রংপুর গোপালগঞ্জ দিনাজপুরে ত্রাণের জন্য সড়ক অবরোধ

রংপুর নগরীর চারতলা মোড় ট্রাক স্ট্যান্ডসহ নগরীর ৪টি স্থানে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকার নারী পুরুষ। সড়ক অবরোধের কারণে জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহনসহ সব যান চলাচল বন্ধ ছিল।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে নগরীর নজিরেরহাট ও পীরগাছার কদমতলি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শত নারী পুরুষ। তাদের অভিযোগ করোনাভাইরাসের কারণে তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মহীন অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে মানবেতরভাবে দিন কাটালেও সরকারি বেসরকারি কোন সাহায্য তার দেয়া হয়নি। বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব কোতয়ালী থানার ওসি আবদুর রশিদ নজিরের হাটে গিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভকারীরা চলে যায়। একইভাবে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম ঘটনা স্থলে গিয়ে খাদ্য দেবার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা চলে যায়।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় একই সময়ে রংপুর নগরীর পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ড ও চারতলা মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শত শত নারী পুরুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কয়েকদফা জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিয়েও এক মাসেও কোন খাদ্য দেয়নি। তাদের দাবি সরকার বিপুল পরিমাণ খাদ্য বরাদ্দ দিচ্ছে তাহলে এসব যাচ্ছে কোথায়? তারা জানায় খাবারের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ৩/৪ দিন ধরে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের আকুতি আমরা কি না খেয়ে মারা যাব?

খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনা স্থলে এসে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। কোতয়ালী থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান নগরীর ৩টি স্থানে খাদ্যের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকার কর্মহীন মানুষ। প্রশাসন তাদের খাদ্য প্রদানের আশ্বাস দেয়ায় তারা চলে গেছে। একই কথা জানান পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম। তিনি জানান, অবরোধ কারীদের আজকের মধ্যেই তালিকা করে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়ায় তারা ফিরে গেছে।

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ জানায়

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি ত্রাণ বঞ্চিত ২শ’ মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়া বাসট্যাণ্ডে এ কর্মসূচি পালিত হয়। খবর পেয়ে জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী, সাবেক চেয়ারম্যান মিহির রায়, জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার ও জলিরপাড় ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর সুভাষ বৈদ্য গিয়ে ত্রাণ বঞ্চিতদের ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

ত্রাণ বঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণজলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, আমাদের এলাকার ২শ’ পরিবার খুবই গরিব। তারা ভ্যান চালিয়েও দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ নেই। হাতে টাকা পয়সাও নেই। পরিবারের সদস্য নিয়ে কোন রকমে একবেলা-আধবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।

ত্রাণবঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী শেখ, বাদল দাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেছে। তিনি তার দরিদ্র ও সচ্ছল সমর্থকদের ত্রাণ দিয়েছেন। তার সমর্থকরা সরকারি ত্রাণ, এমপির ব্যক্তিগত ত্রাণ, আওয়ামী লীগের ত্রাণসহ ৩/৪ বার ত্রাণ পেয়েছেন। কিন্তু আমরা একবারও ত্রাণ পাইনি। ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অবশেষে বাধ্য হয়েই পথে নেমেছি।

ত্রাণ বঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, সরকার সব উপজেলার প্রকৃত গরিব মানুষের তালিকা করেছে। এ তালিকা অনুযায়ী সরকার ত্রাণ পাঠায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা এটি নয়ছয় করে। তাই আমাদের হাতে ত্রাণ পৌঁছায় না। এ কারণে ওএমএসএর চাল বিক্রি, ত্রাণ ও ১০ টাকা দরের চাল বিতরণ, রেশনকার্ডসহ সরকারি সব সুবিধা প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের বাদ দেয়ার দাবি জানাই।

জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ বঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করি না। ওই এলাকায় আমরা সামান্য কিছু ত্রাণ দিয়েছে। তারপরও যারা পায়নি, তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেব। এ প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তারা ১৫ মিনিটের মধ্যেই সড়কে থেকে চলে যান। প্রতিবার প্রতি ওয়ার্ডে ৫০/৬০ পরিবারে জন্য ত্রাণ আসে। কিন্তু চাহিদা থাকে অনেক। তাই সবার চাহিদা মেটাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব মেম্বরদের দেয়া আছে। ত্রাণ পাওয়ার উপযুক্তদেরই ত্রাণ দিতে মেম্বরদের নির্দেশ দিয়েছি।

জলিরপাড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর সুভাষ বৈদ্য বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে ত্রাণ বিতরণের কোন দায়িত্ব দেননি। তিনি তার লোকজন দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর, জানায়

ত্রাণের দাবিতে দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুরে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ মানুষ। এ সময় সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ত্রাণ দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্থ করলে অবরোধের অবসান ঘটে।

গতকাল দুপুর ১টার দিকে ওই এলাকার আদিবাসীসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। যাদের অধিকাংশই আদিবাসী এবং কৃষি শ্রমিক।

এসব বিক্ষোভকারীদের দাবি এই এলাকায় সরকারের কোন ত্রাণ আসেনি। কোন প্রকার সাহায্য-সহায়তা এ পর্যন্ত তারা পায়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কোন খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। তাদের ঘরে খাবার নেই।

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮ বৈশাখ ১৪২৭, ২৬ শাবান ১৪৪১

রংপুর গোপালগঞ্জ দিনাজপুরে ত্রাণের জন্য সড়ক অবরোধ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর নগরীর চারতলা মোড় ট্রাক স্ট্যান্ডসহ নগরীর ৪টি স্থানে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকার নারী পুরুষ। সড়ক অবরোধের কারণে জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহনসহ সব যান চলাচল বন্ধ ছিল।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে নগরীর নজিরেরহাট ও পীরগাছার কদমতলি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শত নারী পুরুষ। তাদের অভিযোগ করোনাভাইরাসের কারণে তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মহীন অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে মানবেতরভাবে দিন কাটালেও সরকারি বেসরকারি কোন সাহায্য তার দেয়া হয়নি। বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব কোতয়ালী থানার ওসি আবদুর রশিদ নজিরের হাটে গিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করার আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভকারীরা চলে যায়। একইভাবে পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম ঘটনা স্থলে গিয়ে খাদ্য দেবার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা চলে যায়।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় একই সময়ে রংপুর নগরীর পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ড ও চারতলা মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শত শত নারী পুরুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কয়েকদফা জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিয়েও এক মাসেও কোন খাদ্য দেয়নি। তাদের দাবি সরকার বিপুল পরিমাণ খাদ্য বরাদ্দ দিচ্ছে তাহলে এসব যাচ্ছে কোথায়? তারা জানায় খাবারের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ৩/৪ দিন ধরে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের আকুতি আমরা কি না খেয়ে মারা যাব?

খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনা স্থলে এসে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। কোতয়ালী থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান নগরীর ৩টি স্থানে খাদ্যের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকার কর্মহীন মানুষ। প্রশাসন তাদের খাদ্য প্রদানের আশ্বাস দেয়ায় তারা চলে গেছে। একই কথা জানান পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম। তিনি জানান, অবরোধ কারীদের আজকের মধ্যেই তালিকা করে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়ায় তারা ফিরে গেছে।

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ জানায়

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি ত্রাণ বঞ্চিত ২শ’ মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়া বাসট্যাণ্ডে এ কর্মসূচি পালিত হয়। খবর পেয়ে জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী, সাবেক চেয়ারম্যান মিহির রায়, জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার ও জলিরপাড় ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর সুভাষ বৈদ্য গিয়ে ত্রাণ বঞ্চিতদের ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

ত্রাণ বঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণজলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, আমাদের এলাকার ২শ’ পরিবার খুবই গরিব। তারা ভ্যান চালিয়েও দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ নেই। হাতে টাকা পয়সাও নেই। পরিবারের সদস্য নিয়ে কোন রকমে একবেলা-আধবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।

ত্রাণবঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী শেখ, বাদল দাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেছে। তিনি তার দরিদ্র ও সচ্ছল সমর্থকদের ত্রাণ দিয়েছেন। তার সমর্থকরা সরকারি ত্রাণ, এমপির ব্যক্তিগত ত্রাণ, আওয়ামী লীগের ত্রাণসহ ৩/৪ বার ত্রাণ পেয়েছেন। কিন্তু আমরা একবারও ত্রাণ পাইনি। ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অবশেষে বাধ্য হয়েই পথে নেমেছি।

ত্রাণ বঞ্চিত জলিপাড় ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, সরকার সব উপজেলার প্রকৃত গরিব মানুষের তালিকা করেছে। এ তালিকা অনুযায়ী সরকার ত্রাণ পাঠায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা এটি নয়ছয় করে। তাই আমাদের হাতে ত্রাণ পৌঁছায় না। এ কারণে ওএমএসএর চাল বিক্রি, ত্রাণ ও ১০ টাকা দরের চাল বিতরণ, রেশনকার্ডসহ সরকারি সব সুবিধা প্রশাসনের মাধ্যমে আমাদের দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের বাদ দেয়ার দাবি জানাই।

জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ বঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করি না। ওই এলাকায় আমরা সামান্য কিছু ত্রাণ দিয়েছে। তারপরও যারা পায়নি, তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেব। এ প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর তারা ১৫ মিনিটের মধ্যেই সড়কে থেকে চলে যান। প্রতিবার প্রতি ওয়ার্ডে ৫০/৬০ পরিবারে জন্য ত্রাণ আসে। কিন্তু চাহিদা থাকে অনেক। তাই সবার চাহিদা মেটাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব মেম্বরদের দেয়া আছে। ত্রাণ পাওয়ার উপযুক্তদেরই ত্রাণ দিতে মেম্বরদের নির্দেশ দিয়েছি।

জলিরপাড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর সুভাষ বৈদ্য বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে ত্রাণ বিতরণের কোন দায়িত্ব দেননি। তিনি তার লোকজন দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর, জানায়

ত্রাণের দাবিতে দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুরে দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ মানুষ। এ সময় সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ত্রাণ দেয়ার বিষয়ে আশ্বস্থ করলে অবরোধের অবসান ঘটে।

গতকাল দুপুর ১টার দিকে ওই এলাকার আদিবাসীসহ কয়েকশ নারী-পুরুষ মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। যাদের অধিকাংশই আদিবাসী এবং কৃষি শ্রমিক।

এসব বিক্ষোভকারীদের দাবি এই এলাকায় সরকারের কোন ত্রাণ আসেনি। কোন প্রকার সাহায্য-সহায়তা এ পর্যন্ত তারা পায়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কোন খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। তাদের ঘরে খাবার নেই।