প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে গিয়ে সারাদেশে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, গতকাল পর্যন্ত ১৫০ জন ডাক্তার ও ১৭০ জন নার্স ও কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তার আক্রান্তের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৩ জন ডাক্তারসহ প্রায় ৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকার বাহিরে এখন বিভাগগুলোতে ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আক্রান্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক তথ্যে জানা গেছে, তারা গতকাল থেকে আক্রান্ত ডাক্তারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। তবে ঢাকায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে তালিকা তৈরিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। আর ঢাকার বাহিরে বিভাগীয় পর্যায়েও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিএমএ নেতারা জানান, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রতিদিন ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক রোগী তাদের করোনার তথ্য না জেনে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসা করতে যান। ওই রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার ও তার সঙ্গে থাকা সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সার্জারি ও গাইনি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৩ জন ডাক্তার ও নার্স কর্মচারী মিলে এ সংখ্যা ৫৩ জন বলে জানা গেছে। মিটফোর্ড ছাড়াও রাজধানীর অন্য হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টর ফোরাম (বিডিএফ) এক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৭০ জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) আছে ২ জন।
বিএমএ মহাসচিব গতকাল রাতে মুঠোফোনে বলেন, ডাক্তার ও নার্স মিলে মোট ৩২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ডাক্তার ১৫০ জন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডাক্তার আক্রন্তের কারণে ঢাকার বাহিরে কয়েকটি হাসপাতালের ইউনিট ও বিভাগের কার্যক্রম লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮ বৈশাখ ১৪২৭, ২৬ শাবান ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে গিয়ে সারাদেশে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, গতকাল পর্যন্ত ১৫০ জন ডাক্তার ও ১৭০ জন নার্স ও কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তার আক্রান্তের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৩ জন ডাক্তারসহ প্রায় ৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকার বাহিরে এখন বিভাগগুলোতে ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আক্রান্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানান। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক তথ্যে জানা গেছে, তারা গতকাল থেকে আক্রান্ত ডাক্তারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। তবে ঢাকায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে তালিকা তৈরিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। আর ঢাকার বাহিরে বিভাগীয় পর্যায়েও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বিএমএ নেতারা জানান, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রতিদিন ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক রোগী তাদের করোনার তথ্য না জেনে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্য রোগের চিকিৎসা করতে যান। ওই রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার ও তার সঙ্গে থাকা সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সার্জারি ও গাইনি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গতকাল পর্যন্ত মোট ২৩ জন ডাক্তার ও নার্স কর্মচারী মিলে এ সংখ্যা ৫৩ জন বলে জানা গেছে। মিটফোর্ড ছাড়াও রাজধানীর অন্য হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টর ফোরাম (বিডিএফ) এক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৭০ জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) আছে ২ জন।
বিএমএ মহাসচিব গতকাল রাতে মুঠোফোনে বলেন, ডাক্তার ও নার্স মিলে মোট ৩২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ডাক্তার ১৫০ জন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডাক্তার আক্রন্তের কারণে ঢাকার বাহিরে কয়েকটি হাসপাতালের ইউনিট ও বিভাগের কার্যক্রম লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।