ক্যাপ্টেন তাজের মানবিক সহায়তা হটলাইন চালু

হটলাইনে ফোন করলে পৌঁছবে খাদ্য সহায়তা। তার আগে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফোনকারী প্রকৃতই দূরাবস্থাতে আছেন কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করবে। তাছাড়া সংক্রমণ এড়াতে ভ্রাম্যমাণ শপ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ন্যায্যমূল্যে মিলবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সদাই। করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের জন্য এমন নানা উদ্যোগ নিয়ে এগুচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত এবি তাজুল ইসলাম। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের এসব প্রয়াস আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাকে। অনেক জনপ্রতিনিধি যখন বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে মুখ লুকিয়ে থাকার দুর্নামে বিদ্ধ সেখানে ব্যতিক্রম তিনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর কয়েক দফা এলাকায় এসেছেন। নিজের ব্যক্তিগত তরফ থেকে সাড়ে ১২ হাজার মানুষের বাড়িতে পাঠিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী । যারা কর্মহীন-অসহায় তাদের ঘরে ঘরে এই ত্রাণ পৌঁছে দেন দলের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এরআগে উপজেলা সদরে নিজে দাড়িয়ে থেকে প্রত্যেক গ্রামে খাদ্যসামগ্রী ভর্তি গাড়ি পাঠানো তদারকি করেন। পর নিজে আবার ১৩ ইউনিয়নের সবকটি গ্রামে যান। গ্রাম ঘুরে ঘুরে খোজ খবর নেন মানুষের। এ সময় ত্রান ঠিকভাবে পৌছলো কিনা তা যাচাই করেন। ধান কাটায় সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চান কৃষকদের কাছে। তাছাড়া স্থানীয় ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনের কর্মতৎপরতার খোঁজখবর রাখছেন প্রতিনিয়ত। ফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সবার সাথে। দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবার মুখে তার এই কাজের প্রশংসা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম শহিদুল হক ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল আহমেদ জানান- সংসদ সদস্যের নির্দেশে এরইমধ্যে ২০ সদস্য বিশিষ্ট ত্রাণ বিতরণ কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে। মো. সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুলকে এর আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যদের কাছে ২টি হটলাইন নাম্বার থাকবে। এই নাম্বারে ফোন করলে যাচাই-বাছাই করে পৌঁছে দেয়া দেয়া হবে খাদ্য সহায়তা। তাছাড়া মানুষজনকে যাতে বাজারে আসতে না হয় সেজন্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের সুবিধে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ভ্রাম্যমাণ শপ করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে রমজানে। যেখানে ন্যায্যমূল্যে মিলবে সদাই। তারা আরও জানান, অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে আসছে রোজার শুরুতে ১০ হাজার মানুষকে ইফতার সামগ্রী দেয়া হবে সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে। যাদের এই সুবিধে দেয়া হবে তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আবার ঈদের আগেও সমান সংখ্যক মানুষকে ঈদের উপহার দেয়া হবে। ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, এলাকার মানুষের অবস্থা আমাকে ভাবাচ্ছে। আমার অন্তর-আত্মা অনুশাসন দিচ্ছে এগুলো করার জন্যে। আমি আমার সাধ্যমতো, যে সামর্থটুকু সৃষ্টিকর্তা আমাকে দিয়েছেন,তার সবটুকু উজার করে দিয়ে মানুষ যেন ভালো থাকে,সুস্থ থাকে সেই চেষ্টা করছি।

সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ , ৭ বৈশাখ ১৪২৭, ২৫ শাবান ১৪৪১

ক্যাপ্টেন তাজের মানবিক সহায়তা হটলাইন চালু

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হটলাইনে ফোন করলে পৌঁছবে খাদ্য সহায়তা। তার আগে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফোনকারী প্রকৃতই দূরাবস্থাতে আছেন কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করবে। তাছাড়া সংক্রমণ এড়াতে ভ্রাম্যমাণ শপ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে ন্যায্যমূল্যে মিলবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সদাই। করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের জন্য এমন নানা উদ্যোগ নিয়ে এগুচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত এবি তাজুল ইসলাম। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের এসব প্রয়াস আলোচনায় নিয়ে এসেছে তাকে। অনেক জনপ্রতিনিধি যখন বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে মুখ লুকিয়ে থাকার দুর্নামে বিদ্ধ সেখানে ব্যতিক্রম তিনি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর কয়েক দফা এলাকায় এসেছেন। নিজের ব্যক্তিগত তরফ থেকে সাড়ে ১২ হাজার মানুষের বাড়িতে পাঠিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী । যারা কর্মহীন-অসহায় তাদের ঘরে ঘরে এই ত্রাণ পৌঁছে দেন দলের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এরআগে উপজেলা সদরে নিজে দাড়িয়ে থেকে প্রত্যেক গ্রামে খাদ্যসামগ্রী ভর্তি গাড়ি পাঠানো তদারকি করেন। পর নিজে আবার ১৩ ইউনিয়নের সবকটি গ্রামে যান। গ্রাম ঘুরে ঘুরে খোজ খবর নেন মানুষের। এ সময় ত্রান ঠিকভাবে পৌছলো কিনা তা যাচাই করেন। ধান কাটায় সমস্যা আছে কিনা তা জানতে চান কৃষকদের কাছে। তাছাড়া স্থানীয় ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রশাসনের কর্মতৎপরতার খোঁজখবর রাখছেন প্রতিনিয়ত। ফোনে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সবার সাথে। দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবার মুখে তার এই কাজের প্রশংসা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম শহিদুল হক ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল আহমেদ জানান- সংসদ সদস্যের নির্দেশে এরইমধ্যে ২০ সদস্য বিশিষ্ট ত্রাণ বিতরণ কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে। মো. সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুলকে এর আহ্বায়ক করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যদের কাছে ২টি হটলাইন নাম্বার থাকবে। এই নাম্বারে ফোন করলে যাচাই-বাছাই করে পৌঁছে দেয়া দেয়া হবে খাদ্য সহায়তা। তাছাড়া মানুষজনকে যাতে বাজারে আসতে না হয় সেজন্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের সুবিধে তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে ভ্রাম্যমাণ শপ করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে রমজানে। যেখানে ন্যায্যমূল্যে মিলবে সদাই। তারা আরও জানান, অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে আসছে রোজার শুরুতে ১০ হাজার মানুষকে ইফতার সামগ্রী দেয়া হবে সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে। যাদের এই সুবিধে দেয়া হবে তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। আবার ঈদের আগেও সমান সংখ্যক মানুষকে ঈদের উপহার দেয়া হবে। ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, এলাকার মানুষের অবস্থা আমাকে ভাবাচ্ছে। আমার অন্তর-আত্মা অনুশাসন দিচ্ছে এগুলো করার জন্যে। আমি আমার সাধ্যমতো, যে সামর্থটুকু সৃষ্টিকর্তা আমাকে দিয়েছেন,তার সবটুকু উজার করে দিয়ে মানুষ যেন ভালো থাকে,সুস্থ থাকে সেই চেষ্টা করছি।