ভোটার আইডি না থাকলেও ত্রাণ দেয়ার নির্দেশ

ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও অসহায়, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রাণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় এই নির্দেশনা মেনে ত্রাণ বিতরণ করতে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে’ সিটি করপোরেশন, উপজেলা বা পৌরসভায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষ, যেমন- বস্তিবাসী, বেকার শ্রমিক, চা শ্রমিক, রেস্তোরাঁ শ্রমিক, মোটরযান শ্রমিক, নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিক, চা দোকানদার, দিনমজুর, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যাক্তা বা বিধবা নারী, রিকশা ও ভ্যানচালক, ভিক্ষুক, বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায় এবং পথশিশুদের মধ্যে প্রয়োজন ‘অনুযায়ী ত্রাণ’ সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড না থাকার অজুহাতে কোন অসহায়, ভাসমান গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রাণ বিতরণ থেকে বাদ দেয়া যাবে না। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভায় একটি করে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব কমিটি নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। এমনভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে যাতে কোন উপকারভোগী বাদ না পড়ে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।

করেনাভাইরাসের মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ। সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ত্রাণ হিসেবে ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু ত্রাণ বিতরণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনিয়মের অভিযোগ আসছে। বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। কোন কোন জনপ্রতিনিধি নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের ত্রাণের তালিকায় রেখেছেন।

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

ভোটার আইডি না থাকলেও ত্রাণ দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ভোটার আইডি কার্ড না থাকলেও অসহায়, গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রাণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় এই নির্দেশনা মেনে ত্রাণ বিতরণ করতে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে’ সিটি করপোরেশন, উপজেলা বা পৌরসভায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষ, যেমন- বস্তিবাসী, বেকার শ্রমিক, চা শ্রমিক, রেস্তোরাঁ শ্রমিক, মোটরযান শ্রমিক, নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিক, চা দোকানদার, দিনমজুর, ভবঘুরে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যাক্তা বা বিধবা নারী, রিকশা ও ভ্যানচালক, ভিক্ষুক, বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায় এবং পথশিশুদের মধ্যে প্রয়োজন ‘অনুযায়ী ত্রাণ’ সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড না থাকার অজুহাতে কোন অসহায়, ভাসমান গরিব ও দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রাণ বিতরণ থেকে বাদ দেয়া যাবে না। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভায় একটি করে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব কমিটি নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। এমনভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে যাতে কোন উপকারভোগী বাদ না পড়ে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।

করেনাভাইরাসের মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ। সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ত্রাণ হিসেবে ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু ত্রাণ বিতরণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনিয়মের অভিযোগ আসছে। বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। কোন কোন জনপ্রতিনিধি নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের ত্রাণের তালিকায় রেখেছেন।