করোনা পরিস্থিতি : চীন ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের ভিডিও কনফারেন্স

করোনা মোকাবেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রতি চীনের মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের সাথে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করেছে বাংলাদেশের মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্স সমাধানসহ যাবতীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ছাড়াও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দেশের ছয়টি ভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা ভিডিও কনফারেন্সটিতে অংশগ্রহন করেন।

হুয়াওয়ের সাংহাই কনফারেন্স সেন্টার থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন চীনের হুয়াশান হসপিটাল অব ফুডান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান ডা. ঝাং উয়েনহং। চীনে করোনা মোকাবেলার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। চীনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে ডা. ঝাং উয়েনহং বলেন, “কোভিড-১৯ অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে এর মৃত্যুর হার ২ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।” করোনা থেকে সুরক্ষায় সামাজিক দূরত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যেহেতু টেস্টিং কিটের সংকট রয়েছে, সে কারণে গণহারে করোনা পরীক্ষা না করাই ভালো বলে আমি মনে করি। টেস্টিং কিটগুলো বরং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য রেখে দেওয়া দরকার। তা-না হলে হাসপাতালের মধ্যেই করোনা ছড়াতে শুরু করবে, যার ফলশ্রুতিতে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ গুলোও রোগিদের স্ক্রিনিংয়ে সাহায্য করতে পারে।”

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

করোনা পরিস্থিতি : চীন ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের ভিডিও কনফারেন্স

image

করোনা মোকাবেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রতি চীনের মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের সাথে অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করেছে বাংলাদেশের মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্স সমাধানসহ যাবতীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সল্যুশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ছাড়াও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দেশের ছয়টি ভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা ভিডিও কনফারেন্সটিতে অংশগ্রহন করেন।

হুয়াওয়ের সাংহাই কনফারেন্স সেন্টার থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন চীনের হুয়াশান হসপিটাল অব ফুডান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান ডা. ঝাং উয়েনহং। চীনে করোনা মোকাবেলার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। চীনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে ডা. ঝাং উয়েনহং বলেন, “কোভিড-১৯ অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে এর মৃত্যুর হার ২ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।” করোনা থেকে সুরক্ষায় সামাজিক দূরত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যেহেতু টেস্টিং কিটের সংকট রয়েছে, সে কারণে গণহারে করোনা পরীক্ষা না করাই ভালো বলে আমি মনে করি। টেস্টিং কিটগুলো বরং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য রেখে দেওয়া দরকার। তা-না হলে হাসপাতালের মধ্যেই করোনা ছড়াতে শুরু করবে, যার ফলশ্রুতিতে গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়তে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ গুলোও রোগিদের স্ক্রিনিংয়ে সাহায্য করতে পারে।”