ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

আরও ৯ জন বরখাস্ত

ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। প্রভাবশালী কিংবা যে দলের নেতাকর্মীই হোক, গরিবের ত্রাণ আত্মসাৎ করে কেউ রেহাই পাবে না। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে গতকাল আরও চার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার। এর আগে গত ১২ এপ্রিল একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ত্রাণ বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ত্রাণের অপব্যবহার এটা আমরা বরদাশত করব না। এই অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে দলমত বিবেচনা না করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক, আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ত্রাণ দেয়া নিয়ে কোন সমস্যা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেই এর সঙ্গে জড়িত সে যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেবো। কারণ গরিব মানুষের জন্য আমরা যে সহায়তা দেবো কেউ এর অপব্যবহার করবে, এটা আমরা বরদাশত করবো না। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক, কেউ ছাড় পাবে না।’

এদিকে ওএমএসের চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ইদানিং কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। আপনার (ডিসি) সুযোগ্য নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের কযেকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রদত্ত ভাষণেও ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন প্রকার দুর্নীতিকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়াও গত ১ এপ্রিল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যেকোন প্রকার অনিয়মে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যেকোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শান্তি প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

গতকাল চারজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্যকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন, পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু ও বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১নং আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম।

সাময়িক বরখাস্তকৃত সদস্যরা হলো- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান মোল্লা, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল মিয়া, ভোলার লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ ওমর এবং একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল মিয়া।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, তারা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকারের দেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল/ভিজিডির চাল/ জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্যশস্য বিতরণ না করে আত্মসাৎ ইত্যাদি কারণে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯’ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আলাদা কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুইজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আজ (গতকাল) আরও ৪ জন চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

আরও ৯ জন বরখাস্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। প্রভাবশালী কিংবা যে দলের নেতাকর্মীই হোক, গরিবের ত্রাণ আত্মসাৎ করে কেউ রেহাই পাবে না। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে গতকাল আরও চার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার। এর আগে গত ১২ এপ্রিল একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ত্রাণ বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ত্রাণের অপব্যবহার এটা আমরা বরদাশত করব না। এই অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে দলমত বিবেচনা না করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক, আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী গতকাল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ত্রাণ দেয়া নিয়ে কোন সমস্যা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেই এর সঙ্গে জড়িত সে যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেবো। কারণ গরিব মানুষের জন্য আমরা যে সহায়তা দেবো কেউ এর অপব্যবহার করবে, এটা আমরা বরদাশত করবো না। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক, কেউ ছাড় পাবে না।’

এদিকে ওএমএসের চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ইদানিং কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। আপনার (ডিসি) সুযোগ্য নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের কযেকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রদত্ত ভাষণেও ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন প্রকার দুর্নীতিকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়াও গত ১ এপ্রিল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যেকোন প্রকার অনিয়মে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি/ওএমএস কার্যক্রমে যেকোন প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শান্তি প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

গতকাল চারজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্যকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন, পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু ও বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১নং আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম।

সাময়িক বরখাস্তকৃত সদস্যরা হলো- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মান্নান মোল্লা, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল মিয়া, ভোলার লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ ওমর এবং একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য জুয়েল মিয়া।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, তারা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকারের দেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল/ভিজিডির চাল/ জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্যশস্য বিতরণ না করে আত্মসাৎ ইত্যাদি কারণে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯’ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আলাদা কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুইজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আজ (গতকাল) আরও ৪ জন চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।