হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ভারতের মেঘালয় ও আসামের বরাক অববাহিকায় আগামীতে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সে সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারেও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মূল ভরসা হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। বিশেষ করে হাওর এলাকার বোরো ধান সময়মতো ঘরে তোলা জরুরি। বরাবরই হাওরের ধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘরে তুলতে হয়। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন চলছে। জরুরি পরিবহন সেবা ছাড়া সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রয়েছে। মেনে চলতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। এ অবস্থায় হাওর এলাকায় কৃষি শ্রমিকের প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে। মূলত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিকরা বোরো মৌসুমে হাওর এলাকায় গিয়ে কাজ করেন। এবার বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে সেখানে ধান কাটার গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সংক্ষিপ্ততম সময়ে অর্থাৎ বন্যার আগেই বোরো ফসল ঘরে তোলা হবে কীভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র অনুযায়ী, এ বছর হাওর অঞ্চলে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা দেশের মোট লক্ষ্যমাত্রার ২০ ভাগ। বিপুল পরিমাণ ধান কাটতে বহুসংখ্যক কর্মী দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাওর এলাকায় জরুরিভিত্তিতে কৃষি শ্রমিক নেয়া যায় কিনা সেটা দ্রুত বিবেচনা করা দরকার। এজন্য কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। যেসব কৃষি শ্রমিক বা কৃষক এ সংকটকালে ফসল উৎপাদন বা উত্তোলন করবেন তাদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা জরুরি। পুরো কাজটি সহজসাধ্য নয়। বোরো ফসল ছাড়া যেমন আগামী দিনের সংকট মোকাবিলা করা কঠিন হবে তেমন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ধান কাটতে গেলেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আগাম বন্যা বা করোনাভাইরাস কোনটিই আমাদের যথেষ্ট সময় দেবে না।
শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০ , ৫ বৈশাখ ১৪২৭, ২৩ শাবান ১৪৪১
হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ভারতের মেঘালয় ও আসামের বরাক অববাহিকায় আগামীতে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সে সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারেও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় মূল ভরসা হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। বিশেষ করে হাওর এলাকার বোরো ধান সময়মতো ঘরে তোলা জরুরি। বরাবরই হাওরের ধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘরে তুলতে হয়। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন চলছে। জরুরি পরিবহন সেবা ছাড়া সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রয়েছে। মেনে চলতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। এ অবস্থায় হাওর এলাকায় কৃষি শ্রমিকের প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে। মূলত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিকরা বোরো মৌসুমে হাওর এলাকায় গিয়ে কাজ করেন। এবার বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে সেখানে ধান কাটার গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সংক্ষিপ্ততম সময়ে অর্থাৎ বন্যার আগেই বোরো ফসল ঘরে তোলা হবে কীভাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র অনুযায়ী, এ বছর হাওর অঞ্চলে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা দেশের মোট লক্ষ্যমাত্রার ২০ ভাগ। বিপুল পরিমাণ ধান কাটতে বহুসংখ্যক কর্মী দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাওর এলাকায় জরুরিভিত্তিতে কৃষি শ্রমিক নেয়া যায় কিনা সেটা দ্রুত বিবেচনা করা দরকার। এজন্য কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। যেসব কৃষি শ্রমিক বা কৃষক এ সংকটকালে ফসল উৎপাদন বা উত্তোলন করবেন তাদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা জরুরি। পুরো কাজটি সহজসাধ্য নয়। বোরো ফসল ছাড়া যেমন আগামী দিনের সংকট মোকাবিলা করা কঠিন হবে তেমন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ধান কাটতে গেলেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আগাম বন্যা বা করোনাভাইরাস কোনটিই আমাদের যথেষ্ট সময় দেবে না।