প্রাণীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

মুক্ত আকাশ অবারিত প্রান্তর কিংবা বুনো পরিবেশ আপন হলেও, সেই আপন আলোয় এদের ঠায় হয়নি। মানুষের শখ মেটাতেই, খাঁচায় বন্দী জীবন এদের। স্বীকার করে ক্ষুধা নিবারণের উপায় এখানে নেই, মানুষের দেয়া খাবারেই মেটে চাহিদা। করোনা আতঙ্কে কার্যত দেশ যখন লকডাউনের পথে, তখন বন্ধ দোকানের খাঁচায় বন্দী প্রাণীগুলোর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

তাদের প্রতিটি দিন কাটে অসহায় ডাকাডাকি আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে। চলে ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে মাথা তুলে রেখে জীবনে ফেরার সংগ্রাম।

কিন্তু নেই খাবার-পানি। বন্ধ ঘরের চারদেয়ালে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। কিন্তু এ অপেক্ষার যেন শেষ হয় না। তার আগেই হার মেনে যায় বোবা প্রাণীগুলো।

বাচ্চারা মায়ের দুধ পেলেও, মায়ের ক্ষুধা ও পিপাসা মেটানোর সুযোগ নেই। মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের করুন ডাকে সারা দেবে কে। এভাবে কতসময় বা টিকে থাকতে পারে একটি প্রাণ।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হওতোবা খাবার পাবার সম্ভাবনা উঁকি দেয়। কিন্তু ততক্ষণে কিছু অবোলা প্রাণ হার মেনে যায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কাছে। দোকানের চারদেয়ালে বন্দী প্রাণীগুলোর প্রতিদিনের গল্পগুলো প্রায় অভিন্ন। তাদের নতুন কষ্টের নাম ক্ষুধা আর পিপাসা। করোনাভাইরাসের মরণ ছোঁবলে যেখানে থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা, সেখানে বেঁচে থেকেও অনাহারে প্রাণের স্পন্দন হারাতে বসেছে খাঁচায় বন্দী এইসব পশুপাখিরা।

আলো বাতাস আর খাবারের অভাবে জীবন সংকটে, দোকানে আবদ্ধ থাকা এইসব প্রাণীদের। এমন পরিস্থিতি আদ্র কাম্য নয়। শেকলবন্দী থাকলেও এই বোবা প্রাণীগুলোর আদর যত্নের অভাব হয় কমই।

পশু প্রেম অথবা ব্যবসার খাতিরে এই প্রাণীদের যত্নেই রাখেন ব্যবসায়ীরা। খাঁচায়বন্দী এই সব পশু পাখির খাবার দিতে দিনে আন্তত দুই বেলা দোকান খুলতে হয় মালিকদের।

দোকান খুললেই আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসা নয় পশু পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আরো বেশি কিছু সময়ের জন্য হলেও দোকান খোলা রাখাটা জরুরি বলছেন দোকান মালিকরা। পশু প্রেমকে রুটিরুজি বানিয়ে নেওয়া এই মানুষগুলো চান বেঁচে থাক তাদের ভালোবাসা। বেঁচে থাক বোবা প্রাণীরা।

মো. রাশিদুল ইসলাম

শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৪ বৈশাখ ১৪২৭, ২২ শাবান ১৪৪১

প্রাণীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

মুক্ত আকাশ অবারিত প্রান্তর কিংবা বুনো পরিবেশ আপন হলেও, সেই আপন আলোয় এদের ঠায় হয়নি। মানুষের শখ মেটাতেই, খাঁচায় বন্দী জীবন এদের। স্বীকার করে ক্ষুধা নিবারণের উপায় এখানে নেই, মানুষের দেয়া খাবারেই মেটে চাহিদা। করোনা আতঙ্কে কার্যত দেশ যখন লকডাউনের পথে, তখন বন্ধ দোকানের খাঁচায় বন্দী প্রাণীগুলোর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

তাদের প্রতিটি দিন কাটে অসহায় ডাকাডাকি আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে। চলে ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে মাথা তুলে রেখে জীবনে ফেরার সংগ্রাম।

কিন্তু নেই খাবার-পানি। বন্ধ ঘরের চারদেয়ালে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। কিন্তু এ অপেক্ষার যেন শেষ হয় না। তার আগেই হার মেনে যায় বোবা প্রাণীগুলো।

বাচ্চারা মায়ের দুধ পেলেও, মায়ের ক্ষুধা ও পিপাসা মেটানোর সুযোগ নেই। মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের করুন ডাকে সারা দেবে কে। এভাবে কতসময় বা টিকে থাকতে পারে একটি প্রাণ।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হওতোবা খাবার পাবার সম্ভাবনা উঁকি দেয়। কিন্তু ততক্ষণে কিছু অবোলা প্রাণ হার মেনে যায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কাছে। দোকানের চারদেয়ালে বন্দী প্রাণীগুলোর প্রতিদিনের গল্পগুলো প্রায় অভিন্ন। তাদের নতুন কষ্টের নাম ক্ষুধা আর পিপাসা। করোনাভাইরাসের মরণ ছোঁবলে যেখানে থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা, সেখানে বেঁচে থেকেও অনাহারে প্রাণের স্পন্দন হারাতে বসেছে খাঁচায় বন্দী এইসব পশুপাখিরা।

আলো বাতাস আর খাবারের অভাবে জীবন সংকটে, দোকানে আবদ্ধ থাকা এইসব প্রাণীদের। এমন পরিস্থিতি আদ্র কাম্য নয়। শেকলবন্দী থাকলেও এই বোবা প্রাণীগুলোর আদর যত্নের অভাব হয় কমই।

পশু প্রেম অথবা ব্যবসার খাতিরে এই প্রাণীদের যত্নেই রাখেন ব্যবসায়ীরা। খাঁচায়বন্দী এই সব পশু পাখির খাবার দিতে দিনে আন্তত দুই বেলা দোকান খুলতে হয় মালিকদের।

দোকান খুললেই আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসা নয় পশু পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আরো বেশি কিছু সময়ের জন্য হলেও দোকান খোলা রাখাটা জরুরি বলছেন দোকান মালিকরা। পশু প্রেমকে রুটিরুজি বানিয়ে নেওয়া এই মানুষগুলো চান বেঁচে থাক তাদের ভালোবাসা। বেঁচে থাক বোবা প্রাণীরা।

মো. রাশিদুল ইসলাম