৩ জেলায় জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ৩

কিশোরগঞ্জ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। তার নমুনা আইইডিসিআর-এ পরীক্ষা করানো হবে। এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার দানাপাটুলি গ্রামের এক ব্যক্তি গত ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি এসেছেন। তার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা গেছে। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, মেয়েটির নমুনা আইইডিসিআর-এ পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষায় বোঝা যাবে মেয়েটি করোনায় মারা গেছে কি না। এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ মাসে সদর উপজেলার বেশকিছু এলাকায় নারায়ণগঞ্জ আরো অনেক মানুষ ফেরত এসেছেন বলে জানা গেছে।

সেনবাগ

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া রাজমিস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। আক্কাস কেশারপাড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উন্দানিয়া গ্রামের আব্দুল গোফরানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে আক্কাসের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, রোববার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান আক্কাস। পরদিন মৃত আক্কাস, তার স্ত্রী ও মায়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড এনফেকসাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার স্ত্রী ও মায়ের করোনা নেগেটিভ আসলেও আক্কাসের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, মৃতের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা বৃহস্পতিবার সকালে সংগ্রহ করা হবে। আক্কাসের মৃত্যুর পর ওই বাড়িটি লকডাউন ও পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মৃতের পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনেও রাখা হতে পারে।

মুকসুদপুর

প্রতিনিধি, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ)

গোপালগঞ্জে জ্বর, শ্বাস-কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে শিখা রানী ঠাকুর (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী। তিনি তার এলাকায় মন্দিরভিত্তিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। গত বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। গত কয়েক দিন ধরে তিনি করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ঘটানার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত ওই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তারা ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

৩ জেলায় জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু ৩

কিশোরগঞ্জ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। তার নমুনা আইইডিসিআর-এ পরীক্ষা করানো হবে। এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার দানাপাটুলি গ্রামের এক ব্যক্তি গত ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি এসেছেন। তার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা গেছে। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, মেয়েটির নমুনা আইইডিসিআর-এ পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষায় বোঝা যাবে মেয়েটি করোনায় মারা গেছে কি না। এই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ মাসে সদর উপজেলার বেশকিছু এলাকায় নারায়ণগঞ্জ আরো অনেক মানুষ ফেরত এসেছেন বলে জানা গেছে।

সেনবাগ

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া রাজমিস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। আক্কাস কেশারপাড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উন্দানিয়া গ্রামের আব্দুল গোফরানের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে আক্কাসের করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, রোববার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান আক্কাস। পরদিন মৃত আক্কাস, তার স্ত্রী ও মায়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড এনফেকসাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার স্ত্রী ও মায়ের করোনা নেগেটিভ আসলেও আক্কাসের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, মৃতের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা বৃহস্পতিবার সকালে সংগ্রহ করা হবে। আক্কাসের মৃত্যুর পর ওই বাড়িটি লকডাউন ও পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মৃতের পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনেও রাখা হতে পারে।

মুকসুদপুর

প্রতিনিধি, মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ)

গোপালগঞ্জে জ্বর, শ্বাস-কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে শিখা রানী ঠাকুর (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী। তিনি তার এলাকায় মন্দিরভিত্তিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। গত বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। গত কয়েক দিন ধরে তিনি করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ঘটানার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃত ওই নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তারা ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন। নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।