গণমাধ্যমের মোট আক্রান্ত ১৩ জন
দেশে আরও একটি টিভি চ্যানেলের চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বুধবার সেখানে কর্মরত একজন রিপোর্টার, একজন নিউজ এডিটর, দুজন প্রডিউসারের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কর্মরত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জেনারেল সেকশনের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য সংশিষ্ট চ্যানেলের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বেশি কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধির করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর আগের দিন সোমবার দেশে আরও এক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরেকটি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি। এর আগে বেসরকারি টিভি ছাড়াও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত সংবাদকর্মীরা কেউ বাড়িতে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরা সংক্রমিত হওয়ায় আইইডিসিআরের পরামর্শে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশে সাংবাদিক হিসেবে প্রথম করোনায় আক্রাস্ত হন বেসরকারি টেলিভিশনের এক ক্যামেরাপারসন। গত ২৬ মার্চ তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়ায় তাকে সেদিনই ছুটি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর তার সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ রিপোর্টার-ক্যামেরাপারসন ও কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ৪৭ সংবাদকর্মীর কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। এ সময় তাদের কারও মধ্যে কোন উপসর্গ মেলেনি।
৯ এপ্রিল আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন রিপোর্টার ও তার শ্বশুর করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে আসা টেলিভিশনটির সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যান, গাড়িচালকসহ অন্তত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে টেলিভিশনটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘৯ এপ্রিল কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। তাদের কারও মধ্যেই করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাদের আরও কয়েকদিন অফিসে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার দুটি দৈনিকের দুজন সাংবাদিকের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর এই দুজনসহ প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তত ২০ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্তের এ সংখ্যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত বলছেন সংশিষ্টরা। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের স্ব স্ব মিডিয়া হাউজ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী না দিয়েই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন চলাফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১
গণমাধ্যমের মোট আক্রান্ত ১৩ জন
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশে আরও একটি টিভি চ্যানেলের চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বুধবার সেখানে কর্মরত একজন রিপোর্টার, একজন নিউজ এডিটর, দুজন প্রডিউসারের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কর্মরত আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের জেনারেল সেকশনের এক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য সংশিষ্ট চ্যানেলের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বেশি কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধির করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর আগের দিন সোমবার দেশে আরও এক সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরেকটি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি। এর আগে বেসরকারি টিভি ছাড়াও কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত সংবাদকর্মীরা কেউ বাড়িতে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরা সংক্রমিত হওয়ায় আইইডিসিআরের পরামর্শে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশে সাংবাদিক হিসেবে প্রথম করোনায় আক্রাস্ত হন বেসরকারি টেলিভিশনের এক ক্যামেরাপারসন। গত ২৬ মার্চ তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়ায় তাকে সেদিনই ছুটি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর তার সংস্পর্শে আসা আরও ৪৭ রিপোর্টার-ক্যামেরাপারসন ও কর্মকর্তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ৪৭ সংবাদকর্মীর কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। এ সময় তাদের কারও মধ্যে কোন উপসর্গ মেলেনি।
৯ এপ্রিল আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনের একজন রিপোর্টার ও তার শ্বশুর করোনায় আক্রান্ত হন। তার সংস্পর্শে আসা টেলিভিশনটির সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যান, গাড়িচালকসহ অন্তত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে টেলিভিশনটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘৯ এপ্রিল কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে। তাদের কারও মধ্যেই করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তাদের আরও কয়েকদিন অফিসে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার দুটি দৈনিকের দুজন সাংবাদিকের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর এই দুজনসহ প্রতিষ্ঠান দুটির অন্তত ২০ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্তের এ সংখ্যা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত বলছেন সংশিষ্টরা। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের স্ব স্ব মিডিয়া হাউজ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী না দিয়েই অ্যাসাইনমেন্টে পাঠানো হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন চলাফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।