করোনা মহামারী মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করল রবি ও এটুআই

দেশের চলমান করোনা মহামারী মোকাবিলায় তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ‘আইডিয়া ফর গুডনেস’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে রবি এবং আইসিটি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম।

এই প্ল্যাটফর্মের ধারণাগুলো হতে পারে চিকিৎসা সম্পর্কিত, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কিংবা সামাজিক গতিশীলতাসহ যে কোন ধারণা- যা মহামারী করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষকে সহায়তা করতে পারে। রবি এবং এটুআই-এর পাশাপাশি এই উদ্যোগটিতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউএনডিপি, আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্কাউটস, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম, আইল্যাব, সমকাল, বাংলা ট্রিবিউন ও কালারস এফএম রেডিও।

প্রথাগত প্রতিযোগিতার বাইরে এই প্রতিযোগিতাটির বিশেষত্ব হচ্ছে ধারণা প্রদানকারীদের মধ্যে বিজয়ীরা এটুআই ও রবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে তা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন যাতে দেশে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা সনদ ও বিশেষ পুরস্কার পাবেন। সরকারের প্রথাগত মাধ্যমের পাশাপাশি গণমাধ্যমেও তাদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

ধারণা জমা দেয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। তাই তরুণদের ধারণা জমা দেয়ার জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হবে না। শুধু নিজস্ব ধারণাটির একটি ভিডিও রেকর্ড করতে হবে (সর্বোচ্চ তিন মিনিট)। এরপর ভিডিওটি #আইডিয়াফরগুডনেস #রবি #এটুআই (#Ideaforgoodness #Rob #a2i) হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক/ইউটিউব/টুইটার প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হবে। ভিডিওটি অবশ্যই সব দর্শক ও কর্তৃপক্ষের জন্য উন্মুক্ত (পাবলিক) থাকতে হবে। প্রতিযোগিতাটিতে মোট তিনটি রাউন্ড থাকবে এবং প্রতিটি রাউন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে সময়সীমা হবে সাত দিন। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে রবির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে:www.facebook.com/RobiFanz/, www.robi.com.bd/en/personal/brand/stay-home-idea-challenge

এরপর ‘আইডিয়া ফর গুডনেস’ ট্যাবের আওতায় রবি চ্যাটবটের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের তাদের পোস্টের লিংকটিসহ নাম ও যোগাযোগের নম্বর জমা দিতে হবে। যেকোন মোবাইল অপারেটরের সেবা ব্যবহারকারী তরুণ ক্যাম্পেইনটিতে অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। অংশগ্রহণকারীদের জমা দেয়া আইডিয়াগুলো হতে হবে নতুন ও নিজস্ব ধারণাপ্রসূত এবং অন্য কোন ধারণার নকল হতে পারবে না।

অন্য কেউ প্রতিযোগতার কোন ধারণা নিজের বলে দাবি করলে নির্দিষ্ট অংশগ্রহণকারীকে জবাবদিহি করতে হবে। কোন ধারণা নকল বলে প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগী অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিযোগিতাটিতে মোট তিনটি রাউন্ড থাকবে এবং প্রতিটি রাউন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে এগুলোর সময়সীমা হবে সাত দিন। পারিপাশির্^ক অবস্থার ওপর নির্ভর করে তারিখগুলো পরিবর্তিত হতে পারে। প্রথম রাউন্ডটি ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডটি চলবে ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২ মে পর্যন্ত এবং তৃতীয় রাউন্ডের সময়সীমা ৪ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের সময়সীমা অনুযায়ী ধারণা জমা দেয়া না হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ধারণাটিতে কেমন সাড়া পড়ে এর ওপর ৪০ শতাংশ এবং বিশেষজ্ঞ বিচারকদের মতামতে থাকবে ৬০ শতাংশ নাম্বার। বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলের স্কোর নির্ভর করবে ধারণাটির প্রাসঙ্গিকতা, বাস্তবায়নযোগ্যতা, মৌলিকতা, প্রভাব ও ডিজিটাল একীভূতকরণের ওপর।

এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “জাতীয় দুর্যোগে তরুণরা আমাদের বিমুখ করেননি। এজন্য বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তরুণদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বিশ^াস তাদের অনন্য ও উদ্ভাবনী ধারণা আমাদের চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে। এই জরুরি উদ্যোগে হাত বাড়ানোর জন্য আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং অন্যান্য অংশীদার সংস্থাগুলোর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। দেশের তরুণ সমাজ- তোমাদের নেতৃত্বের দিকেই চেয়ে আছি আমরা।

” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

image
আরও খবর

বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৯ বৈশাখ ১৪২৭, ২৭ শাবান ১৪৪১

করোনা মহামারী মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করল রবি ও এটুআই

image

দেশের চলমান করোনা মহামারী মোকাবিলায় তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে ‘আইডিয়া ফর গুডনেস’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে রবি এবং আইসিটি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম।

এই প্ল্যাটফর্মের ধারণাগুলো হতে পারে চিকিৎসা সম্পর্কিত, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কিংবা সামাজিক গতিশীলতাসহ যে কোন ধারণা- যা মহামারী করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষকে সহায়তা করতে পারে। রবি এবং এটুআই-এর পাশাপাশি এই উদ্যোগটিতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউএনডিপি, আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্কাউটস, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম, আইল্যাব, সমকাল, বাংলা ট্রিবিউন ও কালারস এফএম রেডিও।

প্রথাগত প্রতিযোগিতার বাইরে এই প্রতিযোগিতাটির বিশেষত্ব হচ্ছে ধারণা প্রদানকারীদের মধ্যে বিজয়ীরা এটুআই ও রবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে তা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন যাতে দেশে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা সনদ ও বিশেষ পুরস্কার পাবেন। সরকারের প্রথাগত মাধ্যমের পাশাপাশি গণমাধ্যমেও তাদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

ধারণা জমা দেয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। তাই তরুণদের ধারণা জমা দেয়ার জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হবে না। শুধু নিজস্ব ধারণাটির একটি ভিডিও রেকর্ড করতে হবে (সর্বোচ্চ তিন মিনিট)। এরপর ভিডিওটি #আইডিয়াফরগুডনেস #রবি #এটুআই (#Ideaforgoodness #Rob #a2i) হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক/ইউটিউব/টুইটার প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে হবে। ভিডিওটি অবশ্যই সব দর্শক ও কর্তৃপক্ষের জন্য উন্মুক্ত (পাবলিক) থাকতে হবে। প্রতিযোগিতাটিতে মোট তিনটি রাউন্ড থাকবে এবং প্রতিটি রাউন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে সময়সীমা হবে সাত দিন। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে রবির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে:www.facebook.com/RobiFanz/, www.robi.com.bd/en/personal/brand/stay-home-idea-challenge

এরপর ‘আইডিয়া ফর গুডনেস’ ট্যাবের আওতায় রবি চ্যাটবটের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের তাদের পোস্টের লিংকটিসহ নাম ও যোগাযোগের নম্বর জমা দিতে হবে। যেকোন মোবাইল অপারেটরের সেবা ব্যবহারকারী তরুণ ক্যাম্পেইনটিতে অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। অংশগ্রহণকারীদের জমা দেয়া আইডিয়াগুলো হতে হবে নতুন ও নিজস্ব ধারণাপ্রসূত এবং অন্য কোন ধারণার নকল হতে পারবে না।

অন্য কেউ প্রতিযোগতার কোন ধারণা নিজের বলে দাবি করলে নির্দিষ্ট অংশগ্রহণকারীকে জবাবদিহি করতে হবে। কোন ধারণা নকল বলে প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগী অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিযোগিতাটিতে মোট তিনটি রাউন্ড থাকবে এবং প্রতিটি রাউন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে এগুলোর সময়সীমা হবে সাত দিন। পারিপাশির্^ক অবস্থার ওপর নির্ভর করে তারিখগুলো পরিবর্তিত হতে পারে। প্রথম রাউন্ডটি ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডটি চলবে ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২ মে পর্যন্ত এবং তৃতীয় রাউন্ডের সময়সীমা ৪ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনের সময়সীমা অনুযায়ী ধারণা জমা দেয়া না হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ধারণাটিতে কেমন সাড়া পড়ে এর ওপর ৪০ শতাংশ এবং বিশেষজ্ঞ বিচারকদের মতামতে থাকবে ৬০ শতাংশ নাম্বার। বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলের স্কোর নির্ভর করবে ধারণাটির প্রাসঙ্গিকতা, বাস্তবায়নযোগ্যতা, মৌলিকতা, প্রভাব ও ডিজিটাল একীভূতকরণের ওপর।

এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “জাতীয় দুর্যোগে তরুণরা আমাদের বিমুখ করেননি। এজন্য বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তরুণদের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বিশ^াস তাদের অনন্য ও উদ্ভাবনী ধারণা আমাদের চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে। এই জরুরি উদ্যোগে হাত বাড়ানোর জন্য আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং অন্যান্য অংশীদার সংস্থাগুলোর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। দেশের তরুণ সমাজ- তোমাদের নেতৃত্বের দিকেই চেয়ে আছি আমরা।

” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।