আরও ১৮ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ১২ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বরখাস্তদের মধ্যে ৩ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ৯ জন ইউপি সদস্য। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ২৪ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে গত ১২ এপ্রিল ৩ জন ও ১৫ এপ্রিল ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখদুম কবীর তন্ময়, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগ। সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউপি সদস্যরা হলেন, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বড়মহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজা, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন এবং ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রোকনুজ্জামান, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রব পাটোয়ারি, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোশারেফ হোসেন এবং ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রনি বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আল-আমিন চৌধুরী এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছিয়া খাতুন।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ভিজিডির চাল আত্মসাৎ,খাদ্য সহায়তা চাইতে আসা লোকজনকে মারধর, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দেশের সংকটময় মুহূর্তে এলাকায় অনুপস্থিত থাকা, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকা ইত্যাদি কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর৩৪(১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ , ৭ বৈশাখ ১৪২৭, ২৫ শাবান ১৪৪১

ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম

আরও ১৮ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ১২ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বরখাস্তদের মধ্যে ৩ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ৯ জন ইউপি সদস্য। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ২৪ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এর আগে গত ১২ এপ্রিল ৩ জন ও ১৫ এপ্রিল ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখদুম কবীর তন্ময়, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা গোলাম হাফিজ সোহাগ। সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউপি সদস্যরা হলেন, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বড়মহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজা, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন এবং ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রোকনুজ্জামান, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রব পাটোয়ারি, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোশারেফ হোসেন এবং ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রনি বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আল-আমিন চৌধুরী এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছিয়া খাতুন।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ভিজিডির চাল আত্মসাৎ,খাদ্য সহায়তা চাইতে আসা লোকজনকে মারধর, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দেশের সংকটময় মুহূর্তে এলাকায় অনুপস্থিত থাকা, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকা ইত্যাদি কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর৩৪(১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।