ইতিহাসে প্রথমবার জ্বালানি তেলের দাম শূন্যের নিচে

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শূন্যেরও নিচে নেমে এসেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭ দশমিক ৬৩ ডলার। এর মানে হলো, এখন তেল নিলে ক্রেতাকে উল্টো টাকা দিতেও রাজি উৎপাদকরা, কারণ চাহিদা না থাকায় এবং উৎপাদন অব্যাহত থাকায় মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

করোনার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন থাকায় অসংখ্য মানুষ এখন ঘরবন্দী, রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল একেবারেই কমে গেছে, শিল্পকারাখানাও অচল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা গত তিন মাস ধরে ক্রমাগত হারে কমছিল। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ না থাকায় বিক্রি না হওয়া কোটি কোটি ব্যারেল তেল গুদামজাত করার জায়গাও ফুরিয়ে আসছিল দ্রুত। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, মে মাসের আগেই গুদাম, শোধনাগার, টার্মিনাল, জাহাজ, পাইপলাইন- সবগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে। আর এই আতঙ্কই যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদিত তেলের দাম শূন্যের নিচে নিয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

ইতিহাসে প্রথমবার জ্বালানি তেলের দাম শূন্যের নিচে

সংবাদ ডেস্ক |

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শূন্যেরও নিচে নেমে এসেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭ দশমিক ৬৩ ডলার। এর মানে হলো, এখন তেল নিলে ক্রেতাকে উল্টো টাকা দিতেও রাজি উৎপাদকরা, কারণ চাহিদা না থাকায় এবং উৎপাদন অব্যাহত থাকায় মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

করোনার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন থাকায় অসংখ্য মানুষ এখন ঘরবন্দী, রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল একেবারেই কমে গেছে, শিল্পকারাখানাও অচল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা গত তিন মাস ধরে ক্রমাগত হারে কমছিল। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ না থাকায় বিক্রি না হওয়া কোটি কোটি ব্যারেল তেল গুদামজাত করার জায়গাও ফুরিয়ে আসছিল দ্রুত। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, মে মাসের আগেই গুদাম, শোধনাগার, টার্মিনাল, জাহাজ, পাইপলাইন- সবগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে। আর এই আতঙ্কই যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদিত তেলের দাম শূন্যের নিচে নিয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।