বিও হিসাবের নবায়ন ফি মওকুফের দাবি

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব নবায়নের ফি এক বছরের জন্য মওকুফ করতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে দাবি জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবলে দেশের অন্য খাতের মতো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে বিও নবায়নের ক্ষেত্রে তাদের ফি মওকুফ করার অনুরোধ করেছেন ডিএসইর সাবেক এ সভাপতি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিডিবিএলের কাছে বিও নবায়ন ফি মওকুফ করার বিনীত অনুরোধ করছি। দুর্দশাগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কিছুটা রক্ষা করার জন্য হলেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করা উচিত। একইসঙ্গে যেসব হাউসে সিডিবিএলের থেকে বেশি নবায়ন ফি চার্জ করা হয়, সেসব হাউসকেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম আঘাত হানে গত ৮ মার্চ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দফায় দফায় শেয়ারবাজারে ধস নামে। এতে ৯ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ৩০ হাজার কোটি টাকা হারান।

শেয়ারবাজারের এমন ধসের কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা দাবি করে আসছেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান। এর আগে পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদে প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে দেশের অন্য খাতের ন্যায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য সেই ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশিই। শেয়ারবাজার বন্ধ থাকলেও তাদের মার্জিন ঋণের বিপরীতে সুদজিনত ব্যয় থেমে নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে পাঁচটি প্যাকেজে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া কৃষি খাতের জন্য আরও ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, যা এই মুহূর্তে খুবই দরকার ছিল। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভর্তুকির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে বিনিয়োগকারীরাও অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। এই বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মার্জিন ঋণে ৪ শতাংশের ওপরের সুদ ভর্ভুকি দেয়ার অনুরোধ করছি। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীরা ৪ শতাংশ হারে সুদ দেবে। বাকিটা সরকার ভর্ভুকি বা সহায়তা দেবে। আগামী ১ বছর এই সুবিধা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

বিও হিসাবের নবায়ন ফি মওকুফের দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব নবায়নের ফি এক বছরের জন্য মওকুফ করতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে দাবি জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবলে দেশের অন্য খাতের মতো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে বিও নবায়নের ক্ষেত্রে তাদের ফি মওকুফ করার অনুরোধ করেছেন ডিএসইর সাবেক এ সভাপতি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিডিবিএলের কাছে বিও নবায়ন ফি মওকুফ করার বিনীত অনুরোধ করছি। দুর্দশাগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কিছুটা রক্ষা করার জন্য হলেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করা উচিত। একইসঙ্গে যেসব হাউসে সিডিবিএলের থেকে বেশি নবায়ন ফি চার্জ করা হয়, সেসব হাউসকেও এ বছর নবায়ন ফি মওকুফ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম আঘাত হানে গত ৮ মার্চ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দফায় দফায় শেয়ারবাজারে ধস নামে। এতে ৯ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ৩০ হাজার কোটি টাকা হারান।

শেয়ারবাজারের এমন ধসের কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা দাবি করে আসছেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান। এর আগে পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদে প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে দেশের অন্য খাতের ন্যায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য সেই ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশিই। শেয়ারবাজার বন্ধ থাকলেও তাদের মার্জিন ঋণের বিপরীতে সুদজিনত ব্যয় থেমে নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে পাঁচটি প্যাকেজে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তার বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া কৃষি খাতের জন্য আরও ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, যা এই মুহূর্তে খুবই দরকার ছিল। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভর্তুকির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে বিনিয়োগকারীরাও অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। এই বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মার্জিন ঋণে ৪ শতাংশের ওপরের সুদ ভর্ভুকি দেয়ার অনুরোধ করছি। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীরা ৪ শতাংশ হারে সুদ দেবে। বাকিটা সরকার ভর্ভুকি বা সহায়তা দেবে। আগামী ১ বছর এই সুবিধা দিতে হবে।