নায়ক রাজকে উৎসর্গ করে বাংলোর নামকরণ

গেলো একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে নায়ক রাজের স্ত্রী ও নায়ক রাজের বড় ছেলে বাপ্পারাজ শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে গিয়েছিলেন ‘হারমিটেজ গেস্ট হাউজ’-এ। সেখানে গিয়ে নায়ক রাজ পরিবার বেশ বিস্মিতই হলেন। কারণ সেখানে গেস্ট হাউজটির কর্ণধার আইনজীবী সুলতানা ফাইজুন্নাহার ছয় মাস আগে নির্মিত নতুন বাংলোটি নায়ক রাজ রাজ্জাককে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ পত্রে লেখা আছে ‘নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে-যিনি এই পর্ণকুটিরে একাধিকবার পদধূলি দিয়াছেন।’

নিজের বাবার নামে বাংলা উৎসর্গ দেখে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পারাজ। বিষয়টি নিয়ে তিনি এতোটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন যে বারবার চোখের জল ফেলছিলেন। বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমি, আমার পরিবার শ্রদ্ধেয় সুলতানা ফাইজুন্নাহার আন্টির কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। আমরা এমনিতেই ক’দিনের জন্য সেখানে বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে গিয়ে এতোটা ভালোবাসা আর মায়ার জালে জড়াবো, ভাবতেও পারিনি। আব্বা চলে যাবার পর অনেকেই অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম, কিছুই হবেনা। দিন যাচ্ছে সময় যাচ্ছে। আমার সেই ধারনা সত্যি হচ্ছে। কিন্তু আমার সেই ধারণা একজন সাধারণ মানুষের কাছে মিথ্যে হয়ে গেলো। আমরা ফাইজুন্নাহার আন্টির ভালোবাসার কাছে হেরে গেলাম, ঋণী হয়ে গেলাম তার কাছে। আব্বার প্রতি তার শ্রদ্ধা ভালোবাসা দেখে সত্যিই চোখে পানি চলে আসছিলো বারবার। আম্মাও আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন।’ সুলতানা ফাইজুন্নাহার বলেন, ‘আমার প্রিয় নায়ক নায়ক রাজ রাজ্জাক। পেশায় আমি একজন আইনজীবী হলেও বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত আমি এই গেস্ট হাউজটি নিয়েই ব্যস্ত। সর্বশেষ যখন আমার প্রিয় নায়ক এখানে এসেছিলেন তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি আবার আসবেন। কিন্তু আর তার আসা হলোনা। তখন আমি খুব কষ্ট পাই। তাকে মনের মতো করে রান্না করে খাওয়াতে পারিনি, ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। আমার ভেতর হতাশা কাজ করছিলো। তাই একসময় তার প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধা ভালোবাসা থেকেই নতুন বাংলোটি আমি তাকে উৎসর্গ করি। আমি আমার নিজের মনের শান্তির জন্যই এটি করেছি। আল্লাহ নায়ক রাজকে বেহেস্ত নসীব করুন।’

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নায়ক রাজকে উৎসর্গ করে বাংলোর নামকরণ

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

গেলো একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে নায়ক রাজের স্ত্রী ও নায়ক রাজের বড় ছেলে বাপ্পারাজ শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে গিয়েছিলেন ‘হারমিটেজ গেস্ট হাউজ’-এ। সেখানে গিয়ে নায়ক রাজ পরিবার বেশ বিস্মিতই হলেন। কারণ সেখানে গেস্ট হাউজটির কর্ণধার আইনজীবী সুলতানা ফাইজুন্নাহার ছয় মাস আগে নির্মিত নতুন বাংলোটি নায়ক রাজ রাজ্জাককে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ পত্রে লেখা আছে ‘নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে-যিনি এই পর্ণকুটিরে একাধিকবার পদধূলি দিয়াছেন।’

নিজের বাবার নামে বাংলা উৎসর্গ দেখে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পারাজ। বিষয়টি নিয়ে তিনি এতোটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন যে বারবার চোখের জল ফেলছিলেন। বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমি, আমার পরিবার শ্রদ্ধেয় সুলতানা ফাইজুন্নাহার আন্টির কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। আমরা এমনিতেই ক’দিনের জন্য সেখানে বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে গিয়ে এতোটা ভালোবাসা আর মায়ার জালে জড়াবো, ভাবতেও পারিনি। আব্বা চলে যাবার পর অনেকেই অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম, কিছুই হবেনা। দিন যাচ্ছে সময় যাচ্ছে। আমার সেই ধারনা সত্যি হচ্ছে। কিন্তু আমার সেই ধারণা একজন সাধারণ মানুষের কাছে মিথ্যে হয়ে গেলো। আমরা ফাইজুন্নাহার আন্টির ভালোবাসার কাছে হেরে গেলাম, ঋণী হয়ে গেলাম তার কাছে। আব্বার প্রতি তার শ্রদ্ধা ভালোবাসা দেখে সত্যিই চোখে পানি চলে আসছিলো বারবার। আম্মাও আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন।’ সুলতানা ফাইজুন্নাহার বলেন, ‘আমার প্রিয় নায়ক নায়ক রাজ রাজ্জাক। পেশায় আমি একজন আইনজীবী হলেও বিগত বেশ কয়েকবছর যাবত আমি এই গেস্ট হাউজটি নিয়েই ব্যস্ত। সর্বশেষ যখন আমার প্রিয় নায়ক এখানে এসেছিলেন তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে তিনি আবার আসবেন। কিন্তু আর তার আসা হলোনা। তখন আমি খুব কষ্ট পাই। তাকে মনের মতো করে রান্না করে খাওয়াতে পারিনি, ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। আমার ভেতর হতাশা কাজ করছিলো। তাই একসময় তার প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধা ভালোবাসা থেকেই নতুন বাংলোটি আমি তাকে উৎসর্গ করি। আমি আমার নিজের মনের শান্তির জন্যই এটি করেছি। আল্লাহ নায়ক রাজকে বেহেস্ত নসীব করুন।’