ল্যাবের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সক্ষমতাও বৃদ্ধি করুন

কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষা কেন্দ্রের (ল্যাবরেটরি) সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু সেই তুলনায় পরীক্ষার সংখ্যা বাড়েনি। কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার ১২ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ ও সরবরাহ বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথম থেকেই রোগের পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত শুক্রবারও সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, রোগী শনাক্ত করা, পরীক্ষা করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা জরুরি। এছাড়া তিনি তথ্য সংগ্রহ করা এবং যোগাযোগ কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলেছেন। এ নিয়ে গত রোববার সহযোগী দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে, দেশে এখন ১৪টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯টি ও ঢাকার বাইরে ৫টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে দৈনিক কমপক্ষে চার হাজার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩৪টি। দেশে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪৭ জনের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা খুবই কম।

করোনাভাইরাসের মূল প্রতিরোধের ব্যবস্থাটাই হচ্ছে পরীক্ষা। যত দ্রুত পরীক্ষা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত হবে এবং আইসোলেশনে যাবে। শুরু থেকেই দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। ল্যাব বাড়লেও নমুনা সংগ্রহে ঘাটতির বিষয়টি দুঃখজনক। জনবল ঘাটতির বিষয়ট আরও আগে মাথায় রাখা উচিত ছিল। চীনে যখন প্রথম দেখা দিয়েছিল তারাও বিষয়টি আমলে নেয়নি। এরপর ইতালিও বিষয়টি আমলে না নেয়ার কারণে এখন তাদের এজন্য চরম খেসারত দিতে হচ্ছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর ল্যাব বাড়ানো হয়েছে কিন্তু শুধু ল্যাব বাড়ালেই হয় না, তাদের সক্ষমতাও বাড়াতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- সেই সক্ষমতা কি আদৌ বেড়েছে? এজন্য যেমন প্রয়োজন প্রশিক্ষিত জনবল তেমনি দরকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। তবে এক্ষেত্রে যে এখনও আরো অনেক কিছু করার রয়েছে- সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

বিপদ বাড়বে না এই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন অবকাশ নেই। আমরা মনে করি, ল্যাব বাড়ানো, প্রশিক্ষিত জনবলের সংখ্যা বাড়ানো, নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ানো এবং ক্রমবর্ধমান হারে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। এটা তখনই সম্ভব যখন পুরো প্রক্রিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার, ০৭ এপ্রিল ২০২০ , ২৪ চৈত্র ১৪২৬, ১২ শাবান ১৪৪১

ল্যাবের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সক্ষমতাও বৃদ্ধি করুন

কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষা কেন্দ্রের (ল্যাবরেটরি) সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু সেই তুলনায় পরীক্ষার সংখ্যা বাড়েনি। কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার ১২ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ ও সরবরাহ বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথম থেকেই রোগের পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত শুক্রবারও সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, রোগী শনাক্ত করা, পরীক্ষা করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা জরুরি। এছাড়া তিনি তথ্য সংগ্রহ করা এবং যোগাযোগ কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলেছেন। এ নিয়ে গত রোববার সহযোগী দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে, দেশে এখন ১৪টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৯টি ও ঢাকার বাইরে ৫টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে দৈনিক কমপক্ষে চার হাজার নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩৪টি। দেশে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৪৭ জনের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় এ সংখ্যা খুবই কম।

করোনাভাইরাসের মূল প্রতিরোধের ব্যবস্থাটাই হচ্ছে পরীক্ষা। যত দ্রুত পরীক্ষা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত হবে এবং আইসোলেশনে যাবে। শুরু থেকেই দেখা গেছে, মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। ল্যাব বাড়লেও নমুনা সংগ্রহে ঘাটতির বিষয়টি দুঃখজনক। জনবল ঘাটতির বিষয়ট আরও আগে মাথায় রাখা উচিত ছিল। চীনে যখন প্রথম দেখা দিয়েছিল তারাও বিষয়টি আমলে নেয়নি। এরপর ইতালিও বিষয়টি আমলে না নেয়ার কারণে এখন তাদের এজন্য চরম খেসারত দিতে হচ্ছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর ল্যাব বাড়ানো হয়েছে কিন্তু শুধু ল্যাব বাড়ালেই হয় না, তাদের সক্ষমতাও বাড়াতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- সেই সক্ষমতা কি আদৌ বেড়েছে? এজন্য যেমন প্রয়োজন প্রশিক্ষিত জনবল তেমনি দরকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। তবে এক্ষেত্রে যে এখনও আরো অনেক কিছু করার রয়েছে- সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

বিপদ বাড়বে না এই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন অবকাশ নেই। আমরা মনে করি, ল্যাব বাড়ানো, প্রশিক্ষিত জনবলের সংখ্যা বাড়ানো, নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ানো এবং ক্রমবর্ধমান হারে পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। এটা তখনই সম্ভব যখন পুরো প্রক্রিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।