করোনা রোগীরা পদে পদে হেনস্তা হচ্ছে

রোগ গোপন রাখায় ডাক্তার ও সেবাকর্মীরা বিপাকে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা পদে পদে হেনেস্তা হচ্ছে। যার কারণে তারা এখন রোগ গোপন রেখে বাসাবাড়িতে অবস্থান করছে। এরপরও তারা নিরাপদ নয়। বাসাবাড়ির লোকজন ও সামাজিকভাবে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবশেষে অবস্থার অবনতি হলে রোগ গোপন করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার ও নার্সসহ সেবাকর্মীরা বিপাকে পড়ছে। এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। আবার করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করে বাসাবাড়িতে চিকিৎসকরা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক বাড়ির মালিক তাদের বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। ডাক্তার ছাড়া অনেক সাংবাদিক এ হুমকির শিকার হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেনেস্তা না করে সঠিক তথ্য দেয়া এবং সন্দেহভাজনদের নমুনা বেশি বেশি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দেন।

বিশিষ্ট আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, করোনা রোগী ভাইরাসবাহিত সংক্রামক । এটা মানুষের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একা কোন অভিশাপ নয়। করোনা বললে চিকিৎসা পাবে। এ রোগীদের হেনেস্তা করা ঠিক নয়। বরং তার পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হলে তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। মিথ্যা তথ্য দিলে মারাত্মক সমস্যা হয়। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এমন একটি ঘটনা ঘটছে। সেখানে খাদ্যনালীর সমস্যা নিয়ে এক রোগীর অপারেশন করার কারণে এখন ১৩ জন ডাক্তার নার্স আক্রান্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টিনে আছে। এটা মারাত্মক সমস্যা। এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। আর গর্ভবর্তী মহিলা করোনা আক্রান্ত হলে তার ইমাজেন্সি অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তাররা বিপাকে পড়ছে। এই ধরনের আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রোগ গোপন রাখার কারণে ও সামাজিক নেহেস্তার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। এখন জরুরিভিত্তিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর অপারেশনের জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। এটার নিশ্চয়তা না দিলে সমস্যা হচ্ছে। রোগী নানাভাবে তথ্য গোপন রাখছে।

বিশিষ্ট ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী মুঠোফোনে বলেন, করোনা রোগী হেনেস্তা ও রোগ গোপন রাখা দুইটি সংক্রামণ আইনে দ-নীয় অপরাধ। আইনের প্রয়োগ করে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে তা থেকে উত্তরণ হওয়া সম্ভব। রোগ গোপন রাখায় তার জানামত গাইনি বিশেষজ্ঞ আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, জ্বর সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে গেলে তাকে করোনা রোগী বলে হেনেস্তা হতে হচ্ছে। আবার হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খোদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন ২ থেকে ৩টি ঘটনা ঘটেছে। এভাবে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন রোগী মানসিক টর্চারের শিকার হয়ে বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকেন। এতে অনেকেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটছে। অনেকেই ভয়ে গোপনে লাশ দাফন করে ফেলছে। আবার অনেকেই লাশ ফেলে চলে গেছে। এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে বহু রোগী তাদের রোগ গোপন করে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই নমুনা দিতেও যাচ্ছে না।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, অনেক রোগী সামাজিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন থাকে। হাসপাতালে নমুনা দিতেও যাচ্ছে না। তারা হাসপাতাল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এর জন্য প্রত্যেক হাসপাতালে রোগী বাঁচাই করে টেস্ট করা দরকার। দরকার হলে অস্থায়ী ইমাজেন্সি চালু করে তাদের চিকিৎসা নেয়া দরকার। এতে রোগী ও ডাক্তার সবাই উপকৃত হবে। আর জনবিচ্ছিন্ন করে রাখলে আরও সমস্যা হবে বলে তিনি মনে করেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, কেউ অসুস্থ হয়েছে এমন সন্দেহ হলে নিজ উদ্যোগে করোনা টেস্ট করা দরকার। আক্রান্ত ব্যক্তিকে হেনেস্তা করা ও রোগ গোপন রাখা অপরাধ। বরং আক্রান্ত ব্যক্তিকে উৎসাহ দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা জরুরি। এতে পজিটিভ হলে নিজ নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা দরকার।

একজন মনোবিদ্যা বিশেষজ্ঞ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে এখন শংকা তৈরি হচ্ছে। তাই সঠিক তথ্য দেয়া দরকার। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগ গোপন রাখলে তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে। ইনফরমেশন দিয়ে সহ্য়াতা করলে রোগীরা উপকৃত হবে।

বিশেষজ্ঞ মতে, এখন করোনাভাইরাসে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রোগী শনাক্ত না হলে তা আরও বাড়তে থাকবে। তাই দরকার হলে ঘরে ঘরে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাসাবাড়িতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বাধা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনারোগীদের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের নিজ নিজ এলাকায় থাকতে বাধা এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীর সব থানায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১

করোনা রোগীরা পদে পদে হেনস্তা হচ্ছে

রোগ গোপন রাখায় ডাক্তার ও সেবাকর্মীরা বিপাকে

বাকিবিল্লাহ |

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা পদে পদে হেনেস্তা হচ্ছে। যার কারণে তারা এখন রোগ গোপন রেখে বাসাবাড়িতে অবস্থান করছে। এরপরও তারা নিরাপদ নয়। বাসাবাড়ির লোকজন ও সামাজিকভাবে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবশেষে অবস্থার অবনতি হলে রোগ গোপন করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার ও নার্সসহ সেবাকর্মীরা বিপাকে পড়ছে। এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। আবার করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করে বাসাবাড়িতে চিকিৎসকরা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক বাড়ির মালিক তাদের বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। ডাক্তার ছাড়া অনেক সাংবাদিক এ হুমকির শিকার হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেনেস্তা না করে সঠিক তথ্য দেয়া এবং সন্দেহভাজনদের নমুনা বেশি বেশি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দেন।

বিশিষ্ট আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, করোনা রোগী ভাইরাসবাহিত সংক্রামক । এটা মানুষের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একা কোন অভিশাপ নয়। করোনা বললে চিকিৎসা পাবে। এ রোগীদের হেনেস্তা করা ঠিক নয়। বরং তার পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হলে তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। মিথ্যা তথ্য দিলে মারাত্মক সমস্যা হয়। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে এমন একটি ঘটনা ঘটছে। সেখানে খাদ্যনালীর সমস্যা নিয়ে এক রোগীর অপারেশন করার কারণে এখন ১৩ জন ডাক্তার নার্স আক্রান্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টিনে আছে। এটা মারাত্মক সমস্যা। এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে। আর গর্ভবর্তী মহিলা করোনা আক্রান্ত হলে তার ইমাজেন্সি অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তাররা বিপাকে পড়ছে। এই ধরনের আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। প্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রোগ গোপন রাখার কারণে ও সামাজিক নেহেস্তার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। এখন জরুরিভিত্তিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর অপারেশনের জন্য পৃথক ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। এটার নিশ্চয়তা না দিলে সমস্যা হচ্ছে। রোগী নানাভাবে তথ্য গোপন রাখছে।

বিশিষ্ট ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী মুঠোফোনে বলেন, করোনা রোগী হেনেস্তা ও রোগ গোপন রাখা দুইটি সংক্রামণ আইনে দ-নীয় অপরাধ। আইনের প্রয়োগ করে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে তা থেকে উত্তরণ হওয়া সম্ভব। রোগ গোপন রাখায় তার জানামত গাইনি বিশেষজ্ঞ আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, জ্বর সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে গেলে তাকে করোনা রোগী বলে হেনেস্তা হতে হচ্ছে। আবার হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খোদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন ২ থেকে ৩টি ঘটনা ঘটেছে। এভাবে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন রোগী মানসিক টর্চারের শিকার হয়ে বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকেন। এতে অনেকেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটছে। অনেকেই ভয়ে গোপনে লাশ দাফন করে ফেলছে। আবার অনেকেই লাশ ফেলে চলে গেছে। এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে বহু রোগী তাদের রোগ গোপন করে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই নমুনা দিতেও যাচ্ছে না।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, অনেক রোগী সামাজিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন থাকে। হাসপাতালে নমুনা দিতেও যাচ্ছে না। তারা হাসপাতাল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। এর জন্য প্রত্যেক হাসপাতালে রোগী বাঁচাই করে টেস্ট করা দরকার। দরকার হলে অস্থায়ী ইমাজেন্সি চালু করে তাদের চিকিৎসা নেয়া দরকার। এতে রোগী ও ডাক্তার সবাই উপকৃত হবে। আর জনবিচ্ছিন্ন করে রাখলে আরও সমস্যা হবে বলে তিনি মনে করেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, কেউ অসুস্থ হয়েছে এমন সন্দেহ হলে নিজ উদ্যোগে করোনা টেস্ট করা দরকার। আক্রান্ত ব্যক্তিকে হেনেস্তা করা ও রোগ গোপন রাখা অপরাধ। বরং আক্রান্ত ব্যক্তিকে উৎসাহ দিয়ে করোনা পরীক্ষা করা জরুরি। এতে পজিটিভ হলে নিজ নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা দরকার।

একজন মনোবিদ্যা বিশেষজ্ঞ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে এখন শংকা তৈরি হচ্ছে। তাই সঠিক তথ্য দেয়া দরকার। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগ গোপন রাখলে তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে। ইনফরমেশন দিয়ে সহ্য়াতা করলে রোগীরা উপকৃত হবে।

বিশেষজ্ঞ মতে, এখন করোনাভাইরাসে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রোগী শনাক্ত না হলে তা আরও বাড়তে থাকবে। তাই দরকার হলে ঘরে ঘরে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাসাবাড়িতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বাধা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনারোগীদের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের নিজ নিজ এলাকায় থাকতে বাধা এবং তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীর সব থানায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।