৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে ত্রাণ ও খাদ্য পৌঁছে যাবে

করোনাভাইরাস মহামারীতে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে ত্রাণ ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সফটওয়ার তৈরির কাজ করছে ব্যবস্থাপনা ও করিগরি কমিটি। এছাড়া আগামী জুন পর্যন্ত কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণ করবে এই কমিটি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সরকার আট দফায় ৬৪ জেলার জন্য সরকার ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীতে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ে কতজনকে ত্রাণ দিতে হবে, সম্ভাব্য সেই উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কি পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করেছে সরকার। এছাড়া সারা দেশের উপকারীভোগীদের ডেটাবেইজ তৈরি এবং ৩৩৩ নম্বরে কল করে যে কেউ যাতে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা চাইতে পারেন সেজন্য সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে একটি ব্যবস্থাপনা এবং একটি কারিগরি কমিটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রওশন আরা বেগম এবং উপসচিব একেএম মারুফ হাসানকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ বাহার, ত্রাণ সচিবের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহজাহান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আবদুল কাদের সদস্য হিসেবে আছেন এই কমিটিতে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এসএম হুমায়ূন রশিদ তরুণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সারা দেশের উপকারভোগীর তালিকা এবং এপ্রিল থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত তাদের ত্রাণ দিতে কী পরিমাণ চাল লাগবে তা এই কমিটিকে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দুর্যোগের সময়ে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই-এর সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সফটওয়্যার তৈরি করতে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামালকে। সাত সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোহসীন, এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিম এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিকে উপকারভোগীদের ডেটাবেইজ ও সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরি কমিটিকে দিকনির্দেশনা দেয়া ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। নয় সদস্যের কারিগরি কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি ও উপকারভোগীর ডেটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু করতে কমিটিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে ত্রাণ ও খাদ্য পৌঁছে যাবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস মহামারীতে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলে ত্রাণ ও খাদ্য পৌঁছে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সফটওয়ার তৈরির কাজ করছে ব্যবস্থাপনা ও করিগরি কমিটি। এছাড়া আগামী জুন পর্যন্ত কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণ করবে এই কমিটি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সরকার আট দফায় ৬৪ জেলার জন্য সরকার ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীতে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ে কতজনকে ত্রাণ দিতে হবে, সম্ভাব্য সেই উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কি পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করেছে সরকার। এছাড়া সারা দেশের উপকারীভোগীদের ডেটাবেইজ তৈরি এবং ৩৩৩ নম্বরে কল করে যে কেউ যাতে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা চাইতে পারেন সেজন্য সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে একটি ব্যবস্থাপনা এবং একটি কারিগরি কমিটি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রওশন আরা বেগম এবং উপসচিব একেএম মারুফ হাসানকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ বাহার, ত্রাণ সচিবের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহজাহান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আবদুল কাদের সদস্য হিসেবে আছেন এই কমিটিতে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এসএম হুমায়ূন রশিদ তরুণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সারা দেশের উপকারভোগীর তালিকা এবং এপ্রিল থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত তাদের ত্রাণ দিতে কী পরিমাণ চাল লাগবে তা এই কমিটিকে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দুর্যোগের সময়ে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই-এর সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সফটওয়্যার তৈরি করতে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামালকে। সাত সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোহসীন, এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিম এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিকে উপকারভোগীদের ডেটাবেইজ ও সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরি কমিটিকে দিকনির্দেশনা দেয়া ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। নয় সদস্যের কারিগরি কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি ও উপকারভোগীর ডেটাবেইজ তৈরির কাজ শুরু করতে কমিটিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।