধান রোপণ করে। ওই প্রকল্পের সেচ পাম্পটি একই গ্রামের আজিবার গাজি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ওই ম্যানেজার তাদের রোপণকৃত ইরিধান ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে ধান ক্ষেতে পানি দিচ্ছে না। ওই কৃষক বিষয়টি নিয়ে জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মালীর শরণাপন্ন হন। কিন্ত ওই চেয়ারম্যান সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারের সঙ্গে জমিতে পানি দেয়ার কথা বলেও কোন ফলে আনতে পারেননি। জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়দেব সাহাকে জানালে তিনিও ওই কৃষককের ইরি ধানের জমিতে পানি দেয়ার সুপারিশ করেন। কিন্তু ওই ম্যানেজার পানি দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পানির অভাবে ওই কৃষকের ধান মারা গেছে। এ বিষয় কলারোয়া উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দিয়েছি।