করোনাভাইরাসের এ প্রাদুর্ভাবে শত মানুষের শত চরিত্র বেরিয়ে আসছে। কারও মহান আবার কারও এর বিপরীত। কেউ নিজের প্রাণ দিয়ে লড়ছে কেউবা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ তো আছে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে, সময়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন মানুষের তরে। হ্যাঁ, এমন একজন মানুষের কথাই বলছি যিনি নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০ ঘণ্টা কাজ করে চলছেন।
ছবিতে যে ভদ্রমহিলাকে দেখছি তার কথা বলছি। তিনি রসায়নে স্নাতক। ২০০৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন একটি হাইস্কুলে। তারপর রাজনীতিতে যোগদান। বর্তমানে কেরালার বাম সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী-কে কে শৈলজা। কেরালা জুড়ে টিচার আম্মা নামেই পরিচিত। ২০১৮ এর নিপা ভাইরাস সংক্রমণজনিত মৃত্যুমিছিল আটকে ছিলেন বলিষ্ঠভাবে। আর ঠিক তার দু’বছর পর যেভাবে করোনা প্রতিরোধ করে কেরালা মডেলকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দিলেন-তা নিশ্চিতভাবে লেখা থাকবে ইতিহাসে। সাফল্য এমনিতেই আসে না। থাকতে হয় শৈলজার মত দৃঢ়-অনড়।
করোনাকালীন সময়ে অফিস ছাড়েন রাত ১২ টায়। সব অফিসারদের রওনা করিয়ে দিয়ে নিজে রওনা হন। বাড়ি ফিরে রাত ২.৩০-৩টা অবধি চলে ফাইল দেখা। সকালে ফের অফিসে পৌঁছান ৭টায়। নিজের মোবাইল নম্বর যে কত সাধারণ মানুষ জানে তার ঠিক নেই। নিপার সময়েই কেরালা জুড়ে বাদুড় নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। করোনার সময় বিড়াল দেখেও আতঙ্কিত হয়ে ফোন করেন প্রতিবেশীরা। নিজেই ফোন তুলে আশ্বস্ত করেন। সঙ্গে কাউকে নিয়ে একাই চষে বেড়ান হাসপাতালগুলো।
মুখে একটা স্মিত হাসি কেবল। প্রচারের ফ্ল্যাশলাইট থেকে শত হস্ত দূরে। নিয়মমাফিক শুধু একবার করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তথ্য দিতে, লুকাতে নয়। কৃতিত্বও নিতে চান না। শুধু বলেন, ‘I dont do anything special. I have a degree in chemistry so I have some knowledge about molecules and medicines. Otherwise, it is always a team effort.
বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
করোনাভাইরাসের এ প্রাদুর্ভাবে শত মানুষের শত চরিত্র বেরিয়ে আসছে। কারও মহান আবার কারও এর বিপরীত। কেউ নিজের প্রাণ দিয়ে লড়ছে কেউবা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ তো আছে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে, সময়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন মানুষের তরে। হ্যাঁ, এমন একজন মানুষের কথাই বলছি যিনি নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০ ঘণ্টা কাজ করে চলছেন।
ছবিতে যে ভদ্রমহিলাকে দেখছি তার কথা বলছি। তিনি রসায়নে স্নাতক। ২০০৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন একটি হাইস্কুলে। তারপর রাজনীতিতে যোগদান। বর্তমানে কেরালার বাম সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী-কে কে শৈলজা। কেরালা জুড়ে টিচার আম্মা নামেই পরিচিত। ২০১৮ এর নিপা ভাইরাস সংক্রমণজনিত মৃত্যুমিছিল আটকে ছিলেন বলিষ্ঠভাবে। আর ঠিক তার দু’বছর পর যেভাবে করোনা প্রতিরোধ করে কেরালা মডেলকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দিলেন-তা নিশ্চিতভাবে লেখা থাকবে ইতিহাসে। সাফল্য এমনিতেই আসে না। থাকতে হয় শৈলজার মত দৃঢ়-অনড়।
করোনাকালীন সময়ে অফিস ছাড়েন রাত ১২ টায়। সব অফিসারদের রওনা করিয়ে দিয়ে নিজে রওনা হন। বাড়ি ফিরে রাত ২.৩০-৩টা অবধি চলে ফাইল দেখা। সকালে ফের অফিসে পৌঁছান ৭টায়। নিজের মোবাইল নম্বর যে কত সাধারণ মানুষ জানে তার ঠিক নেই। নিপার সময়েই কেরালা জুড়ে বাদুড় নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। করোনার সময় বিড়াল দেখেও আতঙ্কিত হয়ে ফোন করেন প্রতিবেশীরা। নিজেই ফোন তুলে আশ্বস্ত করেন। সঙ্গে কাউকে নিয়ে একাই চষে বেড়ান হাসপাতালগুলো।
মুখে একটা স্মিত হাসি কেবল। প্রচারের ফ্ল্যাশলাইট থেকে শত হস্ত দূরে। নিয়মমাফিক শুধু একবার করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তথ্য দিতে, লুকাতে নয়। কৃতিত্বও নিতে চান না। শুধু বলেন, ‘I dont do anything special. I have a degree in chemistry so I have some knowledge about molecules and medicines. Otherwise, it is always a team effort.