রংপুর-শরীয়তপুর লকডাউন ঘোষণা

করিমগঞ্জ হাসপাতাল বন্ধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রংপুর ও শরিয়তপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন ডাক্তারের করোনা শনাক্ত নিশ্চিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রংপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, গতকাল রাত ১০টা থেকে রংপুর মহানগরীসহ পুরো জেলায় অনিদৃষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। রংপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিব আহসান লকডাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, রংপুরের আশপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রাত ১০টার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হবে না এবং বাইরে থেকে কাউকেই আসতে দেয়া হবে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ৭ হাজার ৯৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিন আহাম্মেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই বিপুল পরিমাণ মানুষ কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭১০৫ জন নীলফামারীতে, রংপুরে ৮৯ জন, পঞ্চগড়ে ৮৩ জন, লালমনিরহাটে ২৪০ জন, কুড়িগ্রামে ১৯ জন, ঠাকুরগায়ে ৩৬ জন, দিনাজপুরে ২৬০ জন এবং গাইবান্ধায় ১২৩ জন। এছাড়া আইসোলেশনে আছেন ৩৪ জন। অন্যদিকে কেভিড ১৯ এ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ জন। এদের মধ্যে রংপুরে ২ জন, নীলফামারীতে ৬ জন লালমনিরহাটে ২ জন , কুড়িগ্রামে ২, ঠাকুরগায়ে ৩ জন দিনাজপুরে ৭ এবং গাইবান্ধায় ১২ জন। আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশিল হলেও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন ১৯ জন।

শরীয়তপুর, প্রতিনিধি জানান,

অবশেষে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আবু তাহের স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি একথা জানানো হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পত্রের আলোকে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার রোধে শরীয়তপুর জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এই সময়টা সবাইকে আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় গণপরিবহন ও জনচলাচল বন্ধ থাকবে। জেলা ও উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান বন্ধ থাকবে। তবে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কযোগে শরীয়তপুর ওপর দিয়ে অন্য জেলার আন্তঃযোগাযোগ এবং জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম ও পরিবহন আওতাবহির্ভূত থাকবে।

উল্লেখ্য, সোমবার শরীয়তপুরে একদিনে চার জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এছাড়া চলতি মাসের ৪ তারিখ নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে আমানউল্লাহ ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ৫ ব্যক্তি মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ, জেলা বার্তা পরিবেশক জানান

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের তিনজন ডাক্তারের করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। মঙ্গলবার রাত থেকে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়ে এতে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।

আরও খবর
এ অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে পারবো প্রধানমন্ত্রী
ঘরোয়া ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
প্রাথমিক শিক্ষকদের পেনশন প্রদানে মডেল যশোর
আইজিপির দায়িত্ব নিলেন বেনজীর
নারায়ণগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে আটক তিন শতাধিক
সংক্রমিত এলাকা ও ডাক্তার মিলবে অ্যাপে
সিঙ্গাপুরে মাস্ক না পরলে ৩০০ ডলার জরিমানা
করোনায় পেছাতে পারে বাজেট ঘোষণা
প্রবাসীর মৃত্যু হলে পরিবার পাবে ৩ লাখ টাকা
নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের সুপারসহ ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় আক্রান্তের গুজব ছড়িয়ে হামলা কলেজছাত্রীসহ আহত ১১
প্রতিদিন টেলিফোন করেই ধরা খায় মাজেদ
টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্পীদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩ বৈশাখ ১৪২৭, ২১ শাবান ১৪৪১

রংপুর-শরীয়তপুর লকডাউন ঘোষণা

করিমগঞ্জ হাসপাতাল বন্ধ

সংবাদ ডেস্ক |

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রংপুর ও শরিয়তপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন ডাক্তারের করোনা শনাক্ত নিশ্চিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রংপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, গতকাল রাত ১০টা থেকে রংপুর মহানগরীসহ পুরো জেলায় অনিদৃষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। রংপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিব আহসান লকডাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, রংপুরের আশপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রাত ১০টার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হবে না এবং বাইরে থেকে কাউকেই আসতে দেয়া হবে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ৭ হাজার ৯৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আমিন আহাম্মেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই বিপুল পরিমাণ মানুষ কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭১০৫ জন নীলফামারীতে, রংপুরে ৮৯ জন, পঞ্চগড়ে ৮৩ জন, লালমনিরহাটে ২৪০ জন, কুড়িগ্রামে ১৯ জন, ঠাকুরগায়ে ৩৬ জন, দিনাজপুরে ২৬০ জন এবং গাইবান্ধায় ১২৩ জন। এছাড়া আইসোলেশনে আছেন ৩৪ জন। অন্যদিকে কেভিড ১৯ এ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ জন। এদের মধ্যে রংপুরে ২ জন, নীলফামারীতে ৬ জন লালমনিরহাটে ২ জন , কুড়িগ্রামে ২, ঠাকুরগায়ে ৩ জন দিনাজপুরে ৭ এবং গাইবান্ধায় ১২ জন। আক্রান্তদের অবস্থা স্থিতিশিল হলেও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন ১৯ জন।

শরীয়তপুর, প্রতিনিধি জানান,

অবশেষে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আবু তাহের স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি একথা জানানো হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পত্রের আলোকে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি ও বিস্তার রোধে শরীয়তপুর জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এই সময়টা সবাইকে আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় গণপরিবহন ও জনচলাচল বন্ধ থাকবে। জেলা ও উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান বন্ধ থাকবে। তবে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কযোগে শরীয়তপুর ওপর দিয়ে অন্য জেলার আন্তঃযোগাযোগ এবং জরুরি পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম ও পরিবহন আওতাবহির্ভূত থাকবে।

উল্লেখ্য, সোমবার শরীয়তপুরে একদিনে চার জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এছাড়া চলতি মাসের ৪ তারিখ নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে আমানউল্লাহ ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ৫ ব্যক্তি মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ, জেলা বার্তা পরিবেশক জানান

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের তিনজন ডাক্তারের করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। মঙ্গলবার রাত থেকে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়ে এতে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীদের জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।