কালকিনি মেয়রের বিরুদ্ধে ৭ টন চাল আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর মেয়র মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে দরিদ্রদের ৭ মেট্রিক টন জিআর’এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কাউন্সিলরা।

লিখিত অভিযোগ ও জেলা প্রশাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে কালকিনি পৌরসভার হতদরিদ্রদের জন্য ৪ কিস্তিতে ৭ মেট্রিক টন জিআর চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই চাল ও নগদ অর্থ কাউন্সিলরদের না জানিয়ে মেয়র উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ৮ জন কাউন্সিলর। এ সময় কাউন্সিলরা অভিযোগ করেন, মেয়র কোন সভা না করে এই চাল উত্তোলন করেছেন। কোথায় তা বিতরণ করেছেন তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, কালকিনি পৌরসভা থেকে মার্চ মাসের ২৫ তারিখে দেড় মেট্রিক টন, ২৯ মার্চ ০.৩৭৫ মেট্রিক টন, ৬ এপ্রিল ২ মেট্রিক টন, ৮ এপ্রিল ৩ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করা হয়। যা কালকিনি উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। কালকিনি উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মোট বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ৬ হাজার ৯৮৫ কেজি চাল হয়। এ ব্যাপারে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলরদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে ৬ মেট্টিক টন চাল পাওয়া গেছে। এসব চাল পৌরসভার হতদরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তাহলে কেন কাউন্সিলররা এই অভিযোগ করলেন জানতে চাইলে মেয়র আরও জানান, পূর্বের শত্রুতা করে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

কালকিনি মেয়রের বিরুদ্ধে ৭ টন চাল আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ

প্রতিনিধি, মাদারীপুর

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর মেয়র মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে দরিদ্রদের ৭ মেট্রিক টন জিআর’এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কাউন্সিলরা।

লিখিত অভিযোগ ও জেলা প্রশাসন শাখা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে কালকিনি পৌরসভার হতদরিদ্রদের জন্য ৪ কিস্তিতে ৭ মেট্রিক টন জিআর চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই চাল ও নগদ অর্থ কাউন্সিলরদের না জানিয়ে মেয়র উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ৮ জন কাউন্সিলর। এ সময় কাউন্সিলরা অভিযোগ করেন, মেয়র কোন সভা না করে এই চাল উত্তোলন করেছেন। কোথায় তা বিতরণ করেছেন তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, কালকিনি পৌরসভা থেকে মার্চ মাসের ২৫ তারিখে দেড় মেট্রিক টন, ২৯ মার্চ ০.৩৭৫ মেট্রিক টন, ৬ এপ্রিল ২ মেট্রিক টন, ৮ এপ্রিল ৩ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করা হয়। যা কালকিনি উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। কালকিনি উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মোট বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ৬ হাজার ৯৮৫ কেজি চাল হয়। এ ব্যাপারে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলরদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে ৬ মেট্টিক টন চাল পাওয়া গেছে। এসব চাল পৌরসভার হতদরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তাহলে কেন কাউন্সিলররা এই অভিযোগ করলেন জানতে চাইলে মেয়র আরও জানান, পূর্বের শত্রুতা করে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।