করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল ম্যাপ সমৃদ্ধকরণে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন শুরু

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণের ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে; তাতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, ফার্মেসি, সুপারমার্কেট, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, মোবাইল ফোন রিচার্জ ও ক্যাশ আউট পয়েন্টগুলোর অবস্থান এবং তাদের সেবাদানের সময়সূচি জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনাকারী এবং ফ্রন্টলাইন থাকা কর্মীদের জন্য পরবর্তী আইসোলেশন সেন্টার এবং আইসিইউগুলো স্থাপনের পরিকল্পনা করার সুবিধার্থে এ সমস্ত তথ্য জানা থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও, জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত এজেন্টদের সব রাস্তা ভালো করে জানা দরকার।

গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপে বাংলাদেশের শহর অঞ্চলগুলো অধিক প্রাধান্য পেয়েছে। ম্যাপে দেশের গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ স্থাপনাগুলো নির্দিষ্ট করা হয়নি; এর ফলে গ্রামাঞ্চলের নাগরিক, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্টরা ম্যাপ দেখে নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে বের করতে সমস্যায় পড়ছেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ আরো সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থাকা দেশের যুবসমাজের ক্ষমতায়নের জন্য একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং গ্রামীণফোন যৌথভাবে শুরু করছে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন। চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে আগ্রহী যে কোন স্বেচ্ছাসেবক bangladeshchallenge.com এবং corona.gov.bd এ নিবন্ধন করতে পারেন। এই ক্যাম্পেইন ৩০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত চলবে। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগটি উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন প্রত্যেকেই তাদের বাড়ি থেকে একটি ইনফরমেশন ডাটাবেজ তৈরিতে অংশ নিতে পারে এবং সবাই একই সময়ে তা ব্যবহার করতে পারে। এটি নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে দেশের লোকাল ম্যাপের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার দারুণ একটি সুযোগ। পুরো ক্যাম্পেইনের সময়ে ম্যাপিং এক্সপার্টরা স্বেচ্ছাসেবীদের এই ব্যাপারে সব রকমের সহযোগিতা করবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, গ্রামীণফোন এর সিইও ইয়াসির আজমান, প্রেনিউর ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আরিফ নিজামি। ভিডিও কনফারেন্সটিতে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার। এছাড়াও প্রেনিউর ল্যাব, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ, লোকাল গাইডস বাংলা, বাংলাদেশ স্কাউটস, ইয়থ হাবসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল ম্যাপ সমৃদ্ধকরণে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন শুরু

image

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণের ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে; তাতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, ফার্মেসি, সুপারমার্কেট, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, মোবাইল ফোন রিচার্জ ও ক্যাশ আউট পয়েন্টগুলোর অবস্থান এবং তাদের সেবাদানের সময়সূচি জানা থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনাকারী এবং ফ্রন্টলাইন থাকা কর্মীদের জন্য পরবর্তী আইসোলেশন সেন্টার এবং আইসিইউগুলো স্থাপনের পরিকল্পনা করার সুবিধার্থে এ সমস্ত তথ্য জানা থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও, জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত এজেন্টদের সব রাস্তা ভালো করে জানা দরকার।

গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপে বাংলাদেশের শহর অঞ্চলগুলো অধিক প্রাধান্য পেয়েছে। ম্যাপে দেশের গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ স্থাপনাগুলো নির্দিষ্ট করা হয়নি; এর ফলে গ্রামাঞ্চলের নাগরিক, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্টরা ম্যাপ দেখে নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে বের করতে সমস্যায় পড়ছেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ আরো সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ঘরে বসে থাকা দেশের যুবসমাজের ক্ষমতায়নের জন্য একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং গ্রামীণফোন যৌথভাবে শুরু করছে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন। চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে আগ্রহী যে কোন স্বেচ্ছাসেবক bangladeshchallenge.com এবং corona.gov.bd এ নিবন্ধন করতে পারেন। এই ক্যাম্পেইন ৩০ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত চলবে। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্যোগটি উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন প্রত্যেকেই তাদের বাড়ি থেকে একটি ইনফরমেশন ডাটাবেজ তৈরিতে অংশ নিতে পারে এবং সবাই একই সময়ে তা ব্যবহার করতে পারে। এটি নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে দেশের লোকাল ম্যাপের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার দারুণ একটি সুযোগ। পুরো ক্যাম্পেইনের সময়ে ম্যাপিং এক্সপার্টরা স্বেচ্ছাসেবীদের এই ব্যাপারে সব রকমের সহযোগিতা করবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, গ্রামীণফোন এর সিইও ইয়াসির আজমান, প্রেনিউর ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আরিফ নিজামি। ভিডিও কনফারেন্সটিতে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার। এছাড়াও প্রেনিউর ল্যাব, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ, লোকাল গাইডস বাংলা, বাংলাদেশ স্কাউটস, ইয়থ হাবসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।