হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেয়া চাল চুরি চলছে বলে জানা গেছে। ৩৫৬ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার এ নিয়ে সহযোগী দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে।

দেশের কোন দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে চুরি, লুট সব সময় কমবেশি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে করোনার দুর্যোগের সময় তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের আক্রমণ অন্য সময়ের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো দেশীয় দুর্যোগ নয়। এই দুর্যোগ গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এই দুর্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ত্রাণ নিয়ে যে দুর্নীতি হতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল। এবং দুর্নীতি করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই হুশিয়ারি দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা এতেও দমেনি।

মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলেই এই মহাদুর্যোগের সময়ও গরিব মানুষের চাল নিয়ে মহাদুর্নীতি করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য নিয়ে যারা নয়ছয় করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষিত। এই ত্রাণ তো হতদরিদ্রদের প্রাপ্য। এগুলো নিয়ে নয়ছয় করাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। যেসব জনপ্রতিনিধি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বরখাস্ত করতে হবে। আইনি ব্যবস্থায় শাস্তি দিতে হবে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। ত্রাণ বিতরণের পুরনো সিস্টেম বদলাতে হবে। এই ডিজিটাল যুগে ত্রাণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকৃত প্রাপ্যরা পাচ্ছে কিনা, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০ , ২৯ চৈত্র ১৪২৬, ১৭ শাবান ১৪৪১

হতদরিদ্রদের চাল নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেয়া চাল চুরি চলছে বলে জানা গেছে। ৩৫৬ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার এ নিয়ে সহযোগী দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে।

দেশের কোন দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে চুরি, লুট সব সময় কমবেশি হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে করোনার দুর্যোগের সময় তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের আক্রমণ অন্য সময়ের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো দেশীয় দুর্যোগ নয়। এই দুর্যোগ গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এই দুর্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ত্রাণ নিয়ে যে দুর্নীতি হতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল। এবং দুর্নীতি করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই হুশিয়ারি দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা এতেও দমেনি।

মূলত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলেই এই মহাদুর্যোগের সময়ও গরিব মানুষের চাল নিয়ে মহাদুর্নীতি করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্য নিয়ে যারা নয়ছয় করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও উপেক্ষিত। এই ত্রাণ তো হতদরিদ্রদের প্রাপ্য। এগুলো নিয়ে নয়ছয় করাটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। যেসব জনপ্রতিনিধি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বরখাস্ত করতে হবে। আইনি ব্যবস্থায় শাস্তি দিতে হবে। আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। ত্রাণ বিতরণের পুরনো সিস্টেম বদলাতে হবে। এই ডিজিটাল যুগে ত্রাণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকৃত প্রাপ্যরা পাচ্ছে কিনা, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।