চার মাসে আক্রান্ত ২৫ লাখ মৃত্যু ১ লাখ ৭১ হাজার সুস্থ সাড়ে ৬ লাখ বাংলাদেশে মৃত্যুহার বেশি
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস স্বল্প সময়ে (প্রায় চার মাসে) বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। কেড়ে নিয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার প্রাণ। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছে সাড়ে ৬ লাখের বেশি মানুষ। করোনা সংক্রমণের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর হার প্রায় ৭ শতাংশ (৬.৮৪%), সুস্থ হওয়ার হার ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে (কোভিড-১৯) আক্রান্তরা মারা যাওয়ার চেয়ে সুস্থই বেশি হচ্ছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার ওয়েবসাইট থেকে গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্তের হিসেবে সবার শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ)। এরপর দ্বিতীয় স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পর্যায়ক্রমে স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য (ইউকে/ব্রিটেন)। আক্রান্তের হিসাবে সপ্তম স্থানে আছে তুরস্ক। অষ্টম ইরান, নবম চীন এবং দশম স্থানে আছে রাশিয়া।
মৃত্যুর হারের দিক থেকে এই দশটি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এর পরে অবস্থান করছে যথাক্রমে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, ইরান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, তুরস্ক ও রাশিয়া।
সুস্থ হয়ে ওঠার হার হিসাবে এই দশটি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন। এরপর যথাক্রমে অবস্থান করছে ইরান, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যায় শীর্ষে ভারত। এরপর পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের অবস্থান।
দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। এরপর যথাক্রমে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের অবস্থান। মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।
সুস্থ হওয়ার হার হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ভুটান। এরপর পর্যায়ক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, নেপাল ও সবশেষে বাংলাদেশের অবস্থান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র :
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। ওয়ার্ল্ডওমিটারের গত শনিবারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজারের বেশি। মারা গেছে ৪২ হাজার ৫শ’ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। দেশটিতে ৪০ লাখের বেশি মানুষকে করোনা পরীক্ষা করেছে সরকার।
স্পেন : স্পেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার। মারা গেছে ২১ হাজারের বেশি, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮২ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশটির সরকার মোট ৯ লাখ ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করেছে।
ইতালি : ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার। মারা গেছে ২৪ হাজার, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৮ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। দেশটিতে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার মানুষকে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ফ্রান্স : ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। মৃত্যু ২০ হাজার, সুস্থ হয়েছে ৩৭ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশটিতে ৪ লাখ ৬৩ হাজার করোনা টেস্ট করা হয়েছে।
জার্মানি : জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ। মারা গেছে সাড়ে ৪ হাজার ৮শ’, সুস্থ হয়েছে ৯৫ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশটির সরকার ১৭ লাখ করোনা টেস্ট করেছে।
যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে (ব্রিটেন) ১ লাখ ২৪ হাজরের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৬ হাজার ৫শ’ এর বেশি। সুস্থতার বিষয়ে কোন তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৫ লাখের বেশি মানুষের।
তুরস্ক : তুরস্ক করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার, মৃত্যু ২ হাজার ১শ’। সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২৩ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার।
ইরান : ইরানে করোনায় আক্রান্ত ৮৩ হাজার, মৃত্যু ৫ হাজারের কিছু বেশি। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৯ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭১ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার।
চীন : করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎসস্থল চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৭৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জনের, সুস্থ হয়েছে ৭৭ হাজার ১২৩ জন মানুষ। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশটিতে কী পরিমাণ করোনা টেস্ট করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইটে নেই।
রাশিয়া : রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু ৪৫৬ জনের, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৮শ’ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ২১ লাখ ৪২ হাজার মানুষের।
ভারত : ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৫৮ জন। মারা গেছে ৫৯২ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ হাজার ২৭৩ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ৪ লাখ মানুষের।
পাকিস্তান : পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২১৬ জন। দেশটিতে মারা গেছে ১৯২ জন, সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৬৬ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার সাড়ে ২২ দশমিক ৪১ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার মানুষের।
বাংলাদেশ : বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন। মারা গেছে ১১০ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৭ জন। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার। মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
শ্রীলংকা : শ্রীলংকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৯ জন। মারা গেছে ৭ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১শ’ জন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৪শ’ জনের।
মালদ্বীপ : মালদ্বীপে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৬ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১শ’ জনের।
নেপাল : নেপালে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৫শ জনের।
ভুটান : ভুটানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৭শ’ জনের।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাস সংক্রমণের (কোভিড-১৯) কবলে পড়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশের মানুষ। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি প্রতিরোধে কোন প্রতিষেধক বা কোভিড-১৯ রোগ নিরাময়ে কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের ছোট-বড় অধিকাংশ দেশে চলছে ‘লকডাউন’।
বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১
চার মাসে আক্রান্ত ২৫ লাখ মৃত্যু ১ লাখ ৭১ হাজার সুস্থ সাড়ে ৬ লাখ বাংলাদেশে মৃত্যুহার বেশি
ফয়েজ আহমেদ তুষার |
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস স্বল্প সময়ে (প্রায় চার মাসে) বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। কেড়ে নিয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার প্রাণ। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছে সাড়ে ৬ লাখের বেশি মানুষ। করোনা সংক্রমণের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর হার প্রায় ৭ শতাংশ (৬.৮৪%), সুস্থ হওয়ার হার ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে (কোভিড-১৯) আক্রান্তরা মারা যাওয়ার চেয়ে সুস্থই বেশি হচ্ছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার ওয়েবসাইট থেকে গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্তের হিসেবে সবার শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএসএ)। এরপর দ্বিতীয় স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পর্যায়ক্রমে স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য (ইউকে/ব্রিটেন)। আক্রান্তের হিসাবে সপ্তম স্থানে আছে তুরস্ক। অষ্টম ইরান, নবম চীন এবং দশম স্থানে আছে রাশিয়া।
মৃত্যুর হারের দিক থেকে এই দশটি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এর পরে অবস্থান করছে যথাক্রমে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, ইরান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, তুরস্ক ও রাশিয়া।
সুস্থ হয়ে ওঠার হার হিসাবে এই দশটি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন। এরপর যথাক্রমে অবস্থান করছে ইরান, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যায় শীর্ষে ভারত। এরপর পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের অবস্থান।
দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। এরপর যথাক্রমে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের অবস্থান। মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।
সুস্থ হওয়ার হার হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ভুটান। এরপর পর্যায়ক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, নেপাল ও সবশেষে বাংলাদেশের অবস্থান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র :
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। ওয়ার্ল্ডওমিটারের গত শনিবারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজারের বেশি। মারা গেছে ৪২ হাজার ৫শ’ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। দেশটিতে ৪০ লাখের বেশি মানুষকে করোনা পরীক্ষা করেছে সরকার।
স্পেন : স্পেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার। মারা গেছে ২১ হাজারের বেশি, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮২ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশটির সরকার মোট ৯ লাখ ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করেছে।
ইতালি : ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার। মারা গেছে ২৪ হাজার, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪৮ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। দেশটিতে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার মানুষকে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ফ্রান্স : ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। মৃত্যু ২০ হাজার, সুস্থ হয়েছে ৩৭ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশটিতে ৪ লাখ ৬৩ হাজার করোনা টেস্ট করা হয়েছে।
জার্মানি : জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ। মারা গেছে সাড়ে ৪ হাজার ৮শ’, সুস্থ হয়েছে ৯৫ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। দেশটির সরকার ১৭ লাখ করোনা টেস্ট করেছে।
যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে (ব্রিটেন) ১ লাখ ২৪ হাজরের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৬ হাজার ৫শ’ এর বেশি। সুস্থতার বিষয়ে কোন তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। দেশটিতে মৃত্যুর হার ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৫ লাখের বেশি মানুষের।
তুরস্ক : তুরস্ক করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার, মৃত্যু ২ হাজার ১শ’। সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২৩ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার।
ইরান : ইরানে করোনায় আক্রান্ত ৮৩ হাজার, মৃত্যু ৫ হাজারের কিছু বেশি। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৯ হাজার। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ০২ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭১ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশটিতে করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার।
চীন : করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎসস্থল চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৭৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জনের, সুস্থ হয়েছে ৭৭ হাজার ১২৩ জন মানুষ। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশটিতে কী পরিমাণ করোনা টেস্ট করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্য ওয়ার্ল্ডওমিটারের ওয়েবসাইটে নেই।
রাশিয়া : রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু ৪৫৬ জনের, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৮শ’ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ২১ লাখ ৪২ হাজার মানুষের।
ভারত : ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৫৮ জন। মারা গেছে ৫৯২ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ হাজার ২৭৩ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ৪ লাখ মানুষের।
পাকিস্তান : পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ২১৬ জন। দেশটিতে মারা গেছে ১৯২ জন, সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৬৬ জন। দেশটিতে মৃত্যুর হার ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার সাড়ে ২২ দশমিক ৪১ শতাংশ। করোনা টেস্ট হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার মানুষের।
বাংলাদেশ : বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮২ জন। মারা গেছে ১১০ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৭ জন। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার। মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
শ্রীলংকা : শ্রীলংকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৯ জন। মারা গেছে ৭ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১শ’ জন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৪শ’ জনের।
মালদ্বীপ : মালদ্বীপে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৬ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ১শ’ জনের।
নেপাল : নেপালে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৫শ জনের।
ভুটান : ভুটানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জন। মৃত্যু নেই, সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ জন। মৃত্যুর হার শূন্য, সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৭শ’ জনের।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাস সংক্রমণের (কোভিড-১৯) কবলে পড়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশের মানুষ। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি প্রতিরোধে কোন প্রতিষেধক বা কোভিড-১৯ রোগ নিরাময়ে কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের ছোট-বড় অধিকাংশ দেশে চলছে ‘লকডাউন’।