কারখানা বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকে আছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল

করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে স্থবিরতা বিরাজ করায় বন্ধ রয়েছে পোশাক কারখানা। প্রতিনিয়ত বাতিল হচ্ছে বিদেশি ক্রয়াদেশ। আর এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন সংকট। এই সংকটের কারণে বন্দরে আটকে থাকা কাঁচামালও খালাস করতে পারছে না আমদানিকারকরা। এতে ধারণক্ষমতা প্রায় ছুঁয়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকেও নামছে না পণ্য। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর অচল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি, অন্য শিল্পের যন্ত্রাংশ, খাদ্যপণ্য ও ওষুধের কাঁচামালসহ দেশের মোট ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। রপ্তানির ৯০ শতাংশের বেশি হয় এই বন্দর দিয়ে। করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রভাবে প্রায় ৮৫ শতাংশ রপ্তানি আয়ের যোগানদাতা তৈরি পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় এবং কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা পণ্যের তেমন চাহিদা নেই। উপরন্তু মহামারীর কারণে আমদানি পণ্য বন্দর থেকে নেয়ার জন্য পরিবহনেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এবং ব্যাংক খোলা রাখার সময় কমে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্দরকে সচল রাখতে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সমন্বয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমদানিকারকরা সক্রিয় হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব। বেশিরভাগ আমদানিকারক পোশাক শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট। আপাতত বিকল্প হিসেবে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে (আইসিডি) সব ধরনের পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে খালাসের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আইসিডিগুলোতে এখনও ১৫ হাজার কন্টেইনার রাখার মতো জায়গা আছে। ১৫ হাজার কন্টেইনার খালি হলে বন্দর চত্বরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার দ্রুত গতিতে নামানো সম্ভব হবে। তখন আর জাহাজকে বেশিদিন অপেক্ষায়ও রাখতে হবে না, কন্টেইনার জটও হবে না।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় ১৯টি আইসিডিতে ৩৮ ধরনের কনটেইনার পণ্য খালাস করা যায়। সব পণ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে বলে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। ছুটি শুরুর পর গত তিন সপ্তাহে ক্রমাগত বন্দর থেকে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া কমতে থাকে। পণ্যের ডেলিভারি নিতে উৎসাহিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে মাশুল মওকুফ করে দিয়েছে।

আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকদের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে পণ্য আনা-নেয়াসহ বন্দরকেন্দ্রীক যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা। তাদের সমিতি বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএফএফএ)। পর্যাপ্ত গাড়ি চলাচল না করা, ব্যাংক খোলা রাখার সময় কমে যাওয়া এবং শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে বিএএফএফএর সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) অমির শঙ্কর বর্মন জানান।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটির সময়ও যখন গাড়ি কম চলে তখন কন্টেইনার জমে যায়। এখন দীর্ঘ সাধারণ ছুটি চলছে। রপ্তানি কমে যাওয়ায় রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে যেসব গাড়ি আসে সেগুলোও খুব কম আসছে। ফলে আমদানি কন্টেইনার পাঠানোর জন্য গাড়ির সংকট প্রকট। পণ্য ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে ব্যাংকে যেতে যেতে ব্যাংকিং আওয়ার শেষ হয়ে যায়। নগরীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফরাও নানা বাধা পেরিয়ে স্বল্প ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারছেন না।

এদিকে কারখানা বন্ধ রাখার কারণে বন্দরে কাঁচামাল আটকে আছে। আর কারখানা চালু করারও এখন পর্যন্ত কোন সিন্ধান্ত হয়নি। গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর পুরো দেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে। ওই ঘোষণার পরে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, কিছু দিন আগে দেখা গেছে গণপরিবহনের অভাবে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এবারের পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল, শ্রমিকদের ফিরে আসার সময় একটি নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। গত ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএর পক্ষ থেকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল, যাতে আমরা সময়ের আগেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। কিন্তু ১৬ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশকে মহামারীর ঝুঁকি ঘোষণার পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। বিজিএমইএ সঙ্গে সঙ্গে ওই চিঠি বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপাতত সব পরিকল্পনা বাদ রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে শ্রমিকদের নিরাপদে আসার বিষয়ে আবার উদ্যোগ নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আপাতত আমাদের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার হচ্ছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা।

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে, কারখানা চালু করার আগে আমাদের নিরাপদ থাকতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বুঝতে পারব, কারখানা খোলার সঠিক সময় কোনটি। কিন্তু এই মুহূর্তে শ্রমিক ও নিজেদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাই একমাত্র অগ্রাধিকারের বিষয়।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মধ্যে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে কারখানা চালু করতে গিয়ে এক বিপর্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কর্মস্থলে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পোশাক শিল্প মালিকরা। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

কারখানা বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকে আছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে স্থবিরতা বিরাজ করায় বন্ধ রয়েছে পোশাক কারখানা। প্রতিনিয়ত বাতিল হচ্ছে বিদেশি ক্রয়াদেশ। আর এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন সংকট। এই সংকটের কারণে বন্দরে আটকে থাকা কাঁচামালও খালাস করতে পারছে না আমদানিকারকরা। এতে ধারণক্ষমতা প্রায় ছুঁয়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকেও নামছে না পণ্য। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর অচল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি, অন্য শিল্পের যন্ত্রাংশ, খাদ্যপণ্য ও ওষুধের কাঁচামালসহ দেশের মোট ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। রপ্তানির ৯০ শতাংশের বেশি হয় এই বন্দর দিয়ে। করোনাভাইরাসের মহামারীর প্রভাবে প্রায় ৮৫ শতাংশ রপ্তানি আয়ের যোগানদাতা তৈরি পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় এবং কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা পণ্যের তেমন চাহিদা নেই। উপরন্তু মহামারীর কারণে আমদানি পণ্য বন্দর থেকে নেয়ার জন্য পরিবহনেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এবং ব্যাংক খোলা রাখার সময় কমে যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্দরকে সচল রাখতে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সমন্বয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমদানিকারকরা সক্রিয় হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব। বেশিরভাগ আমদানিকারক পোশাক শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট। আপাতত বিকল্প হিসেবে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে (আইসিডি) সব ধরনের পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে খালাসের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আইসিডিগুলোতে এখনও ১৫ হাজার কন্টেইনার রাখার মতো জায়গা আছে। ১৫ হাজার কন্টেইনার খালি হলে বন্দর চত্বরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার দ্রুত গতিতে নামানো সম্ভব হবে। তখন আর জাহাজকে বেশিদিন অপেক্ষায়ও রাখতে হবে না, কন্টেইনার জটও হবে না।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় ১৯টি আইসিডিতে ৩৮ ধরনের কনটেইনার পণ্য খালাস করা যায়। সব পণ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে চেষ্টা চলছে বলে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। ছুটি শুরুর পর গত তিন সপ্তাহে ক্রমাগত বন্দর থেকে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া কমতে থাকে। পণ্যের ডেলিভারি নিতে উৎসাহিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে মাশুল মওকুফ করে দিয়েছে।

আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকদের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে পণ্য আনা-নেয়াসহ বন্দরকেন্দ্রীক যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা। তাদের সমিতি বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএফএফএ)। পর্যাপ্ত গাড়ি চলাচল না করা, ব্যাংক খোলা রাখার সময় কমে যাওয়া এবং শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে বিএএফএফএর সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) অমির শঙ্কর বর্মন জানান।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটির সময়ও যখন গাড়ি কম চলে তখন কন্টেইনার জমে যায়। এখন দীর্ঘ সাধারণ ছুটি চলছে। রপ্তানি কমে যাওয়ায় রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে যেসব গাড়ি আসে সেগুলোও খুব কম আসছে। ফলে আমদানি কন্টেইনার পাঠানোর জন্য গাড়ির সংকট প্রকট। পণ্য ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে ব্যাংকে যেতে যেতে ব্যাংকিং আওয়ার শেষ হয়ে যায়। নগরীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফরাও নানা বাধা পেরিয়ে স্বল্প ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারছেন না।

এদিকে কারখানা বন্ধ রাখার কারণে বন্দরে কাঁচামাল আটকে আছে। আর কারখানা চালু করারও এখন পর্যন্ত কোন সিন্ধান্ত হয়নি। গত শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর পুরো দেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে। ওই ঘোষণার পরে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, কিছু দিন আগে দেখা গেছে গণপরিবহনের অভাবে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এবারের পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল, শ্রমিকদের ফিরে আসার সময় একটি নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। গত ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএর পক্ষ থেকে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল, যাতে আমরা সময়ের আগেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। কিন্তু ১৬ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশকে মহামারীর ঝুঁকি ঘোষণার পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। বিজিএমইএ সঙ্গে সঙ্গে ওই চিঠি বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপাতত সব পরিকল্পনা বাদ রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে শ্রমিকদের নিরাপদে আসার বিষয়ে আবার উদ্যোগ নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আপাতত আমাদের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার হচ্ছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা।

বিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে, কারখানা চালু করার আগে আমাদের নিরাপদ থাকতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বুঝতে পারব, কারখানা খোলার সঠিক সময় কোনটি। কিন্তু এই মুহূর্তে শ্রমিক ও নিজেদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাই একমাত্র অগ্রাধিকারের বিষয়।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মধ্যে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে কারখানা চালু করতে গিয়ে এক বিপর্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কর্মস্থলে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পোশাক শিল্প মালিকরা। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।