তিন মাসে ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হুয়াওয়ের

করোনা মহামারীসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও গত তিন মাসে প্রায় ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১.৪% বেশি। গত ২১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের নিট মুনাফার হার প্রায় ৭.৩%।

সংকটপূর্ণ এই সময়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ‘নেটওয়ার্ক’ অনেকটা প্রাণস্বরূপ। কাজেই এই নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক রাখাটাই হুয়াওয়ের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিবিঘ্ন নেটওয়ার্ক সরবরাহে নিজেদের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে ক্যারিয়ারগুলোকে সাহায্য করে যাচ্ছ প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অবস্থায় নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে মানুষ এখন টেলিযোগাযোগ, অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি এবং ই-কমার্সের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। এতে নেটওয়ার্কের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা পূরণে ক্যারিয়ারগুলোর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে হুয়াওয়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই হুয়াওয়ে এবং এর অংশীদাররা দ্রুততার সাথে ৫জি এবং এআই নির্ভর অনেকগুলো মেডিকেল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলা এবং জীবন রক্ষায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এআই নির্ভর করোনা ডায়াগনোসিস সমাধানের মাধ্যমে সিটি স্ক্যান পর্যালোচনার সময় ১২ মিনিট থেকে ২ মিনিটে নেমে এসেছে, যা করোনা চিকিৎসায় ডাক্তারদেরকে দারুণ সাহায্য করছে।

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওসসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এবং আসিয়ানভূক্ত অনেক দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে হুয়াওয়ে। অভিনব প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে যোগাযোগ ঝুঁকি চিহ্নিত করার পাশাপাশি নিবিঘ্ন সংযোগসহ অন্যান্য দরকারী সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। করোনা চিকিৎসায় সম্প্রতি ব্যাংককের সিরিরাজ হাসপাতালে এআই নির্ভর সমাধান চালু করা হয়েছে, যেটি প্রদান করেছে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় এবং হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক জু বলেন, “আমরা আশাকরি, বৈশ্বিক এই মহামারী শিগগিরই থেমে যাবে। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রতিটি রোগী যথাযথ চিকিৎসা পাবে এবং দ্রুতই সেরে উঠবে বলেও আমরা আশাকরি। ভয়াবহ এই করোনা বিপর্যয় আমাদেরকে আবারও মনে করি দিলো, আমরা একই দুনিয়ায় বাস করি এবং আমাদের পরিণতিও এক।

এই ধরণের বিপর্যয় মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। কারন ভাইরাস কোনো সীমানা মানে না। জাতি-বর্ণ, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এটি যেকোনো সময় যে কাউকেই নিজের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। করোনা মহামারীর প্রকোপ কখন থামবে, সেটা নিশ্চিকভাবে বলা হয়তো অসম্ভব; কিন্তু হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলেই এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ , ১২ বৈশাখ ১৪২৭, ২ রমাজান ১৪৪১

তিন মাসে ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হুয়াওয়ের

করোনা মহামারীসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও গত তিন মাসে প্রায় ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১.৪% বেশি। গত ২১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের নিট মুনাফার হার প্রায় ৭.৩%।

সংকটপূর্ণ এই সময়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ‘নেটওয়ার্ক’ অনেকটা প্রাণস্বরূপ। কাজেই এই নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক রাখাটাই হুয়াওয়ের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিবিঘ্ন নেটওয়ার্ক সরবরাহে নিজেদের সাধ্যের সবটুকু দিয়ে ক্যারিয়ারগুলোকে সাহায্য করে যাচ্ছ প্রতিষ্ঠানটি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অবস্থায় নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে মানুষ এখন টেলিযোগাযোগ, অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি এবং ই-কমার্সের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। এতে নেটওয়ার্কের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা পূরণে ক্যারিয়ারগুলোর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে হুয়াওয়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই হুয়াওয়ে এবং এর অংশীদাররা দ্রুততার সাথে ৫জি এবং এআই নির্ভর অনেকগুলো মেডিকেল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলা এবং জীবন রক্ষায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এআই নির্ভর করোনা ডায়াগনোসিস সমাধানের মাধ্যমে সিটি স্ক্যান পর্যালোচনার সময় ১২ মিনিট থেকে ২ মিনিটে নেমে এসেছে, যা করোনা চিকিৎসায় ডাক্তারদেরকে দারুণ সাহায্য করছে।

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওসসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এবং আসিয়ানভূক্ত অনেক দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে হুয়াওয়ে। অভিনব প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে যোগাযোগ ঝুঁকি চিহ্নিত করার পাশাপাশি নিবিঘ্ন সংযোগসহ অন্যান্য দরকারী সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। করোনা চিকিৎসায় সম্প্রতি ব্যাংককের সিরিরাজ হাসপাতালে এআই নির্ভর সমাধান চালু করা হয়েছে, যেটি প্রদান করেছে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় এবং হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক জু বলেন, “আমরা আশাকরি, বৈশ্বিক এই মহামারী শিগগিরই থেমে যাবে। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রতিটি রোগী যথাযথ চিকিৎসা পাবে এবং দ্রুতই সেরে উঠবে বলেও আমরা আশাকরি। ভয়াবহ এই করোনা বিপর্যয় আমাদেরকে আবারও মনে করি দিলো, আমরা একই দুনিয়ায় বাস করি এবং আমাদের পরিণতিও এক।

এই ধরণের বিপর্যয় মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। কারন ভাইরাস কোনো সীমানা মানে না। জাতি-বর্ণ, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এটি যেকোনো সময় যে কাউকেই নিজের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। করোনা মহামারীর প্রকোপ কখন থামবে, সেটা নিশ্চিকভাবে বলা হয়তো অসম্ভব; কিন্তু হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলেই এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।