অবৈধভাবে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও নকল সুরক্ষাসামগ্রী আমদানি

গ্রেফতার ৫

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভাইরাস শনাক্তকরণে কিটসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে প্রতরণায় নেমেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এসব প্রতারক চক্র করোনা পরীক্ষা কিটসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী অবৈধভাবে আমদানি করে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। বেসরকারি পর্যায়ে কিট আমাদানি বা ব্যবহারে সরকারি অনুমোদন না থাকলেও সংঘবদ্ধ চক্র অনুমোদনহীন কিট বিভিন্নভাবে সরবরাহের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। রাজধানীর শহীদবাগ ও নিকুঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে আমাদানি করা করোনা পরীক্ষার কিট, নকল হ্যান্ড সানিটাইজার ও পিপিইসহ ৫ জনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। গ্রেফতার করা ওই ৫ জনের প্রত্যেককে ১ বছর ৯ মাসের জেল এবং মোট ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বাবু জানান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় প্রথমে শহীদবাগ এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে অনুমোদনহীন ৩শ’ কিট মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে কিট মজুদ করার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে ১ বছর ৯ মাসের জেল দেয়া হয় এবং প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। টাকা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, শহীদ ভাগের আটক ব্যক্তিদের তথ্যে নিকুঞ্জ এলাকায় আরও একটি চক্রের সন্ধান পেলে। ওই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাইবুর রহমান ও বোরহানউদ্দিন নামে দুই প্রকৌশলীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজতে ৯শ’ কিট এবং বিপুল পরিমাণ নকল স্যানিটাইজার ও পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ করা হয়। তাদের দু’জনকেও ১ বছর ৯ মাস জেল এবং প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তাইবুর রহমান ও বোরহান উদ্দিন খান পেশায় প্রকৌশলী। বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ফার্মে তারা প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করে। অথচ তারা কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে তারা ব্যবসার উদ্দেশে এসব কিট ও নকল স্যানিটাইজার ও পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ করেছিল। তাদের দেয়া তথ্যে মনে হচ্ছে এর নেপথ্যে আরও অনেক বড় চক্র রয়েছে। একাধিক চক্র দেশের এ কান্ত্রিলগ্লে অবৈধভাবে প্রতারণা ও ব্যবসা করে আসছে। জব্দ হওয়া কিটগুলো আসল না নকল তা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

র‌্যাব জানায়, সরকারের বাইরে এসব কারও আমদানির সুযোগ নেই। কারও কাছে থাকারও সুযোগ নেই। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া আমদানি মজুত ও বিক্রয়ের সুযোগ নেই। র‌্যাব গোয়েন্দ নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

অবৈধভাবে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও নকল সুরক্ষাসামগ্রী আমদানি

গ্রেফতার ৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভাইরাস শনাক্তকরণে কিটসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে প্রতরণায় নেমেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এসব প্রতারক চক্র করোনা পরীক্ষা কিটসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী অবৈধভাবে আমদানি করে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। বেসরকারি পর্যায়ে কিট আমাদানি বা ব্যবহারে সরকারি অনুমোদন না থাকলেও সংঘবদ্ধ চক্র অনুমোদনহীন কিট বিভিন্নভাবে সরবরাহের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। রাজধানীর শহীদবাগ ও নিকুঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে আমাদানি করা করোনা পরীক্ষার কিট, নকল হ্যান্ড সানিটাইজার ও পিপিইসহ ৫ জনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। গ্রেফতার করা ওই ৫ জনের প্রত্যেককে ১ বছর ৯ মাসের জেল এবং মোট ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বাবু জানান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় প্রথমে শহীদবাগ এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে অনুমোদনহীন ৩শ’ কিট মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে কিট মজুদ করার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেককে ১ বছর ৯ মাসের জেল দেয়া হয় এবং প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। টাকা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, শহীদ ভাগের আটক ব্যক্তিদের তথ্যে নিকুঞ্জ এলাকায় আরও একটি চক্রের সন্ধান পেলে। ওই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাইবুর রহমান ও বোরহানউদ্দিন নামে দুই প্রকৌশলীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজতে ৯শ’ কিট এবং বিপুল পরিমাণ নকল স্যানিটাইজার ও পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ করা হয়। তাদের দু’জনকেও ১ বছর ৯ মাস জেল এবং প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, তাইবুর রহমান ও বোরহান উদ্দিন খান পেশায় প্রকৌশলী। বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ফার্মে তারা প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করে। অথচ তারা কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে তারা ব্যবসার উদ্দেশে এসব কিট ও নকল স্যানিটাইজার ও পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ করেছিল। তাদের দেয়া তথ্যে মনে হচ্ছে এর নেপথ্যে আরও অনেক বড় চক্র রয়েছে। একাধিক চক্র দেশের এ কান্ত্রিলগ্লে অবৈধভাবে প্রতারণা ও ব্যবসা করে আসছে। জব্দ হওয়া কিটগুলো আসল না নকল তা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

র‌্যাব জানায়, সরকারের বাইরে এসব কারও আমদানির সুযোগ নেই। কারও কাছে থাকারও সুযোগ নেই। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া আমদানি মজুত ও বিক্রয়ের সুযোগ নেই। র‌্যাব গোয়েন্দ নজরদারী বৃদ্ধি করেছে।