গরিব মানুষকে ঘরে রাখতে হলে তাদের ঘরে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছাতে হবে

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ত্রাণের খাদ্যের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে কর্মহীন শ্রমিক সাধারণ মানুষকে। কিন্তু তাদের মধ্যে ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব। একজন অন্যজনের গা ঘেঁষে সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সবার মুখে মলিনতা, অশান্তির ছাপ। মাঝে-মধ্যে বিত্তবানদের কেউ কেউ কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের মাঝে বিতরণ করছেন। তবে অতি দরিদ্রদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কিছুই পাচ্ছেন না।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, স্বাভাবিক কর্মকা- বন্ধ থাকায়, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় দিন এনে দিন খাওয়া-মানুষদের এখন কষ্টের শেষ নেই। এ মুহূর্তে তাদের ঘরে রাখতে হলে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার বিকল্প নেই। এটা মনে রাখতে হবে যে, ক্ষুধা-তৃষ্ণা কোন নিষেধ-বারণ মানে না। ক্ষুধার্ত মানুষ তার পরিবার-পরিজনের জন্য হলেও রাস্তায় দাঁড়াবে, প্রয়োজনের তাগিদেই তাকে দাঁড়াতে হবে। যদি তাদের সবার ঘরে জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপকরণ পৌঁছে দেয়া যায় তবেই তারা ঘরে থাকবে এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি মানবে।

ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কাঠমোকে কার্যকর করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউপি মেম্বারদের দিয়ে সেই এলাকায় অতি দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা উচিত। শহরাঞ্চলে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দিয়ে একইভাবে বস্তিবাসী ও কর্মহীন মানুষদের তালিকা করা সম্ভব। সেই তালিকা ধরে ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে পারে ইউপি মেম্বার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহায়তায়। দেশের অভাবি মানুষের তালিকা করে প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো যায়। এভাবে প্রান্তিক মানুষদের খাদ্যের খোঁজে বাইরে আমারও প্রয়োজন পড়বে না, নিশ্চিত করা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব। যেটা এ সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

মঙ্গলবার, ০৭ এপ্রিল ২০২০ , ২৪ চৈত্র ১৪২৬, ১২ শাবান ১৪৪১

গরিব মানুষকে ঘরে রাখতে হলে তাদের ঘরে খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছাতে হবে

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ত্রাণের খাদ্যের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে কর্মহীন শ্রমিক সাধারণ মানুষকে। কিন্তু তাদের মধ্যে ছিল না কোন সামাজিক দূরত্ব। একজন অন্যজনের গা ঘেঁষে সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সবার মুখে মলিনতা, অশান্তির ছাপ। মাঝে-মধ্যে বিত্তবানদের কেউ কেউ কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের মাঝে বিতরণ করছেন। তবে অতি দরিদ্রদের অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কিছুই পাচ্ছেন না।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, স্বাভাবিক কর্মকা- বন্ধ থাকায়, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় দিন এনে দিন খাওয়া-মানুষদের এখন কষ্টের শেষ নেই। এ মুহূর্তে তাদের ঘরে রাখতে হলে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার বিকল্প নেই। এটা মনে রাখতে হবে যে, ক্ষুধা-তৃষ্ণা কোন নিষেধ-বারণ মানে না। ক্ষুধার্ত মানুষ তার পরিবার-পরিজনের জন্য হলেও রাস্তায় দাঁড়াবে, প্রয়োজনের তাগিদেই তাকে দাঁড়াতে হবে। যদি তাদের সবার ঘরে জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য উপকরণ পৌঁছে দেয়া যায় তবেই তারা ঘরে থাকবে এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি মানবে।

ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কাঠমোকে কার্যকর করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউপি মেম্বারদের দিয়ে সেই এলাকায় অতি দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা উচিত। শহরাঞ্চলে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দিয়ে একইভাবে বস্তিবাসী ও কর্মহীন মানুষদের তালিকা করা সম্ভব। সেই তালিকা ধরে ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে পারে ইউপি মেম্বার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহায়তায়। দেশের অভাবি মানুষের তালিকা করে প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানো যায়। এভাবে প্রান্তিক মানুষদের খাদ্যের খোঁজে বাইরে আমারও প্রয়োজন পড়বে না, নিশ্চিত করা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব। যেটা এ সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।