ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমালো নগদ

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় মৎস্য, ডেইরি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি সবাইকে দেশের সংকটে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনেদেন ‘নগদ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমিয়ে ৬ টাকায় নিয়ে এসেছে।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশের সংকটে সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র ‘নগদ’-এর খরচ কমানোর জন্য পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ‘নগদ’ নিয়ে এসেছে ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’। এখন থেকে প্রতি হাজারে মাত্র ৬ টাকা খরচ করে একজন ‘নগদ’ ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’ ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ক্রয়কৃত মালামালের পেমেন্ট হিসেবে আরেকজন ‘নগদ’ ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’কে পেমেন্ট করতে পারবেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমলে পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে বাংলাদেশের সব মানুষ। ফলে মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ‘নগদ’-এর এই উদ্যোগ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘নগদ’ মনে করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। এ কারণে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ পাঁচ ধরনের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ (ফার্মেসি), নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য (গ্রোসারি), পোস্ট অফিস, বাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় দেশে লকডাউনের শুরু থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলে সারাদেশের মোবাইল টপ-আপ রিটেইলারদের ডিজিটালি টাকা কেনার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। এর ফলে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের রিটেইলাররা চাইলেই যেকোন সময় মোবাইলে ডিজিটালি টপ-আপ কিনতে পারছেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। ফলে ‘নগদ’-এর কারণে এই দুর্যোগে নিরবচ্ছিন্ন সেবা উপভোগ করছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ‘নগদ’ দেশের এমন সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়ে এনে সেই টাকা লেনদেন খরচ কমানোর কাজে ব্যবহার করছে।

পাশাপাশি ‘নগদ’-এ প্রথম ১০০০ টাকা ক্যাশ আউটে চার্জ না নেয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের সেটেলমেন্ট চার্জ শূন্য করার মতো উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। দেশের ৪৯২টি উপজেলায় অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে বিতরণ করছেন ‘নগদ’-এর কর্মীরা। ‘নগদ’ বিশ্বাস করে, ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমালো নগদ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় মৎস্য, ডেইরি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি সবাইকে দেশের সংকটে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনেদেন ‘নগদ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমিয়ে ৬ টাকায় নিয়ে এসেছে।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশের সংকটে সবাইকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র ‘নগদ’-এর খরচ কমানোর জন্য পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ‘নগদ’ নিয়ে এসেছে ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’। এখন থেকে প্রতি হাজারে মাত্র ৬ টাকা খরচ করে একজন ‘নগদ’ ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’ ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ক্রয়কৃত মালামালের পেমেন্ট হিসেবে আরেকজন ‘নগদ’ ‘স্বাধীন মার্চেন্ট’কে পেমেন্ট করতে পারবেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের লেনদেন খরচ কমলে পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে বাংলাদেশের সব মানুষ। ফলে মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে ‘নগদ’-এর এই উদ্যোগ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘নগদ’ মনে করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। এ কারণে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’ পাঁচ ধরনের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ (ফার্মেসি), নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য (গ্রোসারি), পোস্ট অফিস, বাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশনায় দেশে লকডাউনের শুরু থেকে মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলে সারাদেশের মোবাইল টপ-আপ রিটেইলারদের ডিজিটালি টাকা কেনার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। এর ফলে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের রিটেইলাররা চাইলেই যেকোন সময় মোবাইলে ডিজিটালি টপ-আপ কিনতে পারছেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। ফলে ‘নগদ’-এর কারণে এই দুর্যোগে নিরবচ্ছিন্ন সেবা উপভোগ করছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া ‘নগদ’ দেশের এমন সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার বিজ্ঞাপন বাজেট কমিয়ে এনে সেই টাকা লেনদেন খরচ কমানোর কাজে ব্যবহার করছে।

পাশাপাশি ‘নগদ’-এ প্রথম ১০০০ টাকা ক্যাশ আউটে চার্জ না নেয়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের সেটেলমেন্ট চার্জ শূন্য করার মতো উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। দেশের ৪৯২টি উপজেলায় অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে বিতরণ করছেন ‘নগদ’-এর কর্মীরা। ‘নগদ’ বিশ্বাস করে, ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’।