চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা ছাড়তে বলছেন অনেক বাড়িওয়ালা। ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের বহু চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পেশার মানুষ বাড়িওয়ালাদের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্কে বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা তাদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন। নানা প্রকারের কটূক্তিও করছেন।
চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণের খবরটি দুঃখজনক। যারা এসব করছে তারা এ সমাজেরই মানুষ, কিন্তু মানবিক বোধসম্পন্ন নন। করোনার আতঙ্ক যেমন তাদের আচ্ছন্ন করে, তেমনি তারা ভুলে যান এই রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরও চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শরণাপন্ন হতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ খোলা নেই।
চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কোন কোন স্বাস্থ্যকর্মী বাসা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, রূঢ় আচরণের শিকার হচ্ছেন। একসময় মানুষ মনে করতেন, ফ্ল্যাটে একজন ডাক্তার থাকলে অনেক সহায় হবে। কিন্তু তারাই আবার এখন মনে করছেন, ফ্ল্যাটে একটা ডাক্তার থাকা মানে ঝুঁকি। এই মনোভাবের কারণ, করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের কুসংস্কার বা স্টিগমা। সেখান থেকে এই রূঢ় আচরণ করছেন বাড়িওয়ালা কিংবা ফ্ল্যাটের অন্য লোকজন।
বিশেষ পরিস্থিতিতে এ ধরনের অন্যায় আচরণ প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট আইনি সুযোগ রয়েছে। নিয়ম হলো, কাউকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না। কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, তখন তিনি আইসোলেশনে থাকবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীসহ কাউকে যদি চলে যেতে বলা হয়, রূঢ় আচরণ করা হয়, সেটা বেআইনি। ডাক্তার, নার্স, পুলিশসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা তো আর শখে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তারা তো মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনায় কাজ করছেন। এসব মানুষকে যারা হয়রানি করছেন, তারা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করছেন। সংক্রামক আইনে সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই সময়ে যেসব ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন, তাদের বাসা থেকে চলে যাওয়ার যে চাপ দেয়া হচ্ছে, এটি প্রতিরোধের জন্য সরকার সংক্রামক আইন অনুযায়ী একটি নির্দেশনা জারি করতে পারে যে, এ ধরনের কাজ করা যাবে না। যারা করবেন, তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। কোন বাড়িওয়ালা কিংবা অন্য কেউ যদি চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীর কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন, তা জানানোর জন্য দ্রুত হটলাইন চালু করা দরকার। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা ছাড়তে বলছেন অনেক বাড়িওয়ালা। ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের বহু চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পেশার মানুষ বাড়িওয়ালাদের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্কে বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা তাদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করছেন। নানা প্রকারের কটূক্তিও করছেন।
চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণের খবরটি দুঃখজনক। যারা এসব করছে তারা এ সমাজেরই মানুষ, কিন্তু মানবিক বোধসম্পন্ন নন। করোনার আতঙ্ক যেমন তাদের আচ্ছন্ন করে, তেমনি তারা ভুলে যান এই রোগে আক্রান্ত হলে তাদেরও চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শরণাপন্ন হতে হবে। এর বিকল্প কোন পথ খোলা নেই।
চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কোন কোন স্বাস্থ্যকর্মী বাসা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, রূঢ় আচরণের শিকার হচ্ছেন। একসময় মানুষ মনে করতেন, ফ্ল্যাটে একজন ডাক্তার থাকলে অনেক সহায় হবে। কিন্তু তারাই আবার এখন মনে করছেন, ফ্ল্যাটে একটা ডাক্তার থাকা মানে ঝুঁকি। এই মনোভাবের কারণ, করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের কুসংস্কার বা স্টিগমা। সেখান থেকে এই রূঢ় আচরণ করছেন বাড়িওয়ালা কিংবা ফ্ল্যাটের অন্য লোকজন।
বিশেষ পরিস্থিতিতে এ ধরনের অন্যায় আচরণ প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট আইনি সুযোগ রয়েছে। নিয়ম হলো, কাউকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না। কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, তখন তিনি আইসোলেশনে থাকবেন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীসহ কাউকে যদি চলে যেতে বলা হয়, রূঢ় আচরণ করা হয়, সেটা বেআইনি। ডাক্তার, নার্স, পুলিশসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা তো আর শখে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। তারা তো মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য সরকারি নির্দেশনায় কাজ করছেন। এসব মানুষকে যারা হয়রানি করছেন, তারা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করছেন। সংক্রামক আইনে সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই সময়ে যেসব ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন, তাদের বাসা থেকে চলে যাওয়ার যে চাপ দেয়া হচ্ছে, এটি প্রতিরোধের জন্য সরকার সংক্রামক আইন অনুযায়ী একটি নির্দেশনা জারি করতে পারে যে, এ ধরনের কাজ করা যাবে না। যারা করবেন, তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। কোন বাড়িওয়ালা কিংবা অন্য কেউ যদি চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীর কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন, তা জানানোর জন্য দ্রুত হটলাইন চালু করা দরকার। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’