১০ জেলায় করোনা শনাক্ত ৯৯

কিশোরগঞ্জে ১২২ নমুনায় শনাক্ত ৬৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি মেডিসিন এ- রেফারেল সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো ১২৫টি নমুনার মধ্যে ১২২টির ফলাফলে ৬৭ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। এখন নমুনার সংখ্যা বেশি যাচ্ছে বলে ল্যাব থেকে অনেক সময় একদিনে সবগুলো পরীক্ষার ফল পাঠাতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাঠানো ১২৫টি নমুনার মধ্যে গত রোববার রাতে ৪০টি নমুনার মধ্যে ২৩ জনের, আর সোমবার বিকালে ৮২টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য স্টাফ। সোমবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদের মধ্যে দু’জন উপসর্গ নিয়ে মারা যাবার পর নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জে ৪ ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সবাই বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার এক কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক প্রকারের ভীতি কাজ করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসসুম, আবদুল মতিন খান, ফারজানা আক্তার, কামরুল হাসান মারুফ। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তিনিও আইসোলেশনে আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ও ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। সকলেই মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

হবিগঞ্জে চিকিৎসক-নার্সসহ ১০

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে একদিনে চিকিৎসক-নার্সসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এই ১০ জনের রিপোর্ট আসে। আক্রান্তরা সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তারা জেলার ৫ উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হল ১১ জন। আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন-তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ১৭.১৮ ও ১৯ এপ্রিল সিলেটে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার রাত ১০টার পর তাদের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০ জনের করোনা পজিটিভ। এদের মধ্যে লাখাই উপজেলার তিনজন, বানিয়াচংয়ের তিনজন, বাহুবলের একজন, আজমিরীগঞ্জের দুইজন ও চুনারুঘাট উপজেলার একজন রয়েছেন। তারা সবাই নিজেদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে তারা সবাই স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছেন। তারা কে কোথা থেকে এসেছেন তা যাচাই করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্ত ১০ জনের মাঝে আটজন পুরুষ এবং দুইজন নারী। তাদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন।

দোহারে প্রথম ১, নবাবগঞ্জে ২

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার দোহার উপজেলায় এই প্রথম এক ব্যক্তি (৪২) এর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। এতে করে ঐ এলাকার অন্তত ২৫টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে দোহার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, সোমবার করোনা উপসর্গ থাকা দোহারের কয়েকজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। এর মধ্যে আইইডিসিআর থেকে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে পাঠানো মেইলে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভের বিষয়টি জানানো হয়। এদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আটজনে। মঙ্গলবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে তারা ওই দুইব্যক্তির শরীরে সংক্রমনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তারা দুজনেই উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই নিয়ে ঐ ইউনিয়নে পাঁচজন আক্রান্ত হলো।

বরগুনায় নতুন ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনায়

করোনাভাইরাসে বরগুনায় আরও দুজন নতুন আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্ত ওই দুজনের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে ঢাকা থেকে বরগুনায় আসা এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে অ্যাম্বুলেন্সে তিনি সঙ্গে এনেছেন তার স্ত্রী ও এক সন্তানকেও।

আক্রান্ত অপর ব্যক্তি বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে বরগুনায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন দুজন। আক্রান্তদের মধ্যে বামনা উপজেলায় তিনজন, বেতাগী উপজেলায় একজন, আমতলী উপজেলায় দুজন এবং সদর উপজেলায় ছয়জন। তারা সবাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সদ্য বরগুনায় আসেন। গত ৭ এপ্রিল সকালে ঢাকার সাভার থেকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিকেলে বরগুনা পৌঁছান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক পোশাক শ্রমিক। বর্তমানে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি। ঢাকা ফেরত আক্রান্ত অপর নতুন ব্যক্তির প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে আক্রন্ত ব্যক্তি স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে যান। গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে বরগুনার বাসায় আসেন। স্থানীয়দের কাছে তাদের বরগুনায় আসার খবর জানতে পেরে পুলিশ এসে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন পালনের নির্দেশ দেয়।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বৃদ্ধ

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রজব আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। বিষয়টি সিভিল সার্জন জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন। রজব আলীই জেলায় প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হলেন। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় বেলকুচির দৌলতপুর ইউপির ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন গত রোববার রাতে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর ওই বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ রজব আলীর শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ। অন্য সবগুলো রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

সোনারগাঁয়ে নারী পুলিশসহ ৮

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে থানার এক মহিলা পুলিশ সদস্যসহ পৃথকস্থানে ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্থানে ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বৈদ্যেরবাজার এলাকার আবু বকর (১৪) নামের এক মাদরাসা ছাত্র। পর্যায়ক্রমে টিপরদী এলাকার মেঘনা ইকোনোমিক জোনের রাসেল (১৮) নামের এক শ্রমিক, কাঁচপুর বেহাকৈর এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৭), শম্ভুপুরা চেলারচর গ্রামের আসাদ মিয়া (৫৫), বৈদ্যেরবাজার এলাকার ইমান আলী (৩৮), মোগরাপাড়া গোহাট্টার ভাড়াটিয়া আ: রহিম (৪৫), কাঁচপুরে আজিজ (৫৫) ও সোনারগাঁ থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশ সদস্য প্রিয়া রানী (২৭)। থানা সূত্র জানায়, প্রিয়া রানী ডিউটি করাকালীন অসুস্থ্য বোধ করলে গত সপ্তাহে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে পরিক্ষা করালে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি এখন নারায়ণগঞ্জে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

নোয়াখালীতে আরও এক

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার সদরের চরমটুয়ায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত আরো এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ধরা হয়েছে এর মধ্যে দুজন মারা গেছে, বাকি ৩ জনকে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় খাদ্য বিতরণে নয় ছয় চলছেই। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মমিনুর রহমান জানান জেলায় এ পর্যন্ত ৫ ব্যাক্তি করো আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে সোনাইমুড়ির ইটালি প্রবাসী যুবক ও সেনবাগের রাজমিস্ত্রি মারা গেছে। বাকি আক্রান্ত ৩ জনককে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সম্পূর্ণ আইসোলেটেড রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবং তাদের বাড়ির লোকজনদের লকডাউনে রাখা হচ্ছে। তিনি আরো জানান জেলায় বর্তমানে ১১ জন আসোলেসানে এবং ৯৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

চাঁপাইয়ে প্রথম করোনা রোগী

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হলেও জনসমাগম কমছেনা, বাড়ছেনা জনসচেতনতা। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থেকে কঠোরতর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, রাস্তায় অযথা চলাচল এবং বাজারে জনসমাগম কমাতে একদিকে চলছে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা, অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এদিকে গত ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমোহনপুরের এক ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যাওয়ায় প্রশাসন তার আশপাশের ১০ টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। এলাকার মানুষকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে সাবধানে চলাচলের জন্য এবং এলাকায় বাইরের মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হন।

ফরিদপুরে আরও এক

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে করোনা সনাক্তের প্রথম দিনে একজনের রেজাল্ট পজেটিভ হয়েছে। এই ল্যাবে প্রথম দিন পরীক্ষা হয়েছে ৫৭টি নমুনা। এ পর্যন্ত জেলায় তিনটি উপজেলাতে পাঁচজন রোগীর করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী অন্য চারজন পুরুষ। উপজেলাগুলো হলো, নগরকান্দায় তিন, বোয়ালমারী এক এবং চরভদ্রাসনে একজন। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় পাঁচজন করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ এসেছে। তিনি বলেন, ফমেকের প্রথম দিন ৫৭টি নমূনা পরীক্ষা করা হয়, এর মধ্যে চরভদ্রাসন উপজেলার প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা, উপজেলার সদর ইউপির বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মাহমুদুর হাসানের স্ত্রী মোমেনা জান্নাত (২২) করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। আমরা ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িকে লকডাউন করেছি।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

১০ জেলায় করোনা শনাক্ত ৯৯

কিশোরগঞ্জে ১২২ নমুনায় শনাক্ত ৬৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জ থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরি মেডিসিন এ- রেফারেল সেন্টারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো ১২৫টি নমুনার মধ্যে ১২২টির ফলাফলে ৬৭ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। এখন নমুনার সংখ্যা বেশি যাচ্ছে বলে ল্যাব থেকে অনেক সময় একদিনে সবগুলো পরীক্ষার ফল পাঠাতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাঠানো ১২৫টি নমুনার মধ্যে গত রোববার রাতে ৪০টি নমুনার মধ্যে ২৩ জনের, আর সোমবার বিকালে ৮২টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগই ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য স্টাফ। সোমবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদের মধ্যে দু’জন উপসর্গ নিয়ে মারা যাবার পর নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জে ৪ ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সবাই বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এদিকে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার এক কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক প্রকারের ভীতি কাজ করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া তাবাসসুম, আবদুল মতিন খান, ফারজানা আক্তার, কামরুল হাসান মারুফ। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তিনিও আইসোলেশনে আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট ও ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। সকলেই মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

হবিগঞ্জে চিকিৎসক-নার্সসহ ১০

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে একদিনে চিকিৎসক-নার্সসহ ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এই ১০ জনের রিপোর্ট আসে। আক্রান্তরা সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তারা জেলার ৫ উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হল ১১ জন। আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন-তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ১৭.১৮ ও ১৯ এপ্রিল সিলেটে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার রাত ১০টার পর তাদের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০ জনের করোনা পজিটিভ। এদের মধ্যে লাখাই উপজেলার তিনজন, বানিয়াচংয়ের তিনজন, বাহুবলের একজন, আজমিরীগঞ্জের দুইজন ও চুনারুঘাট উপজেলার একজন রয়েছেন। তারা সবাই নিজেদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে তারা সবাই স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছেন। তারা কে কোথা থেকে এসেছেন তা যাচাই করা হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্ত ১০ জনের মাঝে আটজন পুরুষ এবং দুইজন নারী। তাদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন।

দোহারে প্রথম ১, নবাবগঞ্জে ২

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার দোহার উপজেলায় এই প্রথম এক ব্যক্তি (৪২) এর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। এতে করে ঐ এলাকার অন্তত ২৫টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে দোহার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, সোমবার করোনা উপসর্গ থাকা দোহারের কয়েকজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। এর মধ্যে আইইডিসিআর থেকে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে পাঠানো মেইলে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা পজেটিভের বিষয়টি জানানো হয়। এদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আটজনে। মঙ্গলবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে তারা ওই দুইব্যক্তির শরীরে সংক্রমনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তারা দুজনেই উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই নিয়ে ঐ ইউনিয়নে পাঁচজন আক্রান্ত হলো।

বরগুনায় নতুন ২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনায়

করোনাভাইরাসে বরগুনায় আরও দুজন নতুন আক্রান্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্ত ওই দুজনের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে ঢাকা থেকে বরগুনায় আসা এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে অ্যাম্বুলেন্সে তিনি সঙ্গে এনেছেন তার স্ত্রী ও এক সন্তানকেও।

আক্রান্ত অপর ব্যক্তি বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে বরগুনায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন দুজন। আক্রান্তদের মধ্যে বামনা উপজেলায় তিনজন, বেতাগী উপজেলায় একজন, আমতলী উপজেলায় দুজন এবং সদর উপজেলায় ছয়জন। তারা সবাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সদ্য বরগুনায় আসেন। গত ৭ এপ্রিল সকালে ঢাকার সাভার থেকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিকেলে বরগুনা পৌঁছান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক পোশাক শ্রমিক। বর্তমানে তিনি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি। ঢাকা ফেরত আক্রান্ত অপর নতুন ব্যক্তির প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে আক্রন্ত ব্যক্তি স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে যান। গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে বরগুনার বাসায় আসেন। স্থানীয়দের কাছে তাদের বরগুনায় আসার খবর জানতে পেরে পুলিশ এসে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন পালনের নির্দেশ দেয়।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বৃদ্ধ

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রজব আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। বিষয়টি সিভিল সার্জন জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন। রজব আলীই জেলায় প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হলেন। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় বেলকুচির দৌলতপুর ইউপির ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন গত রোববার রাতে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর ওই বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ রজব আলীর শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ। অন্য সবগুলো রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

সোনারগাঁয়ে নারী পুলিশসহ ৮

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে থানার এক মহিলা পুলিশ সদস্যসহ পৃথকস্থানে ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্থানে ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বৈদ্যেরবাজার এলাকার আবু বকর (১৪) নামের এক মাদরাসা ছাত্র। পর্যায়ক্রমে টিপরদী এলাকার মেঘনা ইকোনোমিক জোনের রাসেল (১৮) নামের এক শ্রমিক, কাঁচপুর বেহাকৈর এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৭), শম্ভুপুরা চেলারচর গ্রামের আসাদ মিয়া (৫৫), বৈদ্যেরবাজার এলাকার ইমান আলী (৩৮), মোগরাপাড়া গোহাট্টার ভাড়াটিয়া আ: রহিম (৪৫), কাঁচপুরে আজিজ (৫৫) ও সোনারগাঁ থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশ সদস্য প্রিয়া রানী (২৭)। থানা সূত্র জানায়, প্রিয়া রানী ডিউটি করাকালীন অসুস্থ্য বোধ করলে গত সপ্তাহে তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে পরিক্ষা করালে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি এখন নারায়ণগঞ্জে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

নোয়াখালীতে আরও এক

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার সদরের চরমটুয়ায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত আরো এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ধরা হয়েছে এর মধ্যে দুজন মারা গেছে, বাকি ৩ জনকে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেলায় খাদ্য বিতরণে নয় ছয় চলছেই। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মমিনুর রহমান জানান জেলায় এ পর্যন্ত ৫ ব্যাক্তি করো আক্রান্ত হয়েছে, এর মধ্যে সোনাইমুড়ির ইটালি প্রবাসী যুবক ও সেনবাগের রাজমিস্ত্রি মারা গেছে। বাকি আক্রান্ত ৩ জনককে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সম্পূর্ণ আইসোলেটেড রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবং তাদের বাড়ির লোকজনদের লকডাউনে রাখা হচ্ছে। তিনি আরো জানান জেলায় বর্তমানে ১১ জন আসোলেসানে এবং ৯৫৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

চাঁপাইয়ে প্রথম করোনা রোগী

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হলেও জনসমাগম কমছেনা, বাড়ছেনা জনসচেতনতা। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থেকে কঠোরতর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, রাস্তায় অযথা চলাচল এবং বাজারে জনসমাগম কমাতে একদিকে চলছে জেলা প্রশাসনের তৎপরতা, অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহলও জোরদার করা হয়েছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এদিকে গত ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমোহনপুরের এক ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যাওয়ায় প্রশাসন তার আশপাশের ১০ টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। এলাকার মানুষকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে সাবধানে চলাচলের জন্য এবং এলাকায় বাইরের মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হন।

ফরিদপুরে আরও এক

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে করোনা সনাক্তের প্রথম দিনে একজনের রেজাল্ট পজেটিভ হয়েছে। এই ল্যাবে প্রথম দিন পরীক্ষা হয়েছে ৫৭টি নমুনা। এ পর্যন্ত জেলায় তিনটি উপজেলাতে পাঁচজন রোগীর করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী অন্য চারজন পুরুষ। উপজেলাগুলো হলো, নগরকান্দায় তিন, বোয়ালমারী এক এবং চরভদ্রাসনে একজন। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় পাঁচজন করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ এসেছে। তিনি বলেন, ফমেকের প্রথম দিন ৫৭টি নমূনা পরীক্ষা করা হয়, এর মধ্যে চরভদ্রাসন উপজেলার প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো। চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা, উপজেলার সদর ইউপির বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মাহমুদুর হাসানের স্ত্রী মোমেনা জান্নাত (২২) করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। আমরা ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িকে লকডাউন করেছি।