ট্রেনটি ছিল ‘স্যালারি স্পেশাল’ যাত্রী ট্রেন নয়

তদন্ত কমিটি গঠন

করোনাভাইসের কারণে সারাদেশে যাত্রীবাহী রেল যোগযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন স্টেশনে রেল কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন প্রদানের জন্য ‘স্যালারি স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনা করা হয়। গত শনিবার রেলওয়ে একটি ‘স্যালারি স্পেশাল’ ট্রেন সিলেটে যায়। কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করার জন্য কিছু সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট যায়। এই ট্রেনের কোন যাত্রী ছিল না বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়। তবে বিষয়টি তদন্তের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংস্থাটির সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, সিলেটে যাওয়া ট্রেনে কোন যাত্রী ছিল না। যেহেতু বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে তদন্ত করার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশনকে বলা হয়েছে। এটা রেলের নিয়মিত কার্যক্রম, ট্রেনে করে রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করা হচ্ছিল। ট্রেনে থাকা টাকার নিরাপত্তা দিতে কিছু নিরাপত্তাকর্মী নেয়া হয়। ওখানে সাধারণ যাত্রী ছিল না। তবুও আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, ইতোমধ্যে সিলেট স্টেশনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনিয়ম কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই গত ১৮ এপ্রিল শনিবার ঢাকা থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রেন সিলেটে যাওয়ার অভিযোগে গত রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়টি বিষয়টি সত্য নহে উল্লেখ করে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে ট্রেনে বিভিন্ন স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, পেনশসহ টাকা নিয়ে ২৩ জন সিলেট গিয়েছেন। এছাড়া পথে ভোলাগঞ্জে রেলের পাথর পাহাড়া দেয়ার জন্য ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী উঠেছে। আর স্টেশনে বেতনের অপেক্ষায় ছিল বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা স্টেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ করা সম্ভব হবে। আর ঢাকা থেকে যাওযা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরমধ্যে কেউ সিলেটে থাকেনি। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত ও পেশনভোগীদের বেতন-ভাতার টাকা নিয়ে চাঁদপুর যাওয়ার পরে প্রচার করা হয়, কর্মকর্তাদের জন্য ইলিশ মাছ কেনার জন্য ট্রেনটি পাঠানো হয়েছে। ট্রেন কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যায় না। তবে যারা ওই ট্রেনে কর্মরত ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন চাঁদপুর থেকে ইলিশ মাছ কিনেছেন। তবে করোনাভাইরাসের এ সময় তাদের ওখান থেকে মাছ কেনা ঠিক হয়নি। এর মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী থেকে ৯, ১০, ১৩, ১৫,১৭,১৮ এপ্রিল একটি কোচ ও ইঞ্জিন কার নিয়ে ট্রেনগুলো গিয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই সিস্টেমে চলছে। তবে গণমাধ্যমে ট্রেনের ছবি দেয়া হয়েছে ১২/১৩ বগির। পূর্ব ও পশ্চিম এ দুটি জোন থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ, জমালপুর, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী খুলনা ও পার্বতীপুর একটি ট্রেন যায়। তবে এসব ট্রেনে কোন যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৮ বৈশাখ ১৪২৭, ২৬ শাবান ১৪৪১

সিলেটে যাওয়া

ট্রেনটি ছিল ‘স্যালারি স্পেশাল’ যাত্রী ট্রেন নয়

তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইসের কারণে সারাদেশে যাত্রীবাহী রেল যোগযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন স্টেশনে রেল কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন প্রদানের জন্য ‘স্যালারি স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনা করা হয়। গত শনিবার রেলওয়ে একটি ‘স্যালারি স্পেশাল’ ট্রেন সিলেটে যায়। কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করার জন্য কিছু সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে ট্রেনটি সিলেট যায়। এই ট্রেনের কোন যাত্রী ছিল না বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়। তবে বিষয়টি তদন্তের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংস্থাটির সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, সিলেটে যাওয়া ট্রেনে কোন যাত্রী ছিল না। যেহেতু বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে তদন্ত করার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশনকে বলা হয়েছে। এটা রেলের নিয়মিত কার্যক্রম, ট্রেনে করে রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও স্টাফদের বেতন বহন করা হচ্ছিল। ট্রেনে থাকা টাকার নিরাপত্তা দিতে কিছু নিরাপত্তাকর্মী নেয়া হয়। ওখানে সাধারণ যাত্রী ছিল না। তবুও আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, ইতোমধ্যে সিলেট স্টেশনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনিয়ম কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই গত ১৮ এপ্রিল শনিবার ঢাকা থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রেন সিলেটে যাওয়ার অভিযোগে গত রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়টি বিষয়টি সত্য নহে উল্লেখ করে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে ট্রেনে বিভিন্ন স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, পেনশসহ টাকা নিয়ে ২৩ জন সিলেট গিয়েছেন। এছাড়া পথে ভোলাগঞ্জে রেলের পাথর পাহাড়া দেয়ার জন্য ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী উঠেছে। আর স্টেশনে বেতনের অপেক্ষায় ছিল বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। যা স্টেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ করা সম্ভব হবে। আর ঢাকা থেকে যাওযা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরমধ্যে কেউ সিলেটে থাকেনি। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন স্টেশনে কর্মরত ও পেশনভোগীদের বেতন-ভাতার টাকা নিয়ে চাঁদপুর যাওয়ার পরে প্রচার করা হয়, কর্মকর্তাদের জন্য ইলিশ মাছ কেনার জন্য ট্রেনটি পাঠানো হয়েছে। ট্রেন কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যায় না। তবে যারা ওই ট্রেনে কর্মরত ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন চাঁদপুর থেকে ইলিশ মাছ কিনেছেন। তবে করোনাভাইরাসের এ সময় তাদের ওখান থেকে মাছ কেনা ঠিক হয়নি। এর মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী থেকে ৯, ১০, ১৩, ১৫,১৭,১৮ এপ্রিল একটি কোচ ও ইঞ্জিন কার নিয়ে ট্রেনগুলো গিয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই সিস্টেমে চলছে। তবে গণমাধ্যমে ট্রেনের ছবি দেয়া হয়েছে ১২/১৩ বগির। পূর্ব ও পশ্চিম এ দুটি জোন থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ, জমালপুর, চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী খুলনা ও পার্বতীপুর একটি ট্রেন যায়। তবে এসব ট্রেনে কোন যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ নেই।