করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর মিছিল

৪৫ দেশ ও অঞ্চলে এখনও কোন মৃত্যু হয়নি

প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপের সুফল

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশে্বর ২১২টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিশে্বর উন্নত দেশগুলো করোনার প্রাদুর্ভাবে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত। করোনা রোগে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারাবিশে্বর সাত লাখ ৯২ হাজার ৯৩৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ২৪৪ জন। করোনায় অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিতে বিশে্বর প্রতাপশালী দেশগুলোতে মৃত্যুর মিছিল চলতে থাকলেও অনুন্নত ও দারিদ্র্যকবলিত বিশে্বর ৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয়নি করোনায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যেসব দেশ ও অঞ্চল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছে সেখানে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারেনি। যারা উদাসীনতা দেখিয়েছে, গাফিলতি করেছে, দেরিতে লকডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং করোনাভাইরাসকে প্রথমে খুব একটা আমলে নেয়নি সেসব দেশ ও অঞ্চলেই করোনার বিস্তার বেশি হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছে মানুষ।’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও দেশটিতে কারোর মৃত্যু হয়নি। নেপালেও করোনায় আক্রান্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে; কিন্তু দেশটিতে কেউ মারা যায়নি। ভুটানেও গতকাল নাগাদ মাত্র ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। এই তিনটি দেশই করোনা প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নিজেদের দেশে বিদেশ ফেরত নাগরিকদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করে। এছাড়াও দেশগুলোতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই সব নাগরিককে ঘরে ঢোকাতে লকডাউন ও কারফিউ জারি করেন।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসেবে, ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র ‘রিইউনিয়ন’এ ৪০৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি। ভিয়েতনামেও ২৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; দেশটিতেও কারোর মৃত্যু হয়নি। ডেনমার্কের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল ‘ফেরো দ্বীপপুঞ্জ’ ১৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছে; যাদের ১৭৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখানে কারোর মৃত্যু হয়নি।

আফ্রিকা মহাদেশের ‘রুয়ান্ডা’য় ১৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি। দেশটির ৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। জিব্রাল্টারে ১৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও ১২০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। দেশটিতেও কেউ মারা য়াননি। কম্বোডিয়ায় ১২২ জন আক্রান্ত হলেও ইতোমধ্যে ১১০ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এই দেশেও কেউ মারা যাননি। আর মাদাগাসকারে ১২১ জন করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ৪১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। তবে কেউ মারা যাননি।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসেবে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ‘ইকুয়েটুরিয়্যাল গুয়েনা’য় ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যাননি। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ‘ফ্রেন্স পলিনেশিয়া’য় ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও ইতোমধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। দ্বীপগুলোতে কারোর মৃত্যু হয়নি করোনাভাইরাসে। উগান্ডায়ও ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; কিন্তু কারোর মৃত্যু হয়নি। গতকাল পর্যন্ত ৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ‘গুয়েনা বিসাও’এ ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের কেউ মারা যায়নি। চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ‘ম্যাকাও’ দ্বীপে ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; যাদের ২৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এই অঞ্চলেও কেউ মারা যায়নি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নে ৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হলেও কারোর মৃত্যু হয়নি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিট্রিয়া’য়ও ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে; কিন্তু কারোর মৃত্যু হয়নি। একই মহাদেশের ‘মুজাম্বিক’কেও ৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি।

পূর্ব এশিয়ার দেশ ‘মঙ্গোলিয়া’য় ৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। মধ্য আফ্রিকার দেশ চাঁদে ৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও কারোর মৃত্যু হয়নি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র ‘পূর্ব-তিমুর’এ ২৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের কেউই মারা যাননি। এই অঞ্চলের দেশ ‘লাওস’ও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। ‘ফিজি’তে ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে; কিন্তু মৃত্যু নেই কারোর।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রান্সের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল ‘নিউ ক্যালেডোনিয়া’য় ১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের ১৭ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া ডমিনিকা ও নামিবিয়ায় ১৬ জন করে, ক্যারিবিয়ার দ্বীপপুঞ্জ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও সেন্ট লুসিয়ায় ১৫ জন করে, গ্রেনাডায় ১৪ জন, ‘কার’ দ্বীপে ১২ জন, সেন্ট ভিনসেন্ট গ্রেনাডাইনসে ১২ জন, ব্রিটেনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল টার্কস অ্যান্ড কাইকসসে ১১ জন, ফকল্যান্ডস দ্বীপে ১১ জন, গ্রিনল্যান্ডেও ১১ জন, মন্টস্যারেটে ১১ জন, সিসিলি দ্বীপে ১১ জন, ভ্যাটিকান সিটিতে ৯ জন, মওরিতানিয়ায় সাতজন, পাপুয়ানিউগিনি’তে সাতজন, স্যান্ট বার্থতে ছয়জন, ওয়েস্টার্ন সাহারায় ছয়জন, ক্যারিবিয়ান ন্যাদারল্যান্ডসে পাঁচজন, সাও তুম অ্যান্ড প্রিন্সিপা’তে চারজন, দক্ষিণ সুদানে চারজন, এ্যাঙ্গুলায় তিনজন, সেন্ট পিয়েরা কিমুল্যান একজন এবং ইয়েমেনে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসব দেশেও করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

image
আরও খবর
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৯ নতুন শনাক্ত ৪৩৪
কোভিড-১৯ : চরম বিপর্যয় আসতে এখনও বাকি
দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সম্পাদকদের বিরুদ্ধে মামলা
৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে ত্রাণ ও খাদ্য পৌঁছে যাবে
‘বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে’
ইতিহাসে প্রথমবার জ্বালানি তেলের দাম শূন্যের নিচে
ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা দিতে হবে
অবৈধভাবে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও নকল সুরক্ষাসামগ্রী আমদানি
চাল চোরের ক্ষমা নেই কাদের
করোনায় ২০ ঘণ্টা অফিস করে চলেছেন তিনি
ব্যর্থতার দায় নিয়ে রোমানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
৩৬১ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর মিছিল

৪৫ দেশ ও অঞ্চলে এখনও কোন মৃত্যু হয়নি

প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপের সুফল

রাকিব উদ্দিন

image

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশে্বর ২১২টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিশে্বর উন্নত দেশগুলো করোনার প্রাদুর্ভাবে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত। করোনা রোগে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারাবিশে্বর সাত লাখ ৯২ হাজার ৯৩৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ২৪৪ জন। করোনায় অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিতে বিশে্বর প্রতাপশালী দেশগুলোতে মৃত্যুর মিছিল চলতে থাকলেও অনুন্নত ও দারিদ্র্যকবলিত বিশে্বর ৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয়নি করোনায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘যেসব দেশ ও অঞ্চল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছে সেখানে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারেনি। যারা উদাসীনতা দেখিয়েছে, গাফিলতি করেছে, দেরিতে লকডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং করোনাভাইরাসকে প্রথমে খুব একটা আমলে নেয়নি সেসব দেশ ও অঞ্চলেই করোনার বিস্তার বেশি হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছে মানুষ।’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপে গতকাল পর্যন্ত ৮২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও দেশটিতে কারোর মৃত্যু হয়নি। নেপালেও করোনায় আক্রান্ত ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে; কিন্তু দেশটিতে কেউ মারা যায়নি। ভুটানেও গতকাল নাগাদ মাত্র ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। এই তিনটি দেশই করোনা প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নিজেদের দেশে বিদেশ ফেরত নাগরিকদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করে। এছাড়াও দেশগুলোতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই সব নাগরিককে ঘরে ঢোকাতে লকডাউন ও কারফিউ জারি করেন।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসেবে, ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র ‘রিইউনিয়ন’এ ৪০৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি। ভিয়েতনামেও ২৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; দেশটিতেও কারোর মৃত্যু হয়নি। ডেনমার্কের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল ‘ফেরো দ্বীপপুঞ্জ’ ১৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছে; যাদের ১৭৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখানে কারোর মৃত্যু হয়নি।

আফ্রিকা মহাদেশের ‘রুয়ান্ডা’য় ১৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি। দেশটির ৮০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। জিব্রাল্টারে ১৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও ১২০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। দেশটিতেও কেউ মারা য়াননি। কম্বোডিয়ায় ১২২ জন আক্রান্ত হলেও ইতোমধ্যে ১১০ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এই দেশেও কেউ মারা যাননি। আর মাদাগাসকারে ১২১ জন করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে ৪১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। তবে কেউ মারা যাননি।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসেবে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ‘ইকুয়েটুরিয়্যাল গুয়েনা’য় ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যাননি। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ‘ফ্রেন্স পলিনেশিয়া’য় ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও ইতোমধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। দ্বীপগুলোতে কারোর মৃত্যু হয়নি করোনাভাইরাসে। উগান্ডায়ও ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; কিন্তু কারোর মৃত্যু হয়নি। গতকাল পর্যন্ত ৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ‘গুয়েনা বিসাও’এ ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের কেউ মারা যায়নি। চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ‘ম্যাকাও’ দ্বীপে ৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে; যাদের ২৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এই অঞ্চলেও কেউ মারা যায়নি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়নে ৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হলেও কারোর মৃত্যু হয়নি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিট্রিয়া’য়ও ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে; কিন্তু কারোর মৃত্যু হয়নি। একই মহাদেশের ‘মুজাম্বিক’কেও ৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি।

পূর্ব এশিয়ার দেশ ‘মঙ্গোলিয়া’য় ৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। মধ্য আফ্রিকার দেশ চাঁদে ৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও কারোর মৃত্যু হয়নি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র ‘পূর্ব-তিমুর’এ ২৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের কেউই মারা যাননি। এই অঞ্চলের দেশ ‘লাওস’ও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। ‘ফিজি’তে ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে; কিন্তু মৃত্যু নেই কারোর।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রান্সের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল ‘নিউ ক্যালেডোনিয়া’য় ১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের ১৭ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া ডমিনিকা ও নামিবিয়ায় ১৬ জন করে, ক্যারিবিয়ার দ্বীপপুঞ্জ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও সেন্ট লুসিয়ায় ১৫ জন করে, গ্রেনাডায় ১৪ জন, ‘কার’ দ্বীপে ১২ জন, সেন্ট ভিনসেন্ট গ্রেনাডাইনসে ১২ জন, ব্রিটেনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল টার্কস অ্যান্ড কাইকসসে ১১ জন, ফকল্যান্ডস দ্বীপে ১১ জন, গ্রিনল্যান্ডেও ১১ জন, মন্টস্যারেটে ১১ জন, সিসিলি দ্বীপে ১১ জন, ভ্যাটিকান সিটিতে ৯ জন, মওরিতানিয়ায় সাতজন, পাপুয়ানিউগিনি’তে সাতজন, স্যান্ট বার্থতে ছয়জন, ওয়েস্টার্ন সাহারায় ছয়জন, ক্যারিবিয়ান ন্যাদারল্যান্ডসে পাঁচজন, সাও তুম অ্যান্ড প্রিন্সিপা’তে চারজন, দক্ষিণ সুদানে চারজন, এ্যাঙ্গুলায় তিনজন, সেন্ট পিয়েরা কিমুল্যান একজন এবং ইয়েমেনে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসব দেশেও করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।