পিপিই সংগ্রহে ১৭৬ কোটি টাকা খরচ

যা সরবরাহ করছি মান যাচাই করে করা হচ্ছে সিএমএসডি পরিচালক

স্বাস্থ্য খাতের সরকারি ক্রয় প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরেজ ডিপোর (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ দাবি করেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্তি এবং বানোয়াট তথ্য পরিবেশন না করে সরাসরি সিএমএসডিকে জানাতে। তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত আমরা যা সরবরাহ করেছি, এগুলোর মান যাচাই করেই সরবরাহ করছি।’ গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে এ কথা জানান তিনি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সিএমএসডি থেকে আমরা যেসব সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে থাকি, সেগুলো একটি পর্ষদের মাধ্যমে মান যাচাই করে দিয়ে থাকি। এর সঙ্গে যে মূল্য সেটাও আমরা নির্ধারণ করে থাকি। ক্রয় প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে আমাদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কোন সরবরাহকৃত দ্রব্য কোন পর্যায় পৌঁছানোর পর ব্যবহারকারীরা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমি অনুরোধ জানাবো, মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ না করে সরাসরি আমাদের জানান। আমরা নিশ্চয়ই সেগুলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যে পরিমাণ পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে সরকারের আনুমানিক ১৭৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া বিতরণেও ৭-৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতেই সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দুর্যোগ মোকাবিলা আমরা সবাই মিলেই করতে চাই। আসুন, আমরা কোন ধরনের বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্য প্রকাশ না করি। কোন সন্দেহ থাকলে আপনারা সিএমএসডি’র সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি দোষারোপ না করে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করব।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘সিএমএসডি’র পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিংবা নিয়ন্ত্রণবিহীন মাস্ক ক্রয় করেও সরবরাহ করার সুযোগ নেই। যখনই সরবরাহকৃত সামগ্রী নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তখনই আমরা সরবরাহকৃত কোম্পানির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ এ সময় তিনি জানান, এ পর্যন্ত ক্রয় করা প্রায় ১৪ লাখ পিপিই’র ৭০ ভাগ দেশে তৈরি এবং ৩০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা।

আরও খবর
হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা ও উপকরণ ঘাটতি
রমজান মাসেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন -ডব্লিউএইচও
২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবে সরকার প্রধানমন্ত্রী
অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে
চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ১০ জনসহ মৃত্যু শত পার
করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি নির্দেশনা
বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মোসলে উদ্দিন ভারতে গ্রেফতারের খবর
তিন শতাধিক ডাক্তার নার্স আক্রান্ত
ভারতে আটক ১৬৪ বাংলাদেশিকে আনা হয়েছে
ডাক্তার ও নার্সদের আলাদা আবাসনের জন্য ডিসিদের নির্দেশ
লকডাউনে সীতাকুণ্ডে বেসরকারি কল-কারখানা চালু নিরুপম দাশ গুপ্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন
এসকে হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা অপ্রতুল

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮ বৈশাখ ১৪২৭, ২৬ শাবান ১৪৪১

মাস্ক নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ নয়

পিপিই সংগ্রহে ১৭৬ কোটি টাকা খরচ

যা সরবরাহ করছি মান যাচাই করে করা হচ্ছে সিএমএসডি পরিচালক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

স্বাস্থ্য খাতের সরকারি ক্রয় প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরেজ ডিপোর (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ দাবি করেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্তি এবং বানোয়াট তথ্য পরিবেশন না করে সরাসরি সিএমএসডিকে জানাতে। তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত আমরা যা সরবরাহ করেছি, এগুলোর মান যাচাই করেই সরবরাহ করছি।’ গতকাল দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে এ কথা জানান তিনি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সিএমএসডি থেকে আমরা যেসব সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে থাকি, সেগুলো একটি পর্ষদের মাধ্যমে মান যাচাই করে দিয়ে থাকি। এর সঙ্গে যে মূল্য সেটাও আমরা নির্ধারণ করে থাকি। ক্রয় প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে আমাদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কোন সরবরাহকৃত দ্রব্য কোন পর্যায় পৌঁছানোর পর ব্যবহারকারীরা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমি অনুরোধ জানাবো, মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ না করে সরাসরি আমাদের জানান। আমরা নিশ্চয়ই সেগুলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যে পরিমাণ পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে সরকারের আনুমানিক ১৭৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া বিতরণেও ৭-৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতেই সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দুর্যোগ মোকাবিলা আমরা সবাই মিলেই করতে চাই। আসুন, আমরা কোন ধরনের বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্য প্রকাশ না করি। কোন সন্দেহ থাকলে আপনারা সিএমএসডি’র সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি দোষারোপ না করে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করব।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘সিএমএসডি’র পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিংবা নিয়ন্ত্রণবিহীন মাস্ক ক্রয় করেও সরবরাহ করার সুযোগ নেই। যখনই সরবরাহকৃত সামগ্রী নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তখনই আমরা সরবরাহকৃত কোম্পানির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ এ সময় তিনি জানান, এ পর্যন্ত ক্রয় করা প্রায় ১৪ লাখ পিপিই’র ৭০ ভাগ দেশে তৈরি এবং ৩০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা।