আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানা

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা না মেনে আইন বিভাগে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে জরিমানার এই অর্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এওয়াই মশিউজ্জামান ও এসএম কফিল উদ্দিন। আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। আর সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন কামরুজ্জামান কাকন।

আদালতের আদেশে বলা হয়, জরিমানার অর্থ কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকেই তা পরিশোধ করতে হবে। টাকা জমা দেয়ার সেই রশিদ দেখিয়ে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটকারী শিক্ষার্থীরা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বার কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র নিতে পারবেন।

কামরুজ্জামান কাকন বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে থাকায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক রবিউল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার আদালতের তলবে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা বলেছেন, আপিল বিভাগের নির্দেশের পর তারা অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করাননি। রিটকারী ১৭ শিক্ষার্থী আগেই ভর্তি হয়েছিলেন।

সগির হোসেন লিয়ন বলেন, চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কেএম গোলাম মহিউদ্দিন আদালতে এসেছিলেন। আদালত তার বক্তব্য শোনার পর ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। বার কাউন্সিলে টাকা জমা দিলে রিটকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউজিসির জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারবে না। ইউজিসির নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বার কাউন্সিল এক নোটিশে জানায়, কোন বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয় প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিলে নিবন্ধন দেয়া হবে না। এরপর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। সেসব আবেদনে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করে এবং তাদের পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির (আইআইইউসি) ৩৯ এবং সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১৭ জন শিক্ষার্থীর করা পৃথক রিট আবেদনে হাইকোর্ট আইনজীবী হিসেবে তাদের তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিল আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে করলে আদালত গত বৃহস্পতিবার দুই ইউনিভার্সিটির উপাচার্যদের তলব করে। সে তলবে রোববার সকালে হাজির হয়ে তারা ভুল স্বীকার করলে সর্বোচ্চ আদালত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে আদেশ দেন। এর আগে একই কারণে ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন সর্বোচ্চ আদালত।

আরও খবর
উন্নয়ন পরিকল্পনা একে অপরের পরিপূরক হবে না প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের কোচিং-এ বাধ্য করবেন না
বিএনপি জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে না তথ্যমন্ত্রী
ঋণখেলাপির দায়ে বিএনপি ও জাপার প্রার্থিতা বাতিল আ’লীগের বৈধ ঘোষণা
প্রবাসীদের জন্য দুদকের হটলাইন
খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি ফখরুল
পাপিয়ার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যবসায়ী আমলা ও রাজনৈতিক নেতা
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা
ক্রাইম পেট্রোল দেখে এখন ভিআইপি চোর
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার আহ্বান ঢাবি শিক্ষার্থীদের
তালিকা হাতে স্টলে স্টলে ক্রেতারা
পাবনায় লালন স্মরণোৎসব
রাজবাড়ীতে কবিতা উৎসব
শিল্পকলায় জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ভর্তিতে নির্দেশনা অগ্রাহ্য

আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা না মেনে আইন বিভাগে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করায় আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে জরিমানার এই অর্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এওয়াই মশিউজ্জামান ও এসএম কফিল উদ্দিন। আইআইইউসি শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। আর সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন কামরুজ্জামান কাকন।

আদালতের আদেশে বলা হয়, জরিমানার অর্থ কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকেই তা পরিশোধ করতে হবে। টাকা জমা দেয়ার সেই রশিদ দেখিয়ে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটকারী শিক্ষার্থীরা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বার কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র নিতে পারবেন।

কামরুজ্জামান কাকন বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে থাকায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক রবিউল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার আদালতের তলবে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা বলেছেন, আপিল বিভাগের নির্দেশের পর তারা অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করাননি। রিটকারী ১৭ শিক্ষার্থী আগেই ভর্তি হয়েছিলেন।

সগির হোসেন লিয়ন বলেন, চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কেএম গোলাম মহিউদ্দিন আদালতে এসেছিলেন। আদালত তার বক্তব্য শোনার পর ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। বার কাউন্সিলে টাকা জমা দিলে রিটকারী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউজিসির জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে পারবে না। ইউজিসির নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বার কাউন্সিল এক নোটিশে জানায়, কোন বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয় প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিলে নিবন্ধন দেয়া হবে না। এরপর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। সেসব আবেদনে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করে এবং তাদের পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির (আইআইইউসি) ৩৯ এবং সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১৭ জন শিক্ষার্থীর করা পৃথক রিট আবেদনে হাইকোর্ট আইনজীবী হিসেবে তাদের তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ দিতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে বার কাউন্সিল আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলে করলে আদালত গত বৃহস্পতিবার দুই ইউনিভার্সিটির উপাচার্যদের তলব করে। সে তলবে রোববার সকালে হাজির হয়ে তারা ভুল স্বীকার করলে সর্বোচ্চ আদালত ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে আদেশ দেন। এর আগে একই কারণে ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন সর্বোচ্চ আদালত।