করোনা সংকট মোকাবিলায় মানুষের পাশে ‘পাঠাও’

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর এই সময় গ্রাহক, অংশীদারসহ সবাইকে নিরাপদ রাখতে এই সময়ে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষ যেন ঘরে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ও সেবা পেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে পাঠাও। সংশ্লিষ্ট খাতের সহকর্মী, অংশীদার এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে পাঠাও।

১. পাঠাও টঙ : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অনডিমান্ড ডেলিভারি সার্ভিস ‘টঙ’ পুনরায় চালু করেছে পাঠাও। পাঠাও ব্যবহারকারীরা এখন অর্ডার দিয়ে সহজেই খাবার ও পানীয়, নিত্য পণ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত পণ্য এবং ব্যবস্থাপত্র লাগে না এমন সব প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও পেতে পারেন। ৪০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের ঘরের দরজায় অর্ডারকৃত জিনিসপত্র পৌঁছে দিবে পাঠাও। পাঠাও অ্যাপসের ফুডে ক্লিক করে যে কেউ ‘টঙ’ সেকশনে ঢুকতে পারবেন।

২. স্পর্শহীন নিরাপদ ডেলিভারি : ডিজিটালি পরিশোধকৃত যে কোনো অর্ডারি পণ্য কোনো রকম হাতের প্রত্যক্ষ স্পর্শ ছাড়াই অর্ডাকারীর কাছে পৌঁছে দিবে পাঠাও। এ লক্ষ্যে পাঠাও ডেলিভারি প্রতিনিধিদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঘরের দরজা কিংবা অন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অর্ডারি পণ্য ডেলিভারি দেয়ার সময় পাঠাও প্রতিনিধিরা অর্ডারকারীর থেকে অন্তত: তিন ফুট দূরে দাঁড়াবেন। পাঠাওয়ে সহজেই ডিজিটালি অর্থপরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে এবং পাঠাও এটি উৎসাহিত করছে, কারণ এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় মনুষ্য সঙ্গ এড়িয়ে চলা সম্ভব। পাঠাও অ্যাপস ব্যবহারকারীরা ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং মোবাইলে অর্থ লেনদেন সেবাগুলোর মাধ্যমে সহজেই অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

৩. প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি বিতরণ : গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদানের সময় চালক, ডেলিভারি প্রতিনিধি এবং ফুডম্যানরা যাতে নিরাপদ থাকেন, সেটি নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি বিতরণ করেছে পাঠাও।

৪. প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম : করোনা মহামারীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিজেদের চালক, ফুডম্যান এবং ডেলিভারি প্রতিনিধিদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক বার্তা পাঠাচ্ছে পাঠাও।

৫. সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম : যেসব প্রতিষ্ঠান সমাজের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কাজ করছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ক্রান্তিকালীন এই সময়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে পাঠাও।

এ প্রসঙ্গে পাঠাও এর সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়, এটুআইসহ সরকারের বিভিন্ন শাখা, বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব) এবং এখাতের অন্যান্য সহযোগিদের সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি ‘ক্রিটিক্যাল সাপ্লাই চেইন’ বজায় রাখার চেষ্টা করছি। সক্ষমতা থাকা পর্যন্ত আমরা আপনাদেরকে সেবা প্রদান করে যাবার চেষ্টা করবো। অভূতপূর্ব এবং অনিশ্চিয়তার এই সময়কে কেবল ঐক্যবদ্ধভাবেই মোকাবেলা করা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বুধবার, ০১ এপ্রিল ২০২০ , ১৮ চৈত্র ১৪২৬, ৬ শাবান ১৪৪১

করোনা সংকট মোকাবিলায় মানুষের পাশে ‘পাঠাও’

image

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর এই সময় গ্রাহক, অংশীদারসহ সবাইকে নিরাপদ রাখতে এই সময়ে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষ যেন ঘরে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য ও সেবা পেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে পাঠাও। সংশ্লিষ্ট খাতের সহকর্মী, অংশীদার এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে পাঠাও।

১. পাঠাও টঙ : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অনডিমান্ড ডেলিভারি সার্ভিস ‘টঙ’ পুনরায় চালু করেছে পাঠাও। পাঠাও ব্যবহারকারীরা এখন অর্ডার দিয়ে সহজেই খাবার ও পানীয়, নিত্য পণ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত পণ্য এবং ব্যবস্থাপত্র লাগে না এমন সব প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও পেতে পারেন। ৪০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের ঘরের দরজায় অর্ডারকৃত জিনিসপত্র পৌঁছে দিবে পাঠাও। পাঠাও অ্যাপসের ফুডে ক্লিক করে যে কেউ ‘টঙ’ সেকশনে ঢুকতে পারবেন।

২. স্পর্শহীন নিরাপদ ডেলিভারি : ডিজিটালি পরিশোধকৃত যে কোনো অর্ডারি পণ্য কোনো রকম হাতের প্রত্যক্ষ স্পর্শ ছাড়াই অর্ডাকারীর কাছে পৌঁছে দিবে পাঠাও। এ লক্ষ্যে পাঠাও ডেলিভারি প্রতিনিধিদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঘরের দরজা কিংবা অন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অর্ডারি পণ্য ডেলিভারি দেয়ার সময় পাঠাও প্রতিনিধিরা অর্ডারকারীর থেকে অন্তত: তিন ফুট দূরে দাঁড়াবেন। পাঠাওয়ে সহজেই ডিজিটালি অর্থপরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে এবং পাঠাও এটি উৎসাহিত করছে, কারণ এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় মনুষ্য সঙ্গ এড়িয়ে চলা সম্ভব। পাঠাও অ্যাপস ব্যবহারকারীরা ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড এবং মোবাইলে অর্থ লেনদেন সেবাগুলোর মাধ্যমে সহজেই অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

৩. প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি বিতরণ : গ্রাহকদেরকে সেবা প্রদানের সময় চালক, ডেলিভারি প্রতিনিধি এবং ফুডম্যানরা যাতে নিরাপদ থাকেন, সেটি নিশ্চিত করতে তাদের মাঝে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি বিতরণ করেছে পাঠাও।

৪. প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম : করোনা মহামারীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিজেদের চালক, ফুডম্যান এবং ডেলিভারি প্রতিনিধিদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে সচেতনতামূলক বার্তা পাঠাচ্ছে পাঠাও।

৫. সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম : যেসব প্রতিষ্ঠান সমাজের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কাজ করছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ক্রান্তিকালীন এই সময়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে পাঠাও।

এ প্রসঙ্গে পাঠাও এর সিইও হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়, এটুআইসহ সরকারের বিভিন্ন শাখা, বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব) এবং এখাতের অন্যান্য সহযোগিদের সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি ‘ক্রিটিক্যাল সাপ্লাই চেইন’ বজায় রাখার চেষ্টা করছি। সক্ষমতা থাকা পর্যন্ত আমরা আপনাদেরকে সেবা প্রদান করে যাবার চেষ্টা করবো। অভূতপূর্ব এবং অনিশ্চিয়তার এই সময়কে কেবল ঐক্যবদ্ধভাবেই মোকাবেলা করা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।