বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ৩০তম আইজিপি হিসেবে গতকাল বিকেলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তিনি বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হন। ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশ সদর দফতরে এসে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। আইজিপি হিসেবে যোগদানের আগে ড. বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলেন।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে র্যাংক ব্যাজ পরানো হয়। নতুন আইজিপিকে ব্যাজ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সদ্য বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গণভবনে র্যাংক ব্যাজ পরিধানের পরপরই ধানমন্ডি ৩২ এ যান নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী আইজিপিকে সংবর্ধনা
পুলিশ সদর দফতরে গতকাল বিকেলে বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সম্মানে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বিদায়ী আইজিপিকে একজন সফল আইজিপি আখ্যায়িত করে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর পরবর্তী কর্মজীবনের সাফল্য এবং তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুন্দর জীবন কামনা করেন। ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তার কর্মকালে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে একজন দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বিদায়ী আইজিপি বলেন, তার যোগ্য নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী আরও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠবে। নবনিযুক্ত আইজিপি পুলিশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিদায়ী আইজিপিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এবং পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের সব অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে ড. বেনজীর আহমেদকে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে ৭ম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ৩০তম আইজিপি হিসেবে গতকাল বিকেলে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। তিনি বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হন। ড. বেনজীর আহমেদ পুলিশ সদর দফতরে এসে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। আইজিপি হিসেবে যোগদানের আগে ড. বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলেন।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে র্যাংক ব্যাজ পরানো হয়। নতুন আইজিপিকে ব্যাজ পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সদ্য বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গণভবনে র্যাংক ব্যাজ পরিধানের পরপরই ধানমন্ডি ৩২ এ যান নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী আইজিপিকে সংবর্ধনা
পুলিশ সদর দফতরে গতকাল বিকেলে বিদায়ী আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সম্মানে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বিদায়ী আইজিপিকে একজন সফল আইজিপি আখ্যায়িত করে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর পরবর্তী কর্মজীবনের সাফল্য এবং তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুন্দর জীবন কামনা করেন। ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তার কর্মকালে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে একজন দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বিদায়ী আইজিপি বলেন, তার যোগ্য নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী আরও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠবে। নবনিযুক্ত আইজিপি পুলিশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিদায়ী আইজিপিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এবং পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের সব অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে ড. বেনজীর আহমেদকে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে ৭ম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।