১ লাখ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তায় গ্রামীণফোন ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগ

কোভিড-১৯ এর বৈশি্বক মহামারীতে চলমান সামাজিক দূরত্ব ও চলাচলে সীমাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের দিনমজুর এবং অতি দরিদ্ররা। এ প্রতিকূল অবস্থায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক। পাশাপাশি এ উদ্যোগে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে যৌথ প্রচেষ্টায় তারা শুরু করেছে ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ’।

গত ২৪ এপ্রিল এক অনলাইন সংবাদ সম্মলনে এর মাধ্যমে উদ্যোগটির ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ ডিরেক্টর মৌটুসী কবির এবং গ্রামীণফোনের সাসটেইনিবিলিটি প্রজেক্ট লিড এম. হাফিজুর রহমান খান। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।

দেশের ৬৪ জেলায় নিম্নআয়ের ২, ৬৭৫ জন মানুষ নিয়ে ব্র্যাকের পরিচালিত জরিপে উঠে আসে, নিম্নআয়ের ১৪ শতাংশ পরিবারের বাসায় খাবার নেই। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা কাজ হারিয়েছেন কিংবা তাদের কাজের সুযোগ কমেছে। গ্রামীণফোন ব্র্যাকের জরুরি খাদ্য সহায়তা তহবিলে ১৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তাদান করবে। যা ব্র্যাককে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে সহায়তা করবে। এ উদ্যোগে প্রতি পরিবারকে ১৫শ’ টাকা করে দেয়া হবে। এ টাকা দিয়ে চার সদস্যের একটি পরিবার অন্তত দু’ সপ্তাহের জরুরি খাবার কিনতে পারবে।

ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগটি নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এটি একটা বৈশি্বক সঙ্কট। এখনই সময় সরকারি-বেসরকারি খাতকে এক সঙ্গে সামনে এগিয়ে এসে কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ মোকাবিলা করা। যৌথ প্রচেষ্টায় একসঙ্গে শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে সমাজে ইচিবাচক প্রভাব ফেলতে আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামীণফোন ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার জন্য, আমি সামর্থ্য থাকা সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করবো ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ অথবা সরকারি সংস্থাগুলোর নেয়া অন্য উদ্যোগগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে। এ সঙ্কটকালীন সময়ে আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব; যাদের এ মুহূর্তে বেশি সহায়তার প্রয়োজন। এ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় সকারকে সহায়তায় গ্রামীণফোন এ উদ্যোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর, এটুআই, বিটিআরসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফের সঙ্গে সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। ’ এ বিষয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘এটি শুধু স্বাস্থ্য নিয়ে বৈশি্বক মহামারিই নয়, এটা মানবিক সঙ্কট। এ মুহূর্তে জাতির আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ১ লাখের বেশি মাঠকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ব্র্যাক মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, পিপিই সরবরাহ এবং মানুষের প্রয়োজনে জরুরি আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছি। ’

ব্যক্তিপর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তার মাধ্যমে এ উদ্যোগ যুক্ত হতে : ব্যাংক হিসাব নাম : ব্র্যাক হিসাব নম্বর : ১৫০১২০-২৩১৬৪৭৪০০১, ব্যাংকের নাম : ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান ১, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা। বিকাশ নম্বর : ০১৭৩০৩২১৭৬৫। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৭, ৪ রমাজান ১৪৪১

১ লাখ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তায় গ্রামীণফোন ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগ

image

কোভিড-১৯ এর বৈশি্বক মহামারীতে চলমান সামাজিক দূরত্ব ও চলাচলে সীমাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের দিনমজুর এবং অতি দরিদ্ররা। এ প্রতিকূল অবস্থায় কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক। পাশাপাশি এ উদ্যোগে সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে যৌথ প্রচেষ্টায় তারা শুরু করেছে ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ’।

গত ২৪ এপ্রিল এক অনলাইন সংবাদ সম্মলনে এর মাধ্যমে উদ্যোগটির ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ ডিরেক্টর মৌটুসী কবির এবং গ্রামীণফোনের সাসটেইনিবিলিটি প্রজেক্ট লিড এম. হাফিজুর রহমান খান। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।

দেশের ৬৪ জেলায় নিম্নআয়ের ২, ৬৭৫ জন মানুষ নিয়ে ব্র্যাকের পরিচালিত জরিপে উঠে আসে, নিম্নআয়ের ১৪ শতাংশ পরিবারের বাসায় খাবার নেই। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা কাজ হারিয়েছেন কিংবা তাদের কাজের সুযোগ কমেছে। গ্রামীণফোন ব্র্যাকের জরুরি খাদ্য সহায়তা তহবিলে ১৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তাদান করবে। যা ব্র্যাককে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে সহায়তা করবে। এ উদ্যোগে প্রতি পরিবারকে ১৫শ’ টাকা করে দেয়া হবে। এ টাকা দিয়ে চার সদস্যের একটি পরিবার অন্তত দু’ সপ্তাহের জরুরি খাবার কিনতে পারবে।

ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগটি নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এটি একটা বৈশি্বক সঙ্কট। এখনই সময় সরকারি-বেসরকারি খাতকে এক সঙ্গে সামনে এগিয়ে এসে কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ মোকাবিলা করা। যৌথ প্রচেষ্টায় একসঙ্গে শক্তিশালী হওয়ার মাধ্যমে সমাজে ইচিবাচক প্রভাব ফেলতে আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামীণফোন ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার জন্য, আমি সামর্থ্য থাকা সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করবো ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ অথবা সরকারি সংস্থাগুলোর নেয়া অন্য উদ্যোগগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে। এ সঙ্কটকালীন সময়ে আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব; যাদের এ মুহূর্তে বেশি সহায়তার প্রয়োজন। এ প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলায় সকারকে সহায়তায় গ্রামীণফোন এ উদ্যোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতর, এটুআই, বিটিআরসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফের সঙ্গে সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। ’ এ বিষয়ে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘এটি শুধু স্বাস্থ্য নিয়ে বৈশি্বক মহামারিই নয়, এটা মানবিক সঙ্কট। এ মুহূর্তে জাতির আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ১ লাখের বেশি মাঠকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ব্র্যাক মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, পিপিই সরবরাহ এবং মানুষের প্রয়োজনে জরুরি আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছি। ’

ব্যক্তিপর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তার মাধ্যমে এ উদ্যোগ যুক্ত হতে : ব্যাংক হিসাব নাম : ব্র্যাক হিসাব নম্বর : ১৫০১২০-২৩১৬৪৭৪০০১, ব্যাংকের নাম : ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান ১, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা। বিকাশ নম্বর : ০১৭৩০৩২১৭৬৫। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।