৪ জেলায় করোনা উপসর্গে মৃত্যু ৪

হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে প্রকৌশলী

সাভার

প্রতিনিধি,সাভার (ঢাকা)

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন (৫২)। পরে রাজধানীর মহানগর হাসপাতালে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারে স্বজনরা। তবে স্বজনদের দাবি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে এমন ভেবেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আতঙ্ক হয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা ও পরিবারের স্বজনরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত জসিম উদ্দিন সাভারের হেমায়েতপুরে জয়নাবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা। মৃতের আত্মীয় ফজলুল হক জানায়, জসিম উদ্দিনের পূর্বে থেকেই শ্বাস কষ্টের সমস্যা ছিলেন। হঠাৎ বুধবার (৮ এপ্রিল) থেকে তার বুক ব্যথা ও শ্বাস কষ্টের পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা ও প্রসাব বন্ধ হয়ে গেলে স্বজনরা একটি সাভারের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেই হাসপাতালে এক্সেরে করানোর পর রোগীর করোনার লক্ষণ হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা। পরে তাকে ওই প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরার্মশ দেন। এরপরে ওই প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে রোগীকে রাত ৯টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীর উপসর্গ দেখে করোনা হয়েছে বলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ওই হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। সেখান থেকে উপসর্গ ও প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তার করোনা হয়নি বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন। এরপরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি নেয়নি। এরপরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহানগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তার নিকর্ট ওই আত্মীয়। তবে এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, রাতে যে রোগীকে ঢাকা পাঠানো হয়েছিল তার মৃত্যু হয়েছে । ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যু সনদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ সময় ওই কর্মকর্তা জানান, তারপরও মৃত ব্যক্তির বাড়ি দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হবে।

গলাচিপা

প্রতিনিধি, গলাচিপা

গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পানখালী গ্রামে সামসুল হকের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৬৫) বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে করোনা প্রটোকল মেনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে আসার পথে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে তার মৃত্যু হয়। রোবারার তার নমুনা সংগ্রহ করার পর তাকে করোনা প্রটোকলে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃত রাহিমার পুত্রবধূ ও নাতিকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাহিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে গলাচিপা পৌর এলাকার আরেকজনের করোনা ভাইরাসের লক্ষণ থাকায় নমুনা সংগ্র করা হয়েছে এবং তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

নারায়ণগঞ্জ

প্র্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকার আরও এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। মৃতের নাম মনির হোসেন (৬৫)। তিনি সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ পাক্কা রোডের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন গাড়িচালক ছিলেন। করোনা উপসর্গ থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন তিনি। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাসিকের প্যানেল মেয়র সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা হাসান। মৃত মনির হোসেনের ছেলে রুবেল বলেন, কয়েকদিন ধরেই বাবা অসুস্থ ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরে প্রাইভেট একটি হাসাপাতালের এক চিকিৎসককে দেখালে পরীক্ষা করে ওষুধপত্র দেন। ৭ এপ্রিল তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত বুধবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সারাদিন নেবুলাইজার দেয়ার পরও যখন ঠিক হলেন না তখন বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভিক্টোরিয়া হাসপাতল বন্ধ থাকায় ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলাম। করোনাসহ তিনটা পরীক্ষা করা হলো। রাত সাড়ে দশটার দিকে করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসল। পরে বাবাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করলাম। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা জানতে পারছি দুপুর দেড়টার দিকে। রুবেল জানান, মনির হোসেনের লাশ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সেনবাগ

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালী সেনবাগের কেশারপাড় ইউনিয়নের উন্দানিয়া গ্রামের আলী আক্কাস (৪৫) নামে এক ব্যক্তি জ্বর, শর্দি, কাশি, বমি, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে গত রোববার রাতে মারা গেছেন। সে উন্দানিয়া গ্রামের মৃত আবদুল গোরফানের ছেলে। গত ৪ দিন থেকে সে অসুস্থ ছিল এবং রবিবার রাত ১১টার দিকে মারা যায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মতিউর রহমান জানান, ২নং কেশারপাড়া ইউনিয়নের ২ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য আজ চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হবে। এরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরহুমের লাশ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে পাশে নেই কেউ, করোনার আতঙ্কে পুরো বাড়ির মানুষ বাড়ি থেকে পালিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ , ১ বৈশাখ ১৪২৭, ১৯ শাবান ১৪৪১

৪ জেলায় করোনা উপসর্গে মৃত্যু ৪

হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে প্রকৌশলী

সাভার

প্রতিনিধি,সাভার (ঢাকা)

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন (৫২)। পরে রাজধানীর মহানগর হাসপাতালে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারে স্বজনরা। তবে স্বজনদের দাবি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে এমন ভেবেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা আতঙ্ক হয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা ও পরিবারের স্বজনরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মৃত জসিম উদ্দিন সাভারের হেমায়েতপুরে জয়নাবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা। মৃতের আত্মীয় ফজলুল হক জানায়, জসিম উদ্দিনের পূর্বে থেকেই শ্বাস কষ্টের সমস্যা ছিলেন। হঠাৎ বুধবার (৮ এপ্রিল) থেকে তার বুক ব্যথা ও শ্বাস কষ্টের পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা ও প্রসাব বন্ধ হয়ে গেলে স্বজনরা একটি সাভারের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেই হাসপাতালে এক্সেরে করানোর পর রোগীর করোনার লক্ষণ হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা। পরে তাকে ওই প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরার্মশ দেন। এরপরে ওই প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে রোগীকে রাত ৯টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসকরা রোগীর উপসর্গ দেখে করোনা হয়েছে বলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠান। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ওই হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। সেখান থেকে উপসর্গ ও প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তার করোনা হয়নি বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন। এরপরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি নেয়নি। এরপরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহানগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তার নিকর্ট ওই আত্মীয়। তবে এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, রাতে যে রোগীকে ঢাকা পাঠানো হয়েছিল তার মৃত্যু হয়েছে । ওই হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যু সনদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ সময় ওই কর্মকর্তা জানান, তারপরও মৃত ব্যক্তির বাড়ি দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হবে।

গলাচিপা

প্রতিনিধি, গলাচিপা

গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের পানখালী গ্রামে সামসুল হকের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৬৫) বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে করোনা প্রটোকল মেনে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে আসার পথে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে তার মৃত্যু হয়। রোবারার তার নমুনা সংগ্রহ করার পর তাকে করোনা প্রটোকলে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃত রাহিমার পুত্রবধূ ও নাতিকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাহিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে গলাচিপা পৌর এলাকার আরেকজনের করোনা ভাইরাসের লক্ষণ থাকায় নমুনা সংগ্র করা হয়েছে এবং তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

নারায়ণগঞ্জ

প্র্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকার আরও এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। মৃতের নাম মনির হোসেন (৬৫)। তিনি সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ পাক্কা রোডের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন গাড়িচালক ছিলেন। করোনা উপসর্গ থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন তিনি। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাসিকের প্যানেল মেয়র সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা হাসান। মৃত মনির হোসেনের ছেলে রুবেল বলেন, কয়েকদিন ধরেই বাবা অসুস্থ ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরে প্রাইভেট একটি হাসাপাতালের এক চিকিৎসককে দেখালে পরীক্ষা করে ওষুধপত্র দেন। ৭ এপ্রিল তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত বুধবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সারাদিন নেবুলাইজার দেয়ার পরও যখন ঠিক হলেন না তখন বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভিক্টোরিয়া হাসপাতল বন্ধ থাকায় ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলাম। করোনাসহ তিনটা পরীক্ষা করা হলো। রাত সাড়ে দশটার দিকে করোনা পজেটিভ বলে রিপোর্ট আসল। পরে বাবাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করলাম। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা জানতে পারছি দুপুর দেড়টার দিকে। রুবেল জানান, মনির হোসেনের লাশ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সেনবাগ

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালী সেনবাগের কেশারপাড় ইউনিয়নের উন্দানিয়া গ্রামের আলী আক্কাস (৪৫) নামে এক ব্যক্তি জ্বর, শর্দি, কাশি, বমি, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে গত রোববার রাতে মারা গেছেন। সে উন্দানিয়া গ্রামের মৃত আবদুল গোরফানের ছেলে। গত ৪ দিন থেকে সে অসুস্থ ছিল এবং রবিবার রাত ১১টার দিকে মারা যায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মতিউর রহমান জানান, ২নং কেশারপাড়া ইউনিয়নের ২ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য আজ চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হবে। এরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরহুমের লাশ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে পাশে নেই কেউ, করোনার আতঙ্কে পুরো বাড়ির মানুষ বাড়ি থেকে পালিয়েছে।