দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৫ মৃত্যু

নতুন শনাক্ত ২৬৬ জন

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ জনে। নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬৬ জন। এতে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জনে। গত কয়েক দিনের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে মিরপুরে। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা করোনাভাইরাসের রোগীর জন্য বেশি প্রয়োজন। তবে করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেন সাপোর্ট ও কিছু ওষুধ লাগতে পারে। জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন। অর্থাৎ, প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন। এই হারে ১০ হাজার রোগী যদি আইসিইউ সাপোর্ট নেন, তাহলে ১৮০টি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট লাগবে। বর্তমানে সব হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন দেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এর কোন সংকট নেই। ২০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের জানা ছিল না কতগুলো ল্যাব লাগতে পারে, এগুলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। যেখানে আমদানি বন্ধ ছিল, বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্নভাবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম আরও বাড়ানো প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে রোগীরা টেস্ট করে না, গোপন করে যায়। ফলে চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছে, এই আচরণ আশঙ্কাজনক। তাই বেশি করে টেস্ট করতে হবে।

আইইডিসিআর পরিচালক ডা. ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত ১ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে ও ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তবে হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের সবার ক্ষেত্রে ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। সামাজিক চাপের কারণে তাদের বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনেও বলা আছে, কেউ চাইলে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন, এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কম পড়বে।

তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এরপর ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের। এছাড়া গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রাজধানীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রথমে টোলারবাগে শনাক্ত হলেও এখন তা মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে ৪ শতাংশ করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর বয়স বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ শতাংশ ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নারী-পুরুষ বিভাজন দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তিনি আরও বলেন, অনেক খারাপ খবরের মাঝে একটি সুসংবাদ দিতে চাই, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে এক বাংলাদেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ রোগীকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম। আল্লাহর রহমতে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তা-ব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার প্রায়। মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি। তবে সাড়ে পাঁচ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।

এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সর্বশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৮। মারা গেছেন ৭৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

করোনা আক্রান্ত

দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৫ মৃত্যু

নতুন শনাক্ত ২৬৬ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ জনে। নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬৬ জন। এতে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জনে। গত কয়েক দিনের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে মিরপুরে। গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা করোনাভাইরাসের রোগীর জন্য বেশি প্রয়োজন। তবে করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেন সাপোর্ট ও কিছু ওষুধ লাগতে পারে। জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন। অর্থাৎ, প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন। এই হারে ১০ হাজার রোগী যদি আইসিইউ সাপোর্ট নেন, তাহলে ১৮০টি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট লাগবে। বর্তমানে সব হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন দেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এর কোন সংকট নেই। ২০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের জানা ছিল না কতগুলো ল্যাব লাগতে পারে, এগুলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। যেখানে আমদানি বন্ধ ছিল, বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্নভাবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম আরও বাড়ানো প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে রোগীরা টেস্ট করে না, গোপন করে যায়। ফলে চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছে, এই আচরণ আশঙ্কাজনক। তাই বেশি করে টেস্ট করতে হবে।

আইইডিসিআর পরিচালক ডা. ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত ১ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে ও ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তবে হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের সবার ক্ষেত্রে ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। সামাজিক চাপের কারণে তাদের বাড়িতে না রেখে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনেও বলা আছে, কেউ চাইলে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন, এতে হাসপাতালের ওপর চাপ কম পড়বে।

তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এরপর ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের। এছাড়া গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রাজধানীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রথমে টোলারবাগে শনাক্ত হলেও এখন তা মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে ৪ শতাংশ করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর বয়স বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ শতাংশ ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নারী-পুরুষ বিভাজন দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তিনি আরও বলেন, অনেক খারাপ খবরের মাঝে একটি সুসংবাদ দিতে চাই, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে এক বাংলাদেশি নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ রোগীকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম। আল্লাহর রহমতে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তা-ব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার প্রায়। মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি। তবে সাড়ে পাঁচ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।

এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সর্বশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৮। মারা গেছেন ৭৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।