বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ২২ লাখ মৃত্যু প্রায় দেড় লাখ

৫৬ হাজারের অবস্থা আশঙ্কাজনক

মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২ লাখ ৩৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৯ জন। এরমধ্যে ৫৬ হাজারের অধিক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৮ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুইশ দশটি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২০টির অধিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

চীনে প্রাদুর্ভাব এখন নেই বললেই চলে। দেশটিতে আক্রান্ত হার এখন প্রায় শূন্যের কোটায় রয়েছে। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৬৯২ জনের মধ্য ৭৭ হাজার ৯৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ৬৩২ জন। মৃতের হারও শূন্যের কোটায় থাকলেও গতকাল একদিনে ১ হাজার ২৯০ জন মারা যান। এখন দেশটিতে মাত্র ১১৬ জন করোবা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্য ৮৯ জন রোগী সিরিয়াস কন্ডিশনে আছেন।

তবে চীনের বাইরে এই ভাইরাসের সংক্রামণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ মহামারীতে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ২১০ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬৪১ জনে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের, মারা গেছে ১০ হাজারেও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশিও আছেন।

করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের হিসাবে আমেরিকার ধারেকাছেও কেউ নেই। আমেরিকার পর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৮ জন। এখানে ১৯ হাজার ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এরপর ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪১ জনে। মৃতের দিক দিয়ে ইতালি দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে ২২ হাজার ১৭০ জন মারা গেছেন। ইতালিতে সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা চতুর্থ স্থানে আছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এখানে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৭ জন। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯২০ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৮১২ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানি। দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২২১ জন আর মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৮০০ জন। ষষ্ঠ অবস্থানে এখন যুক্তরাজ্য। দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭২৯ জনের।

চীনের পর এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৪৯৪ আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজারের অধিক।

চীনের প্রতিবেশী দেশ জাপানে এ দিন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩১ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯০ জন। চীনের আরেক প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় এদিন পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৩৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮২৯ জন।

বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ১৮৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এদিন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৯৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৪৮ জন। পাকিস্তানে এদিন পর্যন্ত ৭ হাজার ২৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩৫ জন।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ২২ লাখ মৃত্যু প্রায় দেড় লাখ

৫৬ হাজারের অবস্থা আশঙ্কাজনক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখে দাঁড়িয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২ লাখ ৩৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৯ জন। এরমধ্যে ৫৬ হাজারের অধিক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬১৮ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুইশ দশটি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১২০টির অধিক দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

চীনে প্রাদুর্ভাব এখন নেই বললেই চলে। দেশটিতে আক্রান্ত হার এখন প্রায় শূন্যের কোটায় রয়েছে। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৬৯২ জনের মধ্য ৭৭ হাজার ৯৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ৬৩২ জন। মৃতের হারও শূন্যের কোটায় থাকলেও গতকাল একদিনে ১ হাজার ২৯০ জন মারা যান। এখন দেশটিতে মাত্র ১১৬ জন করোবা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্য ৮৯ জন রোগী সিরিয়াস কন্ডিশনে আছেন।

তবে চীনের বাইরে এই ভাইরাসের সংক্রামণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ মহামারীতে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ২১০ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬৪১ জনে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্কের, মারা গেছে ১০ হাজারেও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশিও আছেন।

করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের হিসাবে আমেরিকার ধারেকাছেও কেউ নেই। আমেরিকার পর আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৮ জন। এখানে ১৯ হাজার ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এরপর ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪১ জনে। মৃতের দিক দিয়ে ইতালি দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে ২২ হাজার ১৭০ জন মারা গেছেন। ইতালিতে সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা চতুর্থ স্থানে আছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এখানে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৭ জন। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯২০ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৮১২ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানি। দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২২১ জন আর মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৮০০ জন। ষষ্ঠ অবস্থানে এখন যুক্তরাজ্য। দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭২৯ জনের।

চীনের পর এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৪৯৪ আর মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজারের অধিক।

চীনের প্রতিবেশী দেশ জাপানে এ দিন পর্যন্ত ৯ হাজার ২৩১ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯০ জন। চীনের আরেক প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় এদিন পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৩৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮২৯ জন।

বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত ১৮৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭৫ মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এদিন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪৯৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৪৮ জন। পাকিস্তানে এদিন পর্যন্ত ৭ হাজার ২৫ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩৫ জন।