বরিশালে অকার্যকর লকডাউন

যতই দিন যাচ্ছে বরিশালে ততই ঢিলেঢালা হচ্ছে লকডাউন। দিনের প্রথমভাগে নগরীর জীবনযাত্রা থাকে প্রায় স্বাভাবিক। তবে বিকেল হলে জনশূন্য হতে থাকে। মূলত সন্ধ্যার পর কার্যকর হয় লকডাউন। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষায় নগরীর ৯টি কাঁচাবাজার স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।

গত ১২ এপ্রিল শের-ই বাংলা মেডিকেল চিকিৎসাধীন দুই রোগীর দেহে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। প্রথমদিকে মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা থাকলেও আস্তে আস্তে তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। এখন অনেকেই বিনা কারণে রাস্তাঘাটে বের হচ্ছেন। মুদি এবং ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনীয় দোকানও খোলা রাখা হচ্ছে।

গতকাল বাজারঘাট, রাস্তা এবং ব্যাংকেও অনেক মানুষ দেখা গেছে। রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টিসিবি পণ্য বিক্রির প্রতিটি পয়েন্টেও ছিল দীর্ঘ লাইন। এসব স্থানে শারীরিক দূরত্ব অনুসরণের কোন বালাই দেখা যায়নি। নগরীর অনেক এলাকায় প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ বাহিনীর গুটিকয়েক সদস্যকে উপস্থিত থাকলেও তাদের মধ্যে প্রথমদিকে যে তৎপরতা ছিল তা ক্রমশ ঢিলে হয়ে গেছে। গত রোববার এবং সোমবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৭ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এভাবে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও জরিমানা আদায় করছে। যেসব ব্যবসায়ীরা জরিমানা দিয়েছেন তাদেরও পরদিন থেকে দোকান খোলা রাখতে দেখা যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রতিটি মানুষের নিজ দায়িত্বে ঘরে থাকা উচিত। প্রশাসন তাদের সাধ্যানুযায়ী লকডাউন কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল জেলা প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নগরীর ৯টি বাজার সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠসহ খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮ বৈশাখ ১৪২৭, ২৬ শাবান ১৪৪১

বরিশালে অকার্যকর লকডাউন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

যতই দিন যাচ্ছে বরিশালে ততই ঢিলেঢালা হচ্ছে লকডাউন। দিনের প্রথমভাগে নগরীর জীবনযাত্রা থাকে প্রায় স্বাভাবিক। তবে বিকেল হলে জনশূন্য হতে থাকে। মূলত সন্ধ্যার পর কার্যকর হয় লকডাউন। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষায় নগরীর ৯টি কাঁচাবাজার স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল জেলা প্রশাসন।

গত ১২ এপ্রিল শের-ই বাংলা মেডিকেল চিকিৎসাধীন দুই রোগীর দেহে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। প্রথমদিকে মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা থাকলেও আস্তে আস্তে তারা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। এখন অনেকেই বিনা কারণে রাস্তাঘাটে বের হচ্ছেন। মুদি এবং ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনীয় দোকানও খোলা রাখা হচ্ছে।

গতকাল বাজারঘাট, রাস্তা এবং ব্যাংকেও অনেক মানুষ দেখা গেছে। রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টিসিবি পণ্য বিক্রির প্রতিটি পয়েন্টেও ছিল দীর্ঘ লাইন। এসব স্থানে শারীরিক দূরত্ব অনুসরণের কোন বালাই দেখা যায়নি। নগরীর অনেক এলাকায় প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো চিত্র দেখা গেছে। বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ বাহিনীর গুটিকয়েক সদস্যকে উপস্থিত থাকলেও তাদের মধ্যে প্রথমদিকে যে তৎপরতা ছিল তা ক্রমশ ঢিলে হয়ে গেছে। গত রোববার এবং সোমবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে ২৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৭ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এভাবে প্রতিদিনই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও জরিমানা আদায় করছে। যেসব ব্যবসায়ীরা জরিমানা দিয়েছেন তাদেরও পরদিন থেকে দোকান খোলা রাখতে দেখা যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রতিটি মানুষের নিজ দায়িত্বে ঘরে থাকা উচিত। প্রশাসন তাদের সাধ্যানুযায়ী লকডাউন কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল জেলা প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নগরীর ৯টি বাজার সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠসহ খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।