সৈয়দপুরে চেয়ারম্যানের ত্রাণ আত্মসাৎ : প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জিয়ারবাজারে ঢেলাপীর-হাজারীহাট সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ওই এলাকার অসহায় গরিব, দুস্থ মানুষেরা এই অবরোধে অংশগ্রহণ করেন। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত হয়ে অভিযোগ তদন্ত করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী গত মঙ্গলবার রাতে তার লোকজন নিয়ে দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েক বস্তা ত্রাণের চাল আত্মসাতের উদ্দেশে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি টের পেয়ে এলাকার লোকজন সরকারি ওই ত্রাণের চাল আটক করেন। পরে চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হয়ে ত্রাণগুলো রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় গত বুধবার সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শাস্তি এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, ঘটনার রাতে তিনি নিজেই তার ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন।

১২১টি প্যাকেট দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছিল। আর প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল এবং তার নিজের অর্থে কেনা ২ কেজি করে আলু ছিল। দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে ত্রাণ বিতরণকালে একটি অটোরিকশা গ্রাম পুলিশ তার বাড়ির সামনে রেখে রাতে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় লোকজন তা দেখতে পেরে সেখানে তারা হৈ চৈ করতে থাকেন। পরে আমি ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে ত্রাণ সামগ্রী ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসি। এখানে ত্রাণ আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

সৈয়দপুরে চেয়ারম্যানের ত্রাণ আত্মসাৎ : প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জিয়ারবাজারে ঢেলাপীর-হাজারীহাট সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ওই এলাকার অসহায় গরিব, দুস্থ মানুষেরা এই অবরোধে অংশগ্রহণ করেন। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত হয়ে অভিযোগ তদন্ত করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী গত মঙ্গলবার রাতে তার লোকজন নিয়ে দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েক বস্তা ত্রাণের চাল আত্মসাতের উদ্দেশে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি টের পেয়ে এলাকার লোকজন সরকারি ওই ত্রাণের চাল আটক করেন। পরে চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী সেখানে উপস্থিত হয়ে ত্রাণগুলো রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় গত বুধবার সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শাস্তি এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, ঘটনার রাতে তিনি নিজেই তার ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন।

১২১টি প্যাকেট দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছিল। আর প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল এবং তার নিজের অর্থে কেনা ২ কেজি করে আলু ছিল। দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে ত্রাণ বিতরণকালে একটি অটোরিকশা গ্রাম পুলিশ তার বাড়ির সামনে রেখে রাতে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় লোকজন তা দেখতে পেরে সেখানে তারা হৈ চৈ করতে থাকেন। পরে আমি ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে ত্রাণ সামগ্রী ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসি। এখানে ত্রাণ আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।