৬ জেলায় করোনা শনাক্ত ১৬

গোপালগঞ্জে আরও ৭ পুলিশসহ ৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে নতুন করে ৭ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর থানার ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। এ পর্যন্ত মুকসুদপুর থানার ১০ পুলিশ সদস্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন ও কোটালীপাড়ায় ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মুকসুদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

শরীয়তপুরে আরও এক

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে নতুন করে আরও একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে শরীয়তপুরে ৫ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, জয়নগর ইউনিয়নের ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। ১৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি এ পাঠানো হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এতে ওই ব্যক্তির দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জাজিরায় দুইজন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ছয় থেকে শরীয়তপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।

সোনারগাঁয়ে তিন

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত দুই দিনে পৃথক স্থানে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, টিপরদী এলাকার মেঘনা ইকোনোমিক জোনের রাসেল (১৮) নামের এক শ্রমিকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। সে গত বুধবার জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে ঢামেকে গেলে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ফোন করে শ্রমিক রাসেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে জানানো হয়। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং সে কোম্পানির যে কোয়ার্টারে থাকত সেখানে লকডাউন করা হয়। তার বাড়ি ঢাকার দোহারে। এছাড়াও এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাঁচপুর বেহাকৈর এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ভাড়াটিয়া ও তার আগেরদিন বৈদ্যেরবাজার এলাকার আবু বকর (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বদরগঞ্জে মালয়েশিয়া ফেরত যুবক

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান (৩০) নামে মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের শরীরে কোভিড-১৯(করোনাভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। ওই যুবক উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর এলাকার কবিরাজপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজার রহমান মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। এরপর তিনি সর্বত্রই অবাধে চলাফেলা করেছেন। এদিকে মালয়েশিয়া ফেরত ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বদরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হল।

চান্দিনায় ডাক্তারসহ আরও ৩

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

চান্দিনায় ল্যাব টেকনেশিয়ানের পর এবার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন একজন ডাক্তারসহ আরও ৩ জন। গত বুধবার আইইডিসিআর থেকে ওই তিনজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজেটিভ ফলাফল আসে। এ নিয়ে চান্দিনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন। চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত ডাক্তার (২৮) চান্দিনা উপজেলা সদরের স্টেশন রোডের হারুন ভূইয়া মার্কেটস্থিত জননী মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতাল এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার। তিনি চান্দিনা উপজেলা সদরের ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তার বাড়ি উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে। আক্রান্ত অপরজন হলেন- চান্দিনা মধ্য বাজারের দত্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে টেকনেশিয়ান (৩৫)। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। সে চান্দিনার ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার সাবেক একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এদিকে চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং শান্তিবাগ এলাকার আরও একজন ব্যক্তি (৫০) করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি ৩০ জানুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার এতবারপুরে। গত বুধবার ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার ২টি বাড়ি, মহারং শান্তিবাগ এলাকার ১টি বাড়ি, আক্রান্ত ডাক্তারের কর্মস্থল জননী মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতালসহ পুরো হারুন ভূইয়া মার্কেটটিই লকডাউন করা হয়।

ঝালকাঠিতে হোমকোয়ারেন্টিনে ২৭৩

প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ও পুলিশের এসআইসহ ২৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জ্বর, সর্দি ও কাশি যাদের রয়েছে, তাদের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ফেরত তিনজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মনে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাসান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল জানান, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়াইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ-আলম মন্টু ও সদস্য শাহাদাৎ হোসেন কাজল ১৩ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে এলাকায় ঘোরাফেরা শুরু করলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এদিকে শহরের কলেজ বিকনা এলাকায় পুলিশের এক এসআই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে বাহিরে আসা যাওয়া করলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রবেশ করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

৬ জেলায় করোনা শনাক্ত ১৬

গোপালগঞ্জে আরও ৭ পুলিশসহ ৮

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে নতুন করে ৭ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর থানার ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। এ পর্যন্ত মুকসুদপুর থানার ১০ পুলিশ সদস্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন ও কোটালীপাড়ায় ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মুকসুদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ড, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

শরীয়তপুরে আরও এক

প্রতিনিধি, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে নতুন করে আরও একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে শরীয়তপুরে ৫ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, জয়নগর ইউনিয়নের ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। ১৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি এ পাঠানো হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় আইসিডিডিআরবি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এতে ওই ব্যক্তির দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জাজিরায় দুইজন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ছয় থেকে শরীয়তপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।

সোনারগাঁয়ে তিন

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত দুই দিনে পৃথক স্থানে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, টিপরদী এলাকার মেঘনা ইকোনোমিক জোনের রাসেল (১৮) নামের এক শ্রমিকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। সে গত বুধবার জ্বর, ঠাণ্ডা ও কাশি নিয়ে ঢামেকে গেলে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় আইইডিসিআর থেকে উপজেলা প্রশাসনকে ফোন করে শ্রমিক রাসেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে জানানো হয়। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং সে কোম্পানির যে কোয়ার্টারে থাকত সেখানে লকডাউন করা হয়। তার বাড়ি ঢাকার দোহারে। এছাড়াও এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাঁচপুর বেহাকৈর এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৭) নামের এক ভাড়াটিয়া ও তার আগেরদিন বৈদ্যেরবাজার এলাকার আবু বকর (১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বদরগঞ্জে মালয়েশিয়া ফেরত যুবক

প্রতিনিধি, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান (৩০) নামে মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের শরীরে কোভিড-১৯(করোনাভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। ওই যুবক উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর এলাকার কবিরাজপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোস্তাফিজার রহমান মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। এরপর তিনি সর্বত্রই অবাধে চলাফেলা করেছেন। এদিকে মালয়েশিয়া ফেরত ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বদরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হল।

চান্দিনায় ডাক্তারসহ আরও ৩

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)

চান্দিনায় ল্যাব টেকনেশিয়ানের পর এবার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন একজন ডাক্তারসহ আরও ৩ জন। গত বুধবার আইইডিসিআর থেকে ওই তিনজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজেটিভ ফলাফল আসে। এ নিয়ে চান্দিনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জন। চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত ডাক্তার (২৮) চান্দিনা উপজেলা সদরের স্টেশন রোডের হারুন ভূইয়া মার্কেটস্থিত জননী মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতাল এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার। তিনি চান্দিনা উপজেলা সদরের ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তার বাড়ি উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে। আক্রান্ত অপরজন হলেন- চান্দিনা মধ্য বাজারের দত্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে টেকনেশিয়ান (৩৫)। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। সে চান্দিনার ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার সাবেক একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এদিকে চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং শান্তিবাগ এলাকার আরও একজন ব্যক্তি (৫০) করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি ৩০ জানুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার এতবারপুরে। গত বুধবার ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার ২টি বাড়ি, মহারং শান্তিবাগ এলাকার ১টি বাড়ি, আক্রান্ত ডাক্তারের কর্মস্থল জননী মেডিকেল সেন্টার ও হাসপাতালসহ পুরো হারুন ভূইয়া মার্কেটটিই লকডাউন করা হয়।

ঝালকাঠিতে হোমকোয়ারেন্টিনে ২৭৩

প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ও পুলিশের এসআইসহ ২৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে জ্বর, সর্দি ও কাশি যাদের রয়েছে, তাদের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ফেরত তিনজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মনে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাসান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাকিল জানান, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়াইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ-আলম মন্টু ও সদস্য শাহাদাৎ হোসেন কাজল ১৩ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে এলাকায় ঘোরাফেরা শুরু করলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এদিকে শহরের কলেজ বিকনা এলাকায় পুলিশের এক এসআই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে বাহিরে আসা যাওয়া করলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ প্রবেশ করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।