দিনাজপুরে

অসহায় মানুষের জন্য দুই ভাইয়ের বিনামূল্যের সবজির দোকান

বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। একই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্ক বাংলাদেশের মানুষকেও আঘাত হেঁনেছে। সরকার এর বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে সরকার ২৪ মার্চ হতে তিন দফায় সাধারণ ছুটি ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছেন অনেক পরিবার।

এমন অবস্থায় বিনামূল্যে সবজির দোকান নিয়ে বসেছেন দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে ইয়াসিন আলীর দুই ছেলে আহসান হাবিব ও সাহাজুল ইসলাম। দেশের এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এমন উদ্যোগ নিয়েছেন দুই সহদর।

জানা গেছে, নবাবগঞ্জ বাজারে আহসান ও সাহাজুল ইসলামের ছোট কসমেটিক দোকান রয়েছে। এই দোকানের ওপর চলে তাদের সংসার। পাশাপাশি নবাবগঞ্জ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন তারা।

দুই ভাই নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে সবজির দোকানের ছবিসহ যা লিখেছেন তা তুলে ধরা হলো- ‘আমরা আমাদের নিজ উদ্যোগে আমাদের গ্রামে সব মেহনতি মানুষের মধ্যে প্রতিদিন বিনামূল্যে কাঁচাবাজার (শাক-সবজি) বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। যত দিন দেশের এই করুণ অবস্থা চলতে থাকবে, ততদিন আমাদের এই কার্যক্রম চলতে থাকবে। যারা অভাবগ্রস্ত আছেন, লজ্জা না করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনাদের গোপনীয়তা রক্ষা করে আমরা মানবিক সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেব।’

এ বিষয়ে সাহাজুল ইসলাম জানান, আমাদের দেশে করোনাভাইরাস আসায় গ্রামে গরিব অসহায় মানুষ কাজকর্ম করতে পারছেন না। ঘর থেকে বের হতে সরকার থেকে নিষেধ আছে। তাই এই গরিব মানুষদের কথা ভেবে আমরা দুই ভাই ও বাবা মিলে ফ্রি শাকসবজির দোকান দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বিরামপুর বাজার থেকে এক হাজার টাকার শাকসবজি কিনে এনে বিকেল ৩টায় দোকানে বসছি। এতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন।

মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০ , ১ বৈশাখ ১৪২৭, ১৯ শাবান ১৪৪১

দিনাজপুরে

অসহায় মানুষের জন্য দুই ভাইয়ের বিনামূল্যের সবজির দোকান

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

image

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গরিব মানুষের জন্য দুই ভাইয়ের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ- বিনামূল্যে সবজির দোকান -সংবাদ

বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। একই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্ক বাংলাদেশের মানুষকেও আঘাত হেঁনেছে। সরকার এর বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে সরকার ২৪ মার্চ হতে তিন দফায় সাধারণ ছুটি ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। ঘর থেকে বের হতে না পেরে খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছেন অনেক পরিবার।

এমন অবস্থায় বিনামূল্যে সবজির দোকান নিয়ে বসেছেন দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে ইয়াসিন আলীর দুই ছেলে আহসান হাবিব ও সাহাজুল ইসলাম। দেশের এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এমন উদ্যোগ নিয়েছেন দুই সহদর।

জানা গেছে, নবাবগঞ্জ বাজারে আহসান ও সাহাজুল ইসলামের ছোট কসমেটিক দোকান রয়েছে। এই দোকানের ওপর চলে তাদের সংসার। পাশাপাশি নবাবগঞ্জ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন তারা।

দুই ভাই নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে সবজির দোকানের ছবিসহ যা লিখেছেন তা তুলে ধরা হলো- ‘আমরা আমাদের নিজ উদ্যোগে আমাদের গ্রামে সব মেহনতি মানুষের মধ্যে প্রতিদিন বিনামূল্যে কাঁচাবাজার (শাক-সবজি) বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। যত দিন দেশের এই করুণ অবস্থা চলতে থাকবে, ততদিন আমাদের এই কার্যক্রম চলতে থাকবে। যারা অভাবগ্রস্ত আছেন, লজ্জা না করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনাদের গোপনীয়তা রক্ষা করে আমরা মানবিক সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেব।’

এ বিষয়ে সাহাজুল ইসলাম জানান, আমাদের দেশে করোনাভাইরাস আসায় গ্রামে গরিব অসহায় মানুষ কাজকর্ম করতে পারছেন না। ঘর থেকে বের হতে সরকার থেকে নিষেধ আছে। তাই এই গরিব মানুষদের কথা ভেবে আমরা দুই ভাই ও বাবা মিলে ফ্রি শাকসবজির দোকান দিয়েছি।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন বিরামপুর বাজার থেকে এক হাজার টাকার শাকসবজি কিনে এনে বিকেল ৩টায় দোকানে বসছি। এতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন।